Tuesday 30 December 2014

ঢুকছে মেঘ , বরাতে হয়তো বৃষ্টিও

জাঁকালো শীতের বারোটা বাজিয়ে তাপমাত্রা বাড়াবে নিম্নচাপ 
  
মঙ্গলবার আকাশ আংশিক মেঘলা৷ বুধ ও বৃহস্পতিবার মেঘলা আকাশ৷ বজ্রবিদ্যুত্-সহ বৃষ্টির সম্ভাবনা৷ সর্বনিম্ন তাপমাত্রা থাকবে ১৪ -১৫ ডিগ্রি সেলসিয়াসের আশপাশে৷ বর্ষশেষ আর বর্ষবরণের হুল্লোড়ের দিকে একটু একটু করে এগোচ্ছে বাংলা৷ নিম্নচাপও হেলতে -দুলতে পা বাড়িয়েছে পূর্ব উপকূলের পথে৷ তার অনাবশ্যক উপস্থিতির জেরেই আবহাওয়া দন্তরের এমন পূর্বাভাস৷ মাসটা পৌষ হলে কী হবে , আগামী কয়েকদিন শীতের সর্বনাশ স্রেফ সময়ের অপেক্ষা৷
জাঁকিয়ে শীতের বারোটা অবশ্য সোমবারই বেজে গিয়েছে৷ ঠান্ডা হাওয়ার দাপট সাতসকালেই শেষ৷ বেলা বাড়তেই গায়ে গরম জামা রাখা দায়৷ দুপুরের পর রোদও কেমন নিভু নিভু৷ নীল আকাশে ঢুকতে শুরু করেছে মেঘ৷ বিকেলে আস্তরণ আরও বাড়ল৷ আবহবিদরা বলছেন , সুস্পষ্ট নিম্নচাপটি শ্রীলঙ্কা লাগোয়া বঙ্গোপসাগর থেকে তামিলনাড়ুর দিকে বেশ খানিকটা এগিয়ে এসেছে৷ তার অবস্থান এবং বাংলার সঙ্গে দূরত্ব কমতে শুরু করায় প্রত্যক্ষ না -হলেও , পরোক্ষ প্রভাব পড়তে শুরু করেছে৷ সেই প্রভাবেরই ফসল শীতের শহরে মেঘের আমদানি৷ আজ , মঙ্গলবার মেঘের আনাগোনা আরও বাড়বে৷ আলিপুর আবহাওয়া দন্তরের অধিকর্তা গোকুলচন্দ্র দেবনাথ বলেন , ‘নিম্নচাপটি খুব ধীরে ধীরে এগোচ্ছে৷ আসলে সেটি শক্তি সঞ্চয় করে গভীর নিম্নচাপে পরিণত হতে চলেছে৷ সেটি অন্ধ্রপ্রদেশ উপকূলের দিকে সরে এলে একটি নিম্নচাপ অক্ষরেখাও তৈরি হবে৷ যা আমাদের রাজ্যের ভিতরে ঢুকে আসবে৷ এর ফলেই বুধ ও বৃহস্পতিবার হাল্কা বৃষ্টির সম্ভাবনা থাকছে৷ ’ বুধবার উপকূলীয় অন্ধ্র ও ওডিশায় ভারী বর্ষণের পূর্বাভাস দিয়েছে মৌসম ভবন৷ কলকাতা -সহ দক্ষিণবঙ্গে প্রবল বর্ষণের সম্ভাবনা অবশ্য থাকছে না৷ ফলে নতুন বছরের আনন্দ মাটি হবে না৷ কিন্ত্ত কনকনে ঠান্ডার বদলে রাজত্ব করবে বিরক্তিকর মেঘলা আবহাওয়া৷ হিম বাতাসের বদলে বইবে সমুদ্রের সোঁদা হাওয়া৷
নয়াদিল্লির মৌসম ভবনের আবহবিদরা বলছেন , নিম্নচাপ শুধুমাত্র বাংলায় শীতের ঘোড়াই থামিয়ে দিচ্ছে না৷ দেশের সমতলে সর্বত্রই ঠান্ডার কামড় কমবে৷ কেননা , নতুন পশ্চিমি ঝঞ্ধা ঢুকবে কাশ্মীরে৷ তার প্রভাবে সৃষ্ট ঘূর্ণাবর্তও উঠে আসবে উত্তর -পশ্চিম ভারতে৷ সেটি আরব সাগর আর বঙ্গোপসাগর থেকে জলীয় বাষ্প টানবে৷ জলীয় বাষ্প ঠেলে পাঠাবে নিম্নচাপও৷ ফলে উত্তর ভারতের হাড় -হিম ঠান্ডাও থমকে যাবে৷ বছরের শেষ দিনে দেশের কোথাওই আর শৈত্যপ্রবাহের পরিস্থিতি থাকবে না৷ নজর তখন শুধু নিম্নচাপের উপর৷ সাল ১ জানুয়ারি ৩১ ডিসেম্বর২০১৪ ১৪ .১ * ---২০১৩ ১৩ .০ ১৪ .০২০১২ ১৭ .২ ১১ .৬২০১১ ১৪ .৯ ১৭ .৫২০১০ ১৩ .৪ ১৩ .৬২০০৯ ১৫ .১ ১৩ .৪* কলকাতার সর্বনিম্ন তাপমাত্রা ডিগ্রি সেলসিয়াসেতথ্য : আলিপুর আবহাওয়া দন্তরবছরের শেষ -শুরুর উষ্ণতা৷
 

Monday 29 December 2014

মিলল বিকল্প উপায় , সহজতর হল মঙ্গলযাত্রা


ওয়াশিংটন : মঙ্গলে যাওয়ার নতুন পথ আবিষ্কার হল৷ আর তার জেরেই মঙ্গলে মানুষ পাঠানো অনেক সহজ এবং কম ব্যয়সাপেক্ষ হবে৷ এমনটাই দাবি করেছে নাসা৷
Making A Trip To Mars Cheaper & Easier: The Case For Ballistic Captureএখন মঙ্গলে মহাকাশযান পাঠানোর খরচ বিপুল৷ আর মানুষ পাঠানোর পরিকল্পনা করার ক্ষেত্রে সেটাও একটা বড় বাধা৷ কিন্ত্ত এ বিষয়ে নতুন দিশার সন্ধান দিয়েছেন নাসার বিজ্ঞানীরা৷ বিকল্প একটি উপায়ে মঙ্গল অভিযানের খরচ এবং জটিলতা দু’টোই অনেক কমানো যাবে বলে তাঁদের দাবি৷ নাসার গ্রহবিজ্ঞানের ডিরেক্টর জেমস গ্রিন বলেছেন , ‘এটা আমাদের জন্য বিরাট একটা ধাপ হতে পারে৷ কারণ কম খরচে এবং সহজে অভিযান করার চেষ্টা আমরা সব সময়ই করে থাকি৷ ’নতুন এই পদ্ধতির নাম ব্যালিস্টিক ক্যাপচার৷ এর নতুনত্ব কোথায় ?বিজ্ঞানীরা বলছেন , এখন মহাকাশযান উত্ক্ষেপণের আগে হিসেব করা হয় মঙ্গল তার কক্ষপথের ঠিক কোথায় থাকবে এবং মহাকাশযানটি এমন ভাবে পাঠানো হয় , যাতে তা একেবারে কক্ষপথের সেই অংশেই গিয়ে ঢোকে৷ কিন্ত্ত নতুন পদ্ধতিতে মহাকাশযানটি মঙ্গল কক্ষপথে যেখানে আছে , তার থেকে কিছুটা এগিয়ে মঙ্গলের মতোই একটি কক্ষপথে প্রবেশ করবে৷ কিন্ত্ত তার গতি থাকবে মঙ্গলের চেয়ে সামান্য কম৷ ফলে কিছু দিনের মধ্যে মঙ্গল পিছন থেকে এসে মহাকাশযানটিকে ধরে ফেলবে৷ এর ফলে উত্ক্ষেপণ এবং যাত্রাপথের খরচ এক থাকলেও কক্ষপথের একেবারে নির্দিষ্ট বিন্দুতে গিয়ে প্রবেশ করার বিষয়টি থাকবে না বলে মোট খরচ কমে যাবে৷ হিসেব নিকেশের জটিলতা অনেক কমে যাওয়ায় পদ্ধতিটি অনেক সহজও হবে৷ আপাতত এই পদ্ধতিতে পরীক্ষামূলক ভাবে রোবোট পাঠানো হবে৷ আর তার পরের ধাপেই মঙ্গলে পাড়ি দিতে পারবে মানুষ৷ --- সংবাদসংস্থা৷ ei samay

Saturday 27 December 2014

বিবিধ ভারতীর অনুষ্ঠান এফএম


মিডিয়াম ওয়েভের পাশাপাশি আকাশবাণীর জনপ্রিয় বিবিধ ভারতীর অনুষ্ঠান এ বার এফএম চ্যানেলেও সম্প্রচারিত হবে৷ ১০১ .৮ মেগাহাত্র্‌জে শোনা যাবে এই অনুষ্ঠান৷ শুক্রবারই প্রাথমিক ভাবে ১০ কিলোমিটার ট্রান্সমিটার দিয়ে সম্প্রচার চালু হয়েছে৷ আপাতত বিবিধ ভারতীর অনুষ্ঠান কলকাতা , হাওড়া , হুগলি , উত্তর ও দক্ষিণ চব্বিশ পরগনা , নদিয়া , বর্ধমান এবং পূর্ব মেদিনীপুরের কিছু এলাকায় এফএমে শোনা যাবে৷
প্রসার ভারতীর মুখ্য কার্যনির্বাহী আধিকারিক জহর সরকার শুক্রবার আনুষ্ঠানিক ভাবে এফএম ট্রান্সমিটারটির উদ্বোধন করেন৷ তিনি জানান , দেশের আরও তিন মেট্রো শহর --মুম্বই ,চেন্নাই ও দিল্লিতেও পর্যায়ক্রমে একই ব্যবস্থা চালু হতে চলেছে৷ শুধু বিবিধ ভারতীই নয় , আগামী বছরে আকাশবাণী কলকাতার ‘ক’ বিভাগের অনুষ্ঠানও সম্প্রচারিত হবে এফএম চ্যানেলে৷ ভবিষ্যতে গোটা সম্প্রচারটাই ইন্টারনেট পরিষেবার সঙ্গে যুক্ত করার পরিকল্পনাও রয়েছে৷ এই পরিবর্তনের কারণ বাখ্যা করতে গিয়ে জহরবাবু বলেন , পুরোনো প্রযুক্তি রক্ষণাবেক্ষণ প্রতি দিনই ক্রমশ শক্ত হয়ে পড়ছে৷ বহু যন্ত্রাংশ পাওয়া যাচ্ছে না৷ তাই আকাশবাণীকে মিডয়াম ওয়েভ সম্প্রচার থেকে এফএম সম্প্রচারে পরিবর্তন করার উদ্যোগ শুরু হয়েছে৷ তিনি জানান , বিবিধ ভারতী , কলকাতায় রবিবার ১৬ ঘন্টা ২০ মিনিট এবং অন্য কাজের দিনে ১৫ ঘন্টা ২০ মিনিট গানের অনুষ্ঠান সম্প্রচার হয়৷ এই সময়ের মধ্যে মাত্র চার ঘণ্টা বাংলা গানের অনুষ্ঠান থাকে৷ এই সময় আরও বাড়ানোরও সুপারিশ করেছেন তিনি৷ আকাশবাণীর সংগ্রহশালায় সংরক্ষিত নানা রেকর্ডিংও ইন্টারনেটের মাধ্যমে বাজারে আনার উদ্যোগ শুরু হয়েছে বলে জানান তিনি৷ এ ব্যাপারে প্রসার ভারতী তিনটি অন্তর্জাতিক মানের সংস্থার সঙ্গে কথা বলছে৷

Friday 26 December 2014

রাজ্যে জাঁকিয়ে শীত, শহরে মরসুমের শীতলতম দিন


http://farm8.static.flickr.com/7494/15813161646_29bf8ef323_m.jpgনতুন বছর আসার আগেই আরও নামল শহরের তাপমাত্রা। আজ মরসুমের শীতলতম দিন। শহরের তাপমাত্রা নামল ১১.৪ ডিগ্রি সেলসিয়াসে। স্বাভাবিকের থেকে যা ৩ ডিগ্রি কম। জেলাগুলিতেও পাল্লা দিয়ে নেমেছে তাপমাত্রা। বর্ধমান ও বাঁকুড়ার তাপমাত্রা নেমেছে ৮ ডিগ্রি সেলসিয়াসে। পুরুলিয়ার তাপমাত্রা ৭ ডিগ্রি সেলসিয়াস। উত্তরবঙ্গের বেশ কয়েকটি জেলা সহ অন্য কয়েকটি জেলাতেও তাপমাত্রা নেমেছে ১০ ডিগ্রির নীচে। কয়েকটি জেলাতে তৈরি হয়েছে শৈত্যপ্রবাহের পরিস্থিতি । অন্যদিকে, রাজধানী দিল্লিতেও আজ তাপমাত্রা নেমেছে চার ডিগ্রির নীচে। প্রচণ্ড ঠান্ডায় একজনের মৃত্যু হয়েছে বলেও জানা গেছে। কুয়াশার জন্য বাতিল করা হয়েছে দূরপাল্লার বহু ট্রেন। অনেক ট্রেনেরই সময়সূচি বদলানো হয়েছে।

স্বপরিবারে পিকে সিনেমা দেখলেন মুন্নাভাই


http://images.indianexpress.com/2014/12/sanjaydutt-maanyata-son-daughter.jpgরাজকুমার হিরানির ছবি ‘পিকে’র এক গুরুত্বপূর্ণ অংশ তিনি।তাঁকে ছাড়াই মুক্তি পেয়েছে ‘পিকে’।সেকারণে মুক্তির সাতদিন পরেও তাঁর জন্য ব্যবস্থা করা হয়েছিল স্পেশাল স্ক্রিনিংয়ের৷জেল থেকে বিশেষ ‘ছুটি’ পেয়ে বাড়ি ফিরে সপরিবারে দেখলেন ‘পিকে’।
গতকাল ছবির পরিচালক রাজকুমার হিরানী ও প্রযোজক বিধু বিনোদ চোপড়া সঞ্জয়ের জন্য ‘পিকে’র বিশেষ প্রদর্শনীর ব্যবস্থা করেছিলেন।এখানে স্ত্রী মান্যতা এবং সন্তান ইকরা ও শাহরানের সঙ্গে একসঙ্গে বসে পিকে দেখেছেন সঞ্জয়।তবে এখানে উপস্থিত থাকতে পারেননি আমির খান ও অনুষ্কা শর্মা।
মুম্বাই সিরিয়াল বিস্ফোরণের সঙ্গে জড়িত থাকায় দোষী সাব্যস্ত সঞ্জয়ের ৫ বছরের জেল হয়। পুণের ইযেরওয়াড়া জেলে রাখা হয় তাঁকে। এরই মধ্যে বেশ কয়েকবার প্যারোলে জেলের বাইরে এসেছেন সঞ্জয়।
প্রসঙ্গত উল্লেখ্য,রাজকুমার হিরানী সঞ্জয়ের জীবন কাহিনী নিয়ে একটি চিত্রনাট্য লিখতে চলেছেন।শোনা যাচ্ছে মুন্নার চরিত্রে অভিনয় করবেন রণবীর কাপুর।

ব্রিটেনে বড়দিনের উপহার হিসেবে দেওয়া হচ্ছে ড্রোন


http://www.ottawastar.com/wp-content/uploads/2014/11/Drone_1.jpgবড়দিনের দিনে সকালে চকলেটসহ নানা জিনিস উপহারস্বরূপ মানুষের হাতে তুলে দেওয়াই রীতি ব্রিটেনে। জেনারেশন y য়ের যুগে ব্রিটেনে বড়দিনে জনপ্রিয় উপহার হচ্ছে ড্রোন। বহু মানুষই ক্রিসমাসের শুভেচ্ছা হিসাবে এই ড্রোন উপহার হিসাবে একে অন্যের হাতে তুলে দিচ্ছেন। তবে কর্তৃপক্ষ রিমোট চালিত এই বিমান উড়ানোর ব্যাপারে ইতিমধ্যে সতর্ক করে দিয়েছে। সতর্কবার্তায় সিভিল অ্যাভিয়েশন জানাচ্ছে, সাধারণ মানুষকে লোকজনকে খুব সাবধানে এই ড্রোন উড়াতে বলেছে, অন্যথায় নানান সমস্যায় পড়তে হতে পারে তাঁদের।
যেসব ড্রোন ৬শো মিটারেরও বেশি উঁচুতে উড়তে পারে সেগুলি ইতিমধ্যে বেশ কয়েকবার বাণিজ্যিক বিমানের সঙ্গে ধাক্কা লেগে যাওয়ার উপক্রম হয়েছিল। কিন্তু অল্পের জন্যে শেষ পর্যন্ত সংঘর্ষ এড়ানো সম্ভব হয়। সেই কারণেই এই সতর্কবার্তা বলে জানাচ্ছে সিভিল অ্যাভিয়েশন। কিছু কিছু এলাকায় এই ড্রোন উড়াতে গেলে যথাযথ কর্তৃপক্ষের কাছ থেকে অনুমতি নিতে হয়। কেউ যদি নিয়ম না মেনেই ড্রোন ওড়ায় তাহলে তাঁর ৮,০০০ ডলার পর্যন্ত জরিমানা হতে পারে।

অ্যান্ড্রয়েডের জায়গা দখলে বাজারে আসছে firefox


http://rack.2.mshcdn.com/media/ZgkyMDEzLzEwLzIzLzYzL0ZpcmVmb3hQaG9uLjU3NGNmLmpwZwpwCXRodW1iCTk1MHg1MzQjCmUJanBn/70855a31/b5c/FirefoxPhone.jpgঅ্যান্ড্রয়েডকে প্রতিযোগিতায় ফেলতে বাজারে আসছে নয়া অপারেটিং সিস্টেম৷ LG ও Firefox যৌথভাবে নয়া এই অপারেটিং সিস্টেমটি আনছে৷ আগামী বছরের শুরুতে নয়া এই অপারেটিং সিস্টেমের স্মার্টফোনটি বাজারে আসছে৷ নয়া এই মডেলটির নাম LG Fx0 ৷ নয়া এই স্মার্টফোনটির অপারেটিং সিস্টেম Firefox 2.0৷ এছাড়া আছে 1.2GHz প্রসেসর ও 1.5 GB RAM ৷ LG-র নয়া মডেলে আছে ৮ মেগাপিক্সেল ক্যামেরা এবং আছে সেলফির জন্য ২.১ মেগাপিক্সেল ফ্রন্ট ক্যামেরা৷ ৪.৭ ইঞ্চির HD ডিসপ্লে’র LG এই ফোনে এছাড়া আছে 2370mAh ব্যাটারি৷ এছাড়া আছে ১৬ জিবি ইন্টারন্যাল মেমোরি৷ যা মাইক্রো এসডি কার্ডের মাধ্যমে বাড়ানো যাবে ৬৪ জিবি পর্যন্ত৷নয়া এই মডেলটি সর্বপ্রথম জাপানে আনা হচ্ছে৷তবে কবে নাগাদ ভারতে আনা হবে এবং ভারতের বাজারে দাম কত হবে তা সংস্থার তরফে এখনও কিছু জানানো হয় নি৷

একছাদের তলায় দেড়হাজার বছরের মুদ্রা

গুপ্ত পরবর্তী যুগে এই বাংলায় হরিকেল রাজ্যের কথা হয়তো শুনেছেন , কিন্ত্ত তাঁদের ব্যবহূত মুদ্রা কেমন দেখতে ছিল জানেন ? আজ থেকে কলকাতার বালিগঞ্জে যে মুদ্রা উত্সব শুরু হচ্ছে , সেখানে দেখা মিলবে এই মুদ্রার৷ হরিকেল থেকে শুরু করে আধুনিক যুগের বাংলার মুদ্রা থাকছে প্রদর্শনীতে৷ আয়োজক নিউমিসম্যাটিক সোসাইটি অফ ক্যালকাটা৷ এ বারের উত্সবের আহ্বায়ক কুণাল চট্টোপাধ্যায় বলেন , ‘হরিকেল মুদ্রা থেকে শুরু করে বিভিন্ন সময়ে বাংলায় ব্যবহূত মুদ্রা থাকবে এই প্রদর্শনীতে৷ আলাদা ভাবে থাকছে বিদেশি মুদ্রা ও স্বাধীন ভারতের মুদ্রাও৷ ’প্রদর্শনীর পাশাপাশি থাকছে মেলার আয়োজনও৷ মেডাল , ব্যাঙ্ক নোট , ও টোকেন নিয়ে ভারতের বিভিন্ন প্রান্তের ব্যবসায়ীরা আসবেন সংগ্রাহকদের জন্য পসরা নিয়ে৷ দেশি -বিদেশি সাধারণ ও স্মারক মুদ্রা , প্রুফ ও আনসার্কুলেটেড কয়েন , কালার্ড কয়েন তো সংগ্রহ করতেই পারবেন উত্সাহীরা৷ নোয়াখালি , কুমিল্লা ও চট্টগ্রাম -সহ বাংলাদেশের বিস্তীর্ণ অঞ্চল জুড়ে প্রাচীন হরিকেল রাজ্য ছিল সন্তম শতাব্দীর মাঝামাঝি সময় থেকে অষ্টম শতক পর্যন্ত৷ চৈনিক বৌদ্ধ পর্যটক আইসিনের বিবরণে এই রাজ্যের কথা রয়েছে৷ তারও আগে এই বাংলায় ছিল চন্দ্রকেতুগড় , এখনও তার ধ্বংসাবশেষ দেখা যায় উত্তর ২৪ পরগনার বেড়াচাঁপায়৷ সেখান থেকেও শুঙ্গ-সহ বিভিন্ন যুগের মুদ্রা পাওয়া গিয়েছে৷ মুঘল যুগের মুদ্রাও থাকছে , যা ফারসি হরফে লেখা৷ সুলতানি যুগের মুদ্রা প্রদর্শিত হবে পৃথক ক্যাবিনেটে৷ তখন অবশ্য আরবি হরফ থাকত মুদ্রায়৷ ত্রয়োদশ থেকে সন্তদশ শতকের মুদ্রাগুলি এই দুই রাজত্বের৷ তবে সবচেয়ে বড় আকর্ষণ হয়তো গুন্তযুগের মুদ্রা৷ কোম্পানির আমলে ব্রিটিশ যুগে কলকাতার টাঁকশালে তৈরি মুদ্রাও থাকছে প্রদর্শনীতে৷ এ ছাড়া সারা বিশ্বের মুদ্রার জন্যও আলাদা ক্যাবিনেট থাকছে৷ এক কথায় দেড় হাজার বছরের বঙ্গ জনপদের মুদ্রার ইতিহাস এক ছাদের তলায় , মাত্র ন ’টি ক্যাবিনেটে৷
শুক্রবার সকালে এই উত্সবের সূচনা করবেন অবসরপ্রান্ত সেনাপ্রধান শঙ্কর রায়চৌধুরী৷ থাকবেন ভারত সেবাশ্রম সঙ্ঘের সাধারণ সম্পাদক স্বামী বিশ্বাত্মানন্দ , বিচারপতি সুশান্ত চট্টোপাধ্যায় ও প্রাক্তন অর্থমন্ত্রী অসীম দাশগুন্ত৷ মেলা চলবে রবিবার পর্যন্ত, সকাল ১১টা থেকে সন্ধ্যা ছ ’টা পর্যন্ত৷
২৭ ডিসেম্বর নিলামও হবে৷

Thursday 25 December 2014

ইসরোর উদ্যোগে সুন্দরবনে বসছে সেন্সর স্যাটেলাইট


http://www.topnews.in/files/ISRO-Logo.jpgএ বারে সুন্দরবনের আবহাওয়া নিয়ে গবেষণা চালাতে চলেছে ইসরো। সুন্দরবন কৃষ্টিমেলা ও লোক সংস্কৃতি উত্‌সবের মঞ্চে ইসরোর কলকাতা ইউনিটের জেনারেল ম্যানেজার দিব্যেন্দু দত্ত এ কথা জানান। খুব শীঘ্রই সুন্দরবনে সেই আবহাওয়া গবেষণার কাজ শুরু হবে।
উত্তর ও দক্ষিণ ২৪ পরগনার ১০২টি দ্বীপ নিয়ে গঠিত হয়েছে সুন্দরবন। যার মধ্যে ৫৪টি দ্বীপে প্রায় ৫০ লক্ষ মানুষের বাস। আয়তন ৯৬৩০ বর্গকিলোমিটার। ভারতে সুন্দরবনের পূর্বদিকে রায়মঙ্গল, কালিন্দী ও ইছামতী নদী এবং পশ্চিমে হুগলি নদী। উত্তরে জাম্পিয়র হজেস লাইন এবং দক্ষিণে বঙ্গোপসাগর। ২১.৩২ ডিগ্রি উত্তর থেকে ২২.৪০ ডিগ্রি উত্তর অক্ষরেখা এবং ৮৮.৫ ডিগ্রি পূর্ব থেকে ৮৯.১ ডিগ্রি পূর্ব দ্রাঘিমা রেখায় সুন্দরবন অবস্থিত। বলা যায় প্রাকৃতিক বিপর্যয় সুন্দরবনের নিত্যসঙ্গী। আয়লার মতো প্রাকৃতিক দুর্যোগ এখনও সুন্দরবনের মানুষের টাটকা স্মৃতি হয়ে রয়েছে। কিন্তু এমন দুর্যোগের কবলে পড়ার আগেই যাতে মানুষ সতর্ক হয়, সে কারণে এ বার উদ্যোগী হয়েছে ইসরো।
দিব্যেন্দুবাবু জানান, সুন্দরবনের প্রত্যন্ত এলাকায় ১১টি স্বয়ংক্রিয় স্যাটেলাইট ওয়েদার স্টেশন গড়বে ইসরো। আপাতত সুন্দরবনের ১১টি দ্বীপকে বেছে নিয়ে ২৫-৩০ ফুট উঁচু টাওয়ার তৈরি করা হবে। সেখানে বসানো থাকবে ৭টি বা ১০টি করে উন্নতপ্রযুক্তির সেন্সর। যে সেন্সরের মাধ্যমে আবহাওয়ার পরিবর্তন বোঝা যাবে। যা মাত্র ৩০ মিনিট অন্তর মোবাইল, বেতার এবং টেলিভিশনের মাধ্যমে জানতে পারবেন সাধারণ মানুষ। এমনকী, এই টাওয়ারগুলি থেকে খবর পৌঁছবে ইসরোর আমেদাবাদের মূল দফতরেও। সেখান থেকেই বিশ্লষণ করা সম্ভব হবে আবহাওয়ার গতি প্রকৃতি। এতে কৃষক থেকে শুরু করে মত্‌স্যজীবী সকলেই উপকৃত হবেন। তা ছাড়া, প্রাকৃতিক বিপর্যয় আসার পূর্বাভাস জানতে পারলে মানুষ সাধ্যমতো তাঁর জীবন জীবিকা রক্ষা করার চেষ্টা করবে। এক কথায়, কেন্দ্রীয় সরকারের এই পদক্ষেপ সুন্দরবনবাসীর কাছে আশীর্বাদ হতে চলেছে। যার ফলে সময়ের সঙ্গে সঙ্গে পরিবর্তিত পরিস্থিতিতে জীবন-জীবিকা ও সার্বিক উন্নয়নের পরিকল্পনা পরিবর্তন করার সুযোগ থাকছে। ফলে উন্নত প্রযুক্তির মাধ্যমে চাষাবাদ থেকে শুরু করে সার্বিক উন্নয়নে সুন্দরবনবাসী অনেক বেশি সুবিধা পেতে চলেছেন।
এ প্রসঙ্গে দিব্যেন্দুবাবু বলেন, “ভারতের বিভিন্ন প্রান্তের আবহাওয়া-সংক্রান্ত ডেটা ব্যাঙ্ক থাকলেও সুন্দরবনের আবহাওয়া-সংক্রান্ত কোনও ডেটা ব্যাঙ্ক ছিল না। এ বার সেটা হবে। তা ছাড়া, ইসরো রাজস্থান, কেরল, গুজরাট-সহ বিভিন্ন উপকূলবর্তী এলাকায় কাজ করছে। তবে আবহাওয়া গবেষণার ব্যাপারটি সুন্দরবনে প্রথম।” সুন্দরবন কৃষ্টি মেলা ও লোক সংস্কৃতি উত্‌সবের চেয়ারম্যান লোকমান মোল্লা বলেন, “জীবন যেখানে অনিশ্চিত, মৃত্যু যেখানে প্রতি মুহূর্তে হাতছানি দেয়, সেখানে এ ধরনের উদ্যোগ এক ঐতিহাসিক নজির বললে ভুল হবে না।” anandabazar

থ্রিডি প্রিন্টিং এর পর এবার আসছে ফোরডি প্রিন্টিং


“ফোরডি প্রিন্টিং” পদ্ধতিটি ব্যবহার করে গবেষকেরা এমন ধরণের কাঠামো তৈরি করতে পারবেন যা সময়ের সাথে নিজের আকৃতি পরিবর্তন করতে সক্ষম হবে।বর্তমানে অনেক উপাদান ব্যবহার করা হয় থ্রিডি প্রিন্টিং এর ক্ষেত্রে। এর মাঝে রয়েছে প্লাস্টিক, সিরামিক, কাঁচ, ধাতু এমনকি চকলেট এবং জীবকোষ। থ্রিডি প্রিন্টিং মেশিন কাজ করে অনেকটা সাধারণ প্রিন্টারের মতই তবে থ্রিডি প্রিন্টার একের ওপর এক উপাদানের স্তর দিয়ে তৈরি করতে পারে ত্রিমাত্রিক অবয়ব। পশ্চিমা বিশ্বে এই প্রযুক্তি অনেকটাই সহজলভ্য এখন। এর সাহায্যে তৈরি করা হচ্ছে খেলনা, ঘরোয়া তৈজসপত্র, যন্ত্রপাতি ইত্যাদি।থ্রিডি প্রিন্টিং এর পর এক ধাপ অগ্রসর হয়ে এবার ফোরডি প্রিন্টিং এর সুচনা হতে চলেছে। এক্ষেত্রে থ্রিডি প্রিন্ট করা বস্তু সময়ের সাথে পাল্টাতে পারবে তাদের আকৃতি। Scientific Reports জারনালে প্রকাশিত এই গবেষণায় দেখা যায়, দুইটি ভিন্ন ধরণের উপাদান ব্যবহার করা গেলে এ কাজটি করা সম্ভব হয়। এক্ষেত্রে একটি উপাদান ছিলো শক্ত প্লাস্টিক, যা প্রিন্ট করার পর নিজের আকৃতি বজায় রাখতে সক্ষম। অন্য উপাদানটি ছিলো পানি শোষণ করতে সক্ষম এক পদার্থ যা পানিতে ডোবালে দ্বিগুন আকার ধারণ করে। ১৫ ইঞ্চি বাই ১৫ ইঞ্চির এক বর্গাকার ছকের আকারে প্রিন্ট করা হয় এই বস্তুটি। কিন্তু পানিতে ডোবানোর পর বর্গাকার এই বস্তুর পানি শোষক উপাদানের কারণে তার আকৃতি পরিবর্তিত হয়ে যায়।গবেষকেরা আশা করছেন, ভবিষ্যতে এই ফোরডি প্রিন্টিং ব্যবহার করে মেডিক্যাল ইমপ্ল্যান্ত থেকে শুরু করে গৃহস্থালি পণ্য পর্যন্ত সবই তৈরি করা সম্ভব হবে। যেহেতু এটি পরিস্থিতির সাথে আকৃতি পরিবর্তন করতে সক্ষম সুতরাং পরিধেয় তৈরি করতেও তা কাজে লাগবে।গবেষকেরা এখন চেষ্টা করছেন ফোরডি প্রিন্টিং এর মাধ্যমে অনেক বড় এবং অতিক্ষুদ্র আকৃতির বস্তু তৈরি করতে। কারণ শরীরের অভ্যন্তরে ব্যবহারের জন্য বস্তুগুলো হতে হবে ১০-১০০ গুন ছোট, আর ঘরবাড়িতে ব্যবহারের পণ্যগুলো হতে হবে ১০ গুন বড়।তবে এভাবে ফোরডি প্রিন্ট করা বস্তুর মান উন্নয়নে আরও গবেষণার অবকাশ রয়েছে। এই গবেষণায় তৈরি করা বস্তুটি মাত্র কয়েকবার ভেজা-শুকানোর পরই নষ্ট হয়ে যায়। আর আর্দ্রতা ছাড়াও অন্যান্য প্রভাবক যেমন তাপমাত্রা এবং আলোর উপস্থিতিতে পরিবর্তিত হতে পারে এমন বস্তুও তৈরি করতে চান তারা।(মূল: Charles Q. Choi, Live Science)

Wednesday 24 December 2014

যে ৪টি কারণে আপনার রক্ত হয়ে পড়ে দূষিত


http://www.visionsmartcenter.com/userfiles/Images/blood%20flow%201.jpgরক্তের প্রবাহকে ইংরেজিতে বলা হয় - The river of life। এই প্রবাহ যত সুষ্ঠুভাবে হবে ব্যক্তির দৈহিক ও মানসিক স্বাস্থ্যও তত ভালো থাকবে। স্বাস্থ্যবিজ্ঞান বলে, ব্যক্তির রক্তের স্বাস্থ্য যেমন, ব্যক্তির স্বাস্থ্যও হবে তেমনি। রক্তে দূষণ এসে গেলে ব্যক্তির সুস্থতায় বিপর্যয় আসে। এবং এ বিপর্যয় সামান্য অসুস্থতা থেকে শুরু করে হৃদরোগ, এমনকি ক্যান্সার পর্যন্ত প্রসারিত হতে পারে। রক্তে যখন বিষধর্মী বা দূষিত (toxic) পদার্থ থাকে, তখন রক্তের সেই অবস্থাকে বলে Toxemia। আর toxemia-র সঙ্গে যখন আবার অতিরিক্ত কোলেস্টেরল এবং লিপিড থাকে, তখন তাকে বলা হয় Lipo-toxemia। জেনে নিন রক্তদূষণের প্রধান কারণগুলো -

(১) স্বাস্থ্যবিরোধী আহার

এ ধরনের খাদ্য গ্রহণের ফলে অতিরিক্ত কোলেস্টেরল, ফ্যাট এবং অন্যান্য দূষিত পদার্থ রক্তস্রোতের সঙ্গে মিশে গিয়ে ধীরে ধীরে ধমনীর গায়ে জমা হয়। আবার রক্তস্রোতে উপস্থিত অতিরিক্ত ফ্যাটে রক্ত কণিকা ও প্লেটলেটগুলো জমাট বেঁধে যায়। এর ফলে রক্তের ঘনত্ব বা blood viscosity বেড়ে যায়, কমে যায় অক্সিজেন পরিবহনের ক্ষমতা, সর্বোপরি রক্তপ্রবাহ মন্থর হয়ে পড়ে। বিশেষ করে যেসব ধমনী দূষিত পদার্থ জমে সংকুচিত হয়ে গেছে, সেখানে রক্তের স্বাভাবিক গতি বাধা পায় মারাত্মকভাবে।

(২) মদ্যপান

মদ্যপানের ফলেও রক্তকণিকাগুলো জমাট বেঁধে যায়, রক্তে ফ্যাটের মাত্রা বেড়ে যায়, নষ্ট হয় বহু প্রয়োজনীয় nutrients। সেই সাথে কয়েকটি এনজাইম নিষ্ক্রিয় হয়ে পড়ার ফলে ব্যাহত হয় অক্সিজেন সরবরাহ।

(৩) ধূমপান

ধূমপানের ফলে বিষাক্ত কার্বন মনোক্সাইড গ্যাস রক্তে মিশে রক্তের অক্সিজেন অপসারিত করে। তাছাড়া ধূমপানে নষ্ট হয় ভিটামিন সি, রক্ত চলাচলে যার গুরুত্বপূর্ণ ভূমিকা আছে। এছাড়া আছে নিকোটিন যা স্নায়ুতন্ত্রকে আক্রান্ত করে, ধমনীগুলোকে সংকুচিত করে।

(৪) থাইরয়েডের ত্রুটি

থাইরয়েড গ্ল্যাণ্ডের কর্মক্ষমতা নিম্নমানের হলে স্নেহ পদার্থের বিপাক ঠিকমতো হয় না। ফলে রক্তে কোলেস্টেরল ও ফ্যাটের মাত্রা বেড়ে গিয়ে রক্ত দূষিত হয়ে পড়ে। থাইরয়েডের কর্মক্ষমতা নিম্নমানের হয় খাদ্যগত আয়োডিন অথবা ভিটামিন বি১-এর অভাবে। অতিরিক্ত শর্করা গ্রহণ করলেও ভিটামিন বি১-এর অভাব ঘটতে পারে।
তথ্যসূত্র: ডা. চিন্ময় সেনগুপ্ত, বিনা ওষুধে রোগ নিরাময়, ২০০৩

“সুপার আর্থ” খুঁজে পেলো কেপলার


http://upload.wikimedia.org/wikipedia/commons/9/9c/Telescope-KeplerSpacecraft-20130103-717260main_pia11824-full.jpgগত বছর কেপলার স্পেস টেলিস্কোপকে মেরামতের অযোগ্য ঘোষণা করে দিয়েছিলো নাসা। তাতে কিন্তু ৬০০ মিলিয়ন ডলারের এই যন্ত্র অকেজো হয়ে যায়নি মোটেও। বরং একে ব্যবহার করেই সম্প্রতি খুঁজে পাওয়া গেছে পৃথিবীর মতো এক গ্রহ, ১৮০ আলোকবর্ষ দূরে।
কেপলারের ইকুইপমেন্ট ফেইলিউরের পর একে নতুন কাজে লাগানোর পন্থা খুঁজতে থাকে নাসা। এ থেকেই তাকে পৃথিবীর মতো গ্রহ খুঁজতে লাগিয়ে দেওয়া হয়। এখন কেপলার যে আবার কাজ করছে তাই নয়, বরং সৌরজগতের বাইরের এক সুপার আর্থ খুঁজে বের করে ফেলেছে সে। HIP 116454b গ্রহটির ব্যাস পৃথিবীর তুলনায় প্রায় আড়াই গুণ বেশি। এটি যে নক্ষত্রকে প্রদক্ষিণ করে চলেছে তা আমাদের সূর্যের তুলনায় একটু ছোট, একটু শীতল। তবে গ্রহটি এর নক্ষত্রের এতো কাছাকাছি অবস্থিত যে এতে প্রাণের উপস্থিতি থাকার কথা না। তবে এটি গবেষণার জন্য আদর্শ।
সুপার আর্থ এমন এক ধরণের গ্রহ যা আমাদের সৌরজগতে অনুপস্থিত। এই গ্রহটির গড় ঘনত্ব থেকে বলা যায়, এতে সম্ভবত অনেকটা পানি আছে (তিন-চতুর্থাংশ পানি ও এক চতুর্থাংশ পাথর), অথবা নেপচুনের মতো গ্যাসীয় বায়ুমণ্ডলের এক ধরণের গ্রহ।
কেপলার মিশন থেকে দেখা যায়, পৃথিবীর চাইতে বড় এবং নেপচুনের চাইতে ছোট গ্রহ সচরাচরই দেখা যায়। ২০০৯ সাল থেকে শুরু করে কেপলার প্রায় এক হাজার পৃথিবীর মতো গ্রহ খুঁজে পেয়েছে। গত বছর কেপ্লারের দুইটি স্টিয়ারিং হুইল নষ্ট হয়ে যাবার পর বিকল্প উপায়ে একে কর্মক্ষম রাখা হয়। সূর্য থেকে আসা কণিকার চাপ কেপলারকে স্থানান্তরিত করার জন্য যথেষ্ট। এই শক্তি ব্যবহার করেই কেপলারকে নিয়ন্ত্রন করা হচ্ছিল।
(মূল: James Cave, Huffington Post)

চারদিনে একশো কোটির ক্লাবে আমিরের ‘পিকে’,চোখে জল অনুষ্কার

 http://www.bollywooduncut.com/wp-content/uploads/2014/12/Aamir-Khans-PK-To-Enter-100-CRORE-CLUB.jpg
নয়াদিল্লিঃ মাত্র চার দিন, এর মধ্যেই আমির খান, অনুষ্কা শর্মা অভিনীত ‘পিকে’ ঢুকে পড়ল একশো কোটির ক্লাবে। চারদিনে পিকে ১১৬.৬৩কোটি টাকার ব্যবসা করেছে। দর্শকের ‘পিকে’-র প্রতি সমর্থন, উত্সাহ ও ভালবাসা দেখে অভিভূত ছবির নায়িকা অনুষ্কা। টুইটারে তিনি লিখেছেন, দর্শকের এই আগ্রহ দেখে তাঁর চোখে জল এসে গেছে। তিনি প্রতিটি দর্শককে তাঁর হৃদয়ের একেবারে ভেতর থেকে ধন্যবাদ জানিয়েছেন।
গত শুক্রবারই মুক্তি পেয়েছে বিধু বিনোদ চোপড়া প্রযোজিত, আমির খান অভিনীত, রাজকুমার হিরানি পরিচালিত ‘পিকে’। আর ঠিক তারপরেই সোশ্যাল মিডিয়ার অন্যতম আলোচ্য বিষয় হয়ে উঠেছে ‘পিকে’। এই ছবিতে সুশান্ত সিংহ রাজপুত, বোমান ইরানি এবং সঞ্জয় দত্তও অভিনয় করেছেন।

Monday 22 December 2014

শীতের দাপট রুখে দিল ঘূর্ণাবর্তের মেঘ


http://www.slashdiabetes.com/wp-content/uploads/Winter-Snowman-1.jpgআচমকা কোথা থেকে হাজির একরাশ মেঘ। তা সারাদিন সূর্যের মুখ আড়াল করেই রইল। শীতের মেজাজটা হঠাৎ করে যেন ধাক্কা খেল একটু। পিকনিকে, চিড়িয়াখানায় কিংবা ইকো পার্কে পিঠে রোদ্দুর নিয়ে বসে থাকার মজাটাই যে নেই! পৌষের প্রথম রবিবার দিনের বেলাটা শীত-শীত করলেও, রাতে বেড়ে গেল তাপমাত্রা।
সার্কাস, প্রদর্শনী, মেলা, পার্ক স্ট্রিটের আলোকসজ্জা, বড়দিনের উৎসব সব সাজিয়ে যখন আরও কড়া ঠান্ডার অপেক্ষায় মহানগর, তখন হঠাৎ কেন এই ছন্দপতন?
এ দিন সকালে সর্বনিম্ন তাপমাত্রা (১৩. ৬ ডিগ্রি সেলসিয়াস) দেখে বোঝার উপায় ছিল না বেলা বাড়ার সঙ্গে সঙ্গে কী দাঁড়াবে। কিন্তু ঘড়ির কাঁটা আটটা পেরোলেও যখন সূর্যের মুখ দেখা গেল না, তখনই প্রমাদ গুনলেন শহরবাসী। এক আবহবিদের কথায়, “আকাশে মেঘ থাকায় উত্তুরে হাওয়া ছিল না। তাই সারাদিন শীত-শীত ভাবটা থাকলেও, ঠান্ডার কামড় তেমন ছিল না। বেলা বাড়তেও সূর্য সে ভাবে উত্তাপ দিতে না পারায় কিছুটা ঝিমিয়েই ছিল রবিবারের কলকাতা।”
শীতের মাঝখানে মেঘ এল কোথা থেকে? হাওয়া অফিস জানাচ্ছে, বাংলাদেশে বায়ুমণ্ডলের নীচের স্তরে একটি ঘূর্ণাবর্ত এবং দক্ষিণবঙ্গে বায়ুমণ্ডলের উপরের স্তরে একটি নিম্নচাপ রেখার জন্যই দক্ষিণবঙ্গে ঢুকেছে মেঘ। সেই মেঘই শীতের স্বাভাবিক ছন্দ নষ্ট করে দিয়েছে। বৃহস্পতিবার সর্বনিম্ন তাপমাত্রা ১৩.২ ডিগ্রিতে নেমে যাওয়া এবং তীব্র উত্তুরে হাওয়া পরিমণ্ডলে ঢুকে পড়ার পরে শীত নিয়ে যে আশা জেগেছিল, ঘূর্ণাবর্ত এবং নিম্নচাপ অক্ষরেখার জন্য আপাতত দু’একদিন তা বাস্তবায়িত হচ্ছে না।
যে ভাবে প্রথম দফাতেই ব্যাট চালিয়ে খেলতে শুরু করেছিল শীত, তাতে আশা জেগেছিল কলকাতাবাসীর। কিন্তু জোড়া প্রতিকূলতায় বর্ষশেষে কী হবে, তা নিয়ে কিছুটা দুশ্চিন্তায় উৎসবপ্রেমী বাঙালি।
তবে হাওয়া অফিস কিন্তু আশা জোগাচ্ছে। কাশ্মীরের উপর দিয়ে একের পর এক পশ্চিমী ঝঞ্ঝা যে ভাবে উত্তর ভারতের উপরে ঝাঁপিয়ে পড়েছে, তাতে কড়া ঠান্ডায় কলকাতায় বর্ষশেষের জমজমাট উৎসবের পূর্বাভাস দিয়ে রেখেছেন আবহবিদেরা। উত্তর ভারত থেকে তীব্র উত্তুরে হাওয়া মধ্য ভারত হয়ে নেমে আসছে। মধ্যপ্রদেশের বেশ কয়েকটি এলাকায় শৈত্যপ্রবাহ চলছে। রাজস্থান, পঞ্জাব, হরিয়ানা সর্বত্র কনকনে ঠান্ডা। বাংলাদেশে যে ঘূর্ণাবর্তটি তৈরি হয়েছে, সেটি সাময়িক। বায়ুমণ্ডলের উপরের স্তরে যে নিম্নচাপ রেখাটি রয়েছে, সেটির স্থায়িত্বও বেশি দিনের বলে মনে করছেন না তাঁরা।
এক আবহবিদ জানাচ্ছেন, উত্তুরে হাওয়া কোথাও যদি বাধা না পেয়ে সরাসরি দক্ষিণবঙ্গে ঢুকে পড়তে পারে, তা হলে ঘূর্ণাবর্ত, নিম্নচাপ খড়কুটোর মতো উড়ে যাবে।

Saturday 20 December 2014

আগের মতোই থাকব, পণ পড়ুয়াদের


http://i.dawn.com/primary/2014/12/549152d6d873b.jpg?r=72066059ত্রাসের রেশ এখনও মেলায়নি। হাসপাতালের বিছানায় শুয়ে পেশোয়ারের আর্মি পাবলিক স্কুলের পড়ুয়ারা জানাল, মঙ্গলবারের তালিবানি হামলা তাদের জীবনে প্রভাব ফেলবে না। লেখাপড়া শুরু করবে তারা। খেলাধুলোও চলবে পাশাপাশি। এই হামলায় যে জীবনের কিছু বদলায়নি, তালিবানকে সে বার্তা দিতেই শপথ নিয়েছে জখম শিশুরা।
তবে এর পরেও চিন্তা যাচ্ছে না শাহ মিরের। সেনা স্কুলের এই ছাত্র এখন হাসপাতালে। সেখান থেকেই বলল, “আমার ক্রিকেট টিমের বাকি খেলোয়াড়দের নিয়ে চিন্তা হচ্ছে।” জানাল, সুস্থ হওয়ার পর টিমের ‘পারফরম্যান্স’ ভাল করার দিকে মন দিতে চায় সে। ক্রিকেট যে নাবালক-মনের ক্ষতে মলমের কাজ করতে পারে তা আঁচ করেই আর্মি পাবলিক স্কুল পরিদর্শনের কথা ভেবেছে গোটা পাক ক্রিকেট দল। যে সংস্থা চলতি পাকিস্তান-নিউজিল্যান্ড সিরিজ স্পনসর করছে তার মুখপাত্র জানান, এই সিরিজ যদি পাকিস্তান জেতে, তা হলে ট্রফিটি আর্মি পাবলিক স্কুলের হাতে তুলে দেওয়া হবে। পাক ক্রিকেট বোর্ডের পাশে দাঁড়াচ্ছেন পাকিস্তানে বসবাসকারী খ্রিস্টানরাও। বড়দিনের উৎসব বন্ধ রাখছেন তাঁরা। তবু সাবধানের মার নেই। সে কারণেই পঞ্জাব প্রদেশের স্কুল ও কলেজগুলিতে শীতের ছুটির মেয়াদ বাড়ানো হয়েছে। জঙ্গি কার্যকলাপে দোষী সাব্যস্তদের ফাঁসিতে ঝোলানোর তোড়জোড় শুরু করেছে পাকিস্তান। শুক্রবার রাতে দু’জনকে ফাঁসিতে ঝোলানোও হয়।
সেনা স্কুলে হামলার মূল চক্রীর নাম জানা গিয়েছে বলে এ দিন দাবি করে পাক প্রশাসন। তারা জানায়, বৃহস্পতিবার তালিবানের ওয়েবসাইটে একটি ভিডিও প্রকাশিত হয়। এক জঙ্গি বলে, “আমাদের মহিলা ও শিশুরা শহিদ হলে তোমাদের সন্তানরাও পার পাবে না।” বক্তার নাম উমর মনসুর। তিন সন্তানের বাবা, ৩৬ বছর বয়সী উমর কট্টর জেহাদি ভাবধারায় বিশ্বাসী, পাক তালিবান প্রধান মোল্লা ফজলুল্লাহ কাছের লোক। হামলার ছক কষা তার পক্ষে অসম্ভব নয় বলে মনে করে সেনাবাহিনী।

টয় ট্রেন বাহনে সান্তা এ বার দার্জিলিঙে


এ যাত্রায় বেঁচে গেল ‘ওয়ার্ল্ড হেরিটেজ’ খেতাব। বরং, বড়দিনের মুখে দেশ-বিদেশের পর্যটকদের জন্য সুখবর, ফের চেনা ছন্দে ফিরতে চলছে ইউনেস্কো-র ‘ওয়ার্ল্ড হেরিটেজ’ হিসেবে চিহ্নিত দার্জিলিঙের টয় ট্রেন। ধস, ভূমিকম্পের জন্য টানা চার বছর বন্ধ থাকার পর আগামী ২৫ ডিসেম্বর থেকে শিলিগুড়ি থেকে দার্জিলিং পর্যন্ত টয় ট্রেন চলবে। তাই সান্তা যেন বড়দিনের উপহার নিয়ে টয় ট্রেনেই পৌঁছবেন পাহাড়ে।
http://upload.wikimedia.org/wikipedia/commons/5/57/Train-toy-final-2-720.jpg
প্রথম দিন শিলিগুড়িতে ছোট্ট অনুষ্ঠানের পর পাহাড়ি পথ বেয়ে শিলিগুড়ি জংশন স্টেশন থেকে টয় ট্রেন পৌঁছবে শৈলশহরে। পরদিন থেকে দু’টি ট্রেন চলাচল করবে। প্রতিদিন সকালে একটি আসবে দার্জিলিং থেকে, অন্যটি যাবে শিলিগুড়ি জংশন থেকে। শুক্রবার এনজেপি স্টেশনের একটি অনুষ্ঠানে এ কথা জানিয়ে দেন উত্তর পূর্ব সীমান্ত রেলের কাটিহার ডিভিশনের ডিআরএম অরুণকুমার শর্মা।
ডিআরএম বলেন, “লাইনটি সংস্কারের জন্য প্রায় ১ কোটি টাকা খরচ করেছে রেল।” উত্তর পূর্ব সীমান্ত রেলের মুখ্য জনসংযোগ আধিকারিক সুগত লাহিড়ির কথায়, ট্রেনের দৈনন্দিন সময়সূচি খুব শীঘ্রই জানানো হবে।
২০১০ সালের জুনে পাগলাঝোরায় ধসে বিধ্বস্ত হয়ে পড়ে ৫৫ নম্বর জাতীয় সড়কের ৫৫০ মিটার এলাকা। ধসের কবলে পড়ে টয় ট্রেনের ন্যারো গেজ লাইনও। পরের বছর সেপ্টেম্বরে ভূমিকম্পে আবার ক্ষতিগ্রস্ত হয় রেললাইন। তিনধারিয়া এবং পাগলাঝোরা এলাকায় লাইন উড়ে যায়। মেরামতি শুরু হয়। তবে বিভিন্ন সময়ে পাহাড়ি পথে ভঙ্গুর পাথর ও মাটি ধসে পড়ায় কাজ এগোচ্ছিল না । ক্ষতিগ্রস্থ এলাকাগুলিতে বাঁক থাকায় তা টিকিয়ে রাখা রীতিমতো সমস্যা হয়ে দাঁড়িয়েছিল। এরপর জাপান-সহ বিভিন্ন দেশের প্রযুক্তিগত সাহায্য নিয়ে রাস্তার কাজ শুরু হয়। রাজ্য ও পাহাড়ের জিটিএ কর্তৃপক্ষের তরফে একাধিক বার কেন্দ্রের কাছে দ্রুত পরিস্থিতি স্বাভাবিক করার দাবি জানানো হয়। ৫৫ নম্বর জাতীয় সড়ক মেরামতের জন্য ১৭০ কোটি টাকা খরচ ধরা হয়।
এরই মধ্যে টয় ট্রেন বা দার্জিলিং হিমালয়ান রেলওয়ে দীর্ঘদিন বন্ধ থাকায় ওয়ার্ল্ড হেরিটেজের তকমা প্রায় মুছতে বসে। ১৯৯৯ সালের ৫ ডিসেম্বর ওই তকমা পেয়েছিল টয় ট্রেন। বিভিন্ন মহলে তা নিয়ে আলোচনা শুরু হতেই রেলের তরফে ১ কোটি টাকা বরাদ্দ ঘোষণা করে, জাতীয় সড়কটির এক পাশ দিয়ে দ্রুত নতুন করে রেল লাইন বসানো হয়। ৯ ডিসেম্বর থেকে পরীক্ষামূলক ভাবে ট্রেন চালানো শুরু হয়েছে। বড়দিনের দিনই নতুন করে ৮৭ কিলোমিটার পুরনো রুটে চলবে টয় ট্রেন। ২০১৩-এ পাগলাঝোরার বিধ্বস্ত এলাকা ঠিক হওয়ায় দার্জিলিং থেকে গয়াবাড়ি রুটে জয়রাইড শুরু হয়েছিল। একই ভাবে শিলিগুড়ি থেকে রংটং অবধিও চালানো হয়। তবে চা বাগান, জঙ্গল, পাহাড়ের পাকদণ্ডি ঘুরে ঘুম-সোনাদা পেরিয়ে পাহাড় না ছোঁয়া পর্যন্ত অস্বস্তিটা থেকে গিয়েছিল। রাজ্যের পর্যটন দফতরের প্রধান সচিব অজিতরঞ্জন বর্ধনের দাবি “টয় ট্রেন নতুন করে চালু হওয়ায় উত্তরবঙ্গের পর্যটনে জোয়ার আসবে।” anandabazar

isl final: স্পেন বনাম ইংল্যান্ডের ছায়া ফাইনালে


অর্ঘ্য বন্দ্যোপাধ্যায় ■ মুম্বইকাঁচ দিয়ে ঘেরা রুফ টপের সামনে দু’হাত বাড়িয়ে দাঁড়ালে , মনে হবে , সাগর ডাকছে , আয় -আয় -আয় ! প্রেস কনফারেন্স ছেড়ে বেরনোর মুখে আচমকা দাঁড়িয়ে গেলেন ডেভিড জেমস৷ সামনের নীল জলের দিকে তাকিয়ে বলে উঠলেন , ‘ওহ ! এক্সেলেন্ট !’ মনে হল , নিলামে নিজের সর্বস্ব খুইয়ে ফেলা মানুষটা হয়তো এক মুহূর্তের জন্য হলেও ভুললেন সব যন্ত্রণা !সে দিকে তাকিয়ে আন্তনিও আবাসও কি খঁুজে পেলেন , ফিকরু বিতর্ক সরিয়ে নতুন দিনের আলো ?আরব সাগরের কোল ঘেঁষে , ৩৪ তলার সুসজ্জিত সেই রুফ টপে পাশাপাশি বসে ছিলেন কেরালার ডেভিড জেমস এবং ইয়ান হিউম৷ মাঝখানে বিশাল ট্রফিটা রাখা৷ ব াঁদিকের দুটো চেয়ারে কলকাতার লুইস গার্সিয়া এবং আন্তনিও আবাস৷
হঠাত্ মনে হল , আচ্ছা , এটা যদি জেমস -আবাস না হলে রয় হজসন এবং দেল বস্কের প্রেস কনেফারেন্স হত ! অথবা মুখোমুখি হতেন লুই ফান হাল এবং লুইস এনরিকে ! ভাবনার পাখি ডালপালা মেললে আইএসএল ফাইনাল তো এক রকম ইংল্যান্ড -স্পেনেরই লড়াই৷
কলকাতা টিমটার দিকে তাকিয়ে দেখুন৷ স্প্যানিশ ফুটবলারের তালিকা লম্বা৷ কোচও তাই৷
কেরালায় তো আবার টিমের দুই কোচই ব্রিটিশ৷ ডেভিড জেমস খোদ ইংল্যান্ডের৷ ট্রেভর মর্গ্যানও ব্রিটিশ জাত অস্ট্রেলিয়ান৷ টিমের ভাইস ক্যাপ্টেন মাইকেল চোপড়া তো আছেনই৷ রয়েছেন দুই স্কটিশ ফুটবলারও৷ কিছু দিন যে স্কটল্যান্ড আর একটু হলে ব্রিটিশদের দখলেই চলে যাচ্ছিল৷ স্কটিশ ডিফেন্ডার জেমি ম্যাকঅ্যালিস্টার অবশ্য চোটের জন্য ফাইনালে নেই৷ তাতে কী৷ স্প্যানিশ আর্মাডার সঙ্গে ইংরেজদের লড়াই তা বলে খাটো হবে কেন ? জেমসকে প্রশ্ন করা হয়েছিল এই লড়াই নিয়ে৷ ইংল্যান্ডের বিশ্বকাপার বেশ বুদ্ধি করে উত্তরটা দিলেন৷ বললেন , ‘দুটো দেশের ফুটবল স্টাইল আলাদা৷ তবে স্টাইল যাই হোক না কেন , দিনের শেষে খেলাটা কিন্ত্ত একই৷ ফুটবল৷ ’কিন্ত সেই ফুটবল কি ক্রিকেটের শহর মুম্বইয়ে থাবা বসাতে পারল ?৩৪ তলার উপর থেকে মুম্বইয়ের একটা বিশাল অংশ দেখা যায়৷ দেখা যায় , একটু দূরের ওয়াংখেড়ে স্টেডিয়াম৷ ওখান থেকেই তো গত বছর ব্যাট -প্যাড তুলে রেখেছিলেন ‘ক্রিকেট ঈশ্বর৷ ’ একটা দিনের জন্য হলেও ক্রিকেটের মুম্বইকে দখল করবে ফুটবল এবং সেই দিনটা আজ , শনিবার৷
http://s3.india.com/wp-content/uploads/2014/10/kolkata-vs-kerela-blasters.jpg
সেটা কেন ? উত্তর একটাই৷ ভারতীয় ফুটবলের ম্যাড়ম্যাড়ে উঠোন পেরিয়ে ফাইনাল এখন স্পেন এবং ইংল্যান্ডের ! দেখার সুযোগ মুম্বই ছাড়বে কেন ?তা সেই যুদ্ধের আগে কতটা তৈরি দুটো টিম ?আতলেতি কলকাতা টিমে সেরকম কোনও পরিবর্তন নেই৷ গোয়ার বিরুদ্ধে যে টিম খেলেছিল , সেই টিমই থাকছে৷ আবাসের স্ট্যাটেজিতেও যে বদল আসবে , তা-ও নয়৷ পরে আসতে পারেন বলজিত্৷ সেটা আড়াল করতেও অবশ্য প্রেস বক্সে পর্দা ফেলে দেওয়া হল৷ যাতে সাংবাদিকরা প্র্যাক্টিস না দেখতে পান ! যাবতীয় যেটুকু জল্পনা -কল্পনা , সে তো আগের রাতেই মিটে গিয়েছে৷ ফিকরু টাফেরাকে ভারত থেকেই ফেরত্ পাঠানো হয়েছে৷ তবে ‘ফিকরু কাঁটা’ যে আবাসের গলায় বিঁধে রয়েছে , বোঝা গেল তাঁর মেজাজ দেখেই৷ ফিকরুর চলে যাওয়া কি টিমে প্রভাব ফেলবে ? শুনেই চটে গেলেন কলকাতা কোচ৷ ‘যে নেই তাকে নিয়ে ভেবে লাভ কী ? ওর তো চোট ছিল৷ তা ছাড়া ব্যক্তিগত কাউকে নিয়ে আমি কথা বলতে পছন্দ করি না৷ ’তিনি যতই এড়িয়ে যান , ফিকরু বিতর্ক ফাইনালের আগে ছড়িয়ে পড়েছে কেরল শিবিরেও৷ চেনা সাংবাদিক দেখে কেরলের অনেক ফুটবলারই জিজ্ঞাসা করছিলেন , ‘ফিকরুকে নিয়ে হলটা কী ?’হোটেলের লবিতে আড্ডা মারছিলেন আই এম বিজয়ন৷ কলকাতার সাংবাদিকদের দেখেই মজা করে বলে উঠলেন , ‘আরে ফিকরু নিয়ে প্রশ্ন আছে তো? বলে ফেলুন৷ ’ পরে বলে দিলেন ‘ওকে বাড়ি পাঠিয়ে ভালোই করেছে৷ ওর তো চোট৷ এখানে থাকলেও তো গ্যালারিতেই বসে থাকত৷ ’কেরালা টিমে বরং চোট-আঘাত রয়েছে৷ দুই গোলকিপার ডেভিড জেমস এবং সন্দীপ নন্দী , দু’জনেরই চোট৷ তা নিয়েই নামতে হবে একজনকে৷ ডিফেন্সে গুরবিন্দর নেই৷
সকালে কুপারজের প্র্যাক্টিসে তারপরেও মর্গ্যান বেশ চনমনে৷ কলকাতা -কেরলের লড়াই কিন্ত্ত কলকাতা বনাম কলকাতাও হতে পারে৷ দুটো টিমে মোট ১১ জন রয়েছেন , য াঁরা আইএসএল শেষ হলেই ইস্টবেঙ্গল -মোহনবাগানের জার্সি গায়ে চড়াবেন৷ মর্গ্যান যা নিয়ে সকালে বেশ মজাও করলেন৷
কলকাতা ডার্বি হোক বা স্পেন -ইংল্যান্ড৷ একদিনের জন্য আরব সাগরের তীরে উড়বে ফুটবলের পতাকা৷ আইএসএলের সেরা প্রান্তি বোধহয় এটাই!৷ei samay

এবার মোবাইল ফোনেও ‘বিবিধ ভারতী ’


http://vividhbharti.org/vbh/wp-content/uploads/2014/07/VBS-Logo.png১৯৫৭ সালের কথা৷ আকাশবাণীর বয়স তখন মাত্র তিরিশ বছর হলেও ভারতীয় সংস্কৃতির সে এক রক্ষণশীল অভিভাবক৷ যার চোখ এড়িয়ে চটুল হিন্দি ছায়াছবির গান মোটেই ঢুকতে পারছিল না বেতার বিনোদনের পরিসরে৷ জনমানসে দূষণ ছড়াবার অজুহাতে আকাশবাণী সে সব গান বাজাবার ছাড়পত্র দেয়নি৷ বরং শুদ্ধ সংস্কৃতির বাহক হিসেবে শুরু করা হল আধুনিক লঘু সঙ্গীতের অনুষ্ঠান ‘সুগম সঙ্গীত ’৷
ফলে সাধারণ শ্রোতা আর ভারতীয় বেতারের ভরসায় না থেকে নিজেদের বিনোদনের জন্যে সিলোনের সম্প্রচারকে আপন করে নিয়েছে৷ ঘরে ঘরে বাজছে জনপ্রিয় সব হিন্দি সিনেমার গান৷ বেতার প্রশাসনের মাথায় হাত কিন্ত্ত আকাশবাণীকে রক্ষণশীলতার রাস্তা থেকে নড়ানো গেল না৷ তখন রেডিও সিলোনকে টেক্কা দিতে ভারতীয় বেতারের ছাতার তলাতেই জন্ম নিল নতুন এক চ্যানেল --- অল ইন্ডিয়া ভ্যারাইটি প্রোগ্রাম অব লাইট মিউজিক , সংক্ষেপে ‘বিবিধ ভারতী ’৷
১৯৫৭ -র ৩ অক্টোবর মুম্বইতে তার পর চেন্নাইতে একটি করে ১০০ কিলোওয়াট শর্টওয়েভ ট্রান্সমিটার বসানো হল৷ এই সম্প্রচারের কিছুটা সময় বরাদ্দ ছিল পাকিস্তান , বাংলাদেশ , পূর্ব-এশিয়া ও আফ্রিকার আন্তর্দেশীয় শ্রোতাদের জন্য আর বাকি সময় সম্প্রচার হত দেশের বিভিন্ন বেতারকেন্দ্রের শ্রোতাদের জন্য৷ গোড়া থেকেই অসম্ভব জনপ্রিয় হল বিবিধ ভারতী৷ ১৯৬৭ -র নভেম্বর থেকে বিজ্ঞাপন আসাও শুরু হল সেখানে৷ সিনেমার গান ছাড়াও লঘু সঙ্গীত ও লোকসঙ্গীতের অজস্র অনুষ্ঠান , যন্ত্রসঙ্গীত এবং অর্কেস্ট্রার বৈচিত্র , সপরিবারে শোনার মতো নাটক , ছোটোগল্প , কুইজ এবং ‘হাওয়ামহল ’ জাতীয় হাসির নাটিকা বা ‘স্কিট ’ ‘বিবিধ ভারতী ’কে দারুণ জনপ্রিয়তা এনে দিল৷ দেশজুড়ে তখন ১ কিলোওয়াট -এর মিডিয়াম ওয়েভ ট্রান্সমিটার লাগানো হল এই অনুষ্ঠানকে দেশের ছোটো ছোটো কেন্দ্রগুলিতে ছড়িয়ে দেবার জন্য৷ আকাশবাণী কলকাতা ‘বিবিধ ভারতী ’ সম্প্রচারের আওতায় এল ১৫ অগস্ট ১৯৬০ থেকে৷ তৈরি হল দু’টি ১০ কিলোওয়াট মিডিয়াম ওয়েভ ট্রান্সমিটার (১৩২৩ কিলোহাত্র্‌জ )৷
সুবর্ণ জয়ন্তী পার করা ‘বিবিধ ভারতী ’-কলকাতা -র পরের লক্ষ্য আধুনিক উন্নত প্রযুক্তির সাহায্য নিয়ে শ্রোতার শ্রবণসীমার আরও কাছাকাছি পৌঁছন৷ এখন ‘বিবিধ ভারতী ’ শোনা যাবে মোবাইল ফোনেও৷ এর এফ এম ট্রান্সমিটার প্রতি দিন মোট ১৫ ঘণ্টা ২০ মিনিটের বর্ণময় অনুষ্ঠান পৌঁছে দেবে শ্রোতাদের কাছে৷ অনুষ্ঠান শোনা যাবে পুরো কলকাতা , দুই চব্বিশ পরগনা , হাওড়া , হুগলি , দক্ষিণ নদিয়া , বর্ধমানের ২৫ শতাংশ এলাকা এবং পূর্ব-মেদিনীপুর থেকেও৷ আগামী ২৬ ডিসেম্বর , বেলা তিনটের সময়ে প্রসার ভারতীর চিফ একজিকিউটিভ অফিসার জহর সরকার আকাশবাণী ভবনে ‘বিবিধ ভারতী ’--- কলকাতা ’র এই নতুন ট্রান্সমিটারটির উদ্বোধন করবেন৷ei samay

আর নামবে না পারদ


http://meteorogie-tpe.e-monsite.com/medias/images/7912602-thermometre-1-1.jpgবৃহস্পতিবারের ১৩ .২ ডিগ্রির পরই একলাফে ১৪ .৬ ডিগ্রিতে উঠে গেল পারদ৷ আজ , শনিবারও তাপমাত্রা নীচে নামার সম্ভাবনা কম৷ বরং , তা ১৫ ডিগ্রির আশপাশে থাকবে বলেই পূর্বাভাস৷ আবহবিদরা বলছেন , শীত থাকবে৷ তবে ঠান্ডার কামড় কিছুটা কমবে৷ হিমেল হাওয়ার কী হল হঠাত্ ? আলিপুর আবহাওয়া দন্তরের অধিকর্তা গোকুলচন্দ্র দেবনাথ বলেন , ‘উত্তর ভারত থেকে ঠান্ডা হাওয়া ঠিকই আসছে৷ তাই বিহার , ঝাড়খণ্ডে ঠান্ডার দাপট বাড়ছে৷ কিন্ত্ত বায়ুপ্রবাহের অভিমুখ কিছুটা বদলে যাওয়ায় হিমেল হাওয়া আগের গতিতে ঢুকতে পারছে না৷ সে কারণে আপাতত আর ঠান্ডা বাড়ার সম্ভাবনা নেই৷ ’ বাতাসে যথেষ্ট জলীয় বাষ্প থাকায় সকালের দিকে কুয়াশার দাপট বাড়তে পারে৷ ei samay

নাম পাল্টে করা যাবে ট্রেনযাত্রা

২৪ ঘণ্টা আগে করতে হবে লিখিত আবেদন , নয়া সিদ্ধান্ত রেলের


কসবার সিদ্ধার্থ রায় দিল্লিতে নিকটাত্মীয়ের বিয়েতে হাজির থাকার জন্য পূর্ব এক্সপ্রেসে স্লিপার ক্লাসে টিকিট বুক করেছিলেন অনেক আগেই৷ হঠাত্ রওনা দেওয়ার দু’দিন আগে অফিসের বস জানালেন , ওই সময় টানা দু’দিন জরুরি মিটিঁং -এ তাঁকে থাকতেই হবে৷ তা হলে বাড়ি থেকে আর কে যাবে দিল্লি ? অথচ সেখানে কেউ না গেলেই নয়৷ ভাই ব্যবসার কাজে ব্যস্ত৷ বাবারও বয়স হয়েছে৷ সব শুনে ভাই বলল , সে দিন দুয়েকের ছুটি ম্যানেজ করতে পারবে৷ কিন্ত্ত শেষ মুহূর্তে টিকিট পাবে কোথায় ? বেশি টাকা খরচ করার মতো অবস্থাও নেই তাদের৷
http://www.ranklogos.com/wp-content/uploads/2012/08/Indian-Railway_Logo1.jpgঅথৈ জলে পড়েছিলেন হাওড়ার সৈকত দত্ত৷ অসুস্থ শ্বশুরকে নিয়ে শ্যালক ভেলোর গিয়েছে৷ চারদিন পর তিনিও সেখানে যাবেন বলে শ্যালককে আশ্বস্ত করেছিলেন৷ সেইমতো ট্রেনে টিকিট রিজার্ভ করেছিলেন৷ কিন্ত্ত যাওয়ার দু’দিন আগে জ্বরে পড়লেন৷ অফিসে ছুটি নিয়ে তার স্ত্রী বাবার কাছে যাওয়ার জন্য টিকিট জোগাড় করতে গিয়ে খালি হাতে ফিরলেন৷
এ কোনও বিচ্ছিন্ন ঘটনা নয়৷ রেলে টিকিট বুক করে অনেককেই শেষ মুহূর্তে নানা কারণে তা বাতিল করতে হয়৷ অথচ অফিস বা পারিবারিক কারণে তাদের দিল্লি , ভেলোর বা অন্য কোন গন্তব্যে অবশ্যই যাওয়া উচিত ছিল৷ কোনও সহকর্মী বা পরিবারের কেউ যেতে চাইলেও টিকিট নেই৷ যাত্রীদের এই সমস্যা মেটাতে এবার নতুন সিদ্ধান্ত নিল রেল মন্ত্রক৷ এর পর এই ধরনের সমস্যায় পড়লে যাত্রীরা তাদের নামে সংরক্ষিত টিকিট পরিবারের অন্যের নামে পরিবর্তন করতে পারবেন৷ সেক্ষেত্রে দু’জনের মধ্যে রক্তের সম্পর্ক থাকতে হবে৷ অর্থাত্ যাঁর নামে আসন সংরক্ষিত আছে , সেই টিকিটে নাম পরিবর্তন করে বাবা , মা , ভাই , বোন , ছেলে , মেয়ে , স্বামী বা স্ত্রী সফর করতে পারবেন৷ ভারতীয় রেলের ওয়েবসাইটে এই সংক্রান্ত বিজ্ঞন্তিও দেওয়া হয়েছে৷ সেখানে বলা হয়েছে , গুরুত্বপূর্ণ স্টেশনের চিফ রিজার্ভেশন সুপারভাইজারকেই এ ব্যাপারে চড়ান্ত সিদ্ধান্ত নেওয়ার দায়িত্ব দিয়েছে রেল প্রশাসন৷
বিজ্ঞন্তি অনুযায়ী , যাত্রী যদি সরকারি কর্মচারী হন , অফিসের কাজে কোথাও যাওয়ার জন্য টিকিট বুক করে পরে তা সহকর্মীর নামে পরিবর্তন করতে পারবেন৷ তবে সেক্ষেত্রে ট্রেন ছাড়ার অন্তত ২৪ ঘণ্টা ওই যাত্রীর উর্ধ্বতন কর্তৃপক্ষকে এ ব্যাপারে রেল প্রশাসনের কাছে লিখিত আবেদন করতে হবে৷ সাধারণ যাত্রীকেও একই নিয়ম মানতে হবে৷ ছাত্রছাত্রীর গ্রুপ , ম্যারেজ পার্টি বা এনসিসি দলের ক্ষেত্রে সংশ্লিষ্ট শিক্ষা প্রতিষ্ঠানের প্রধান বা গ্রুপের প্রধানকে ট্রেন ছাড়ার ৪৮ ঘণ্টা আগে রেলের সংশ্লিষ্ট দন্তরের আধিকারিককে নির্দিষ্ট সদস্যের নাম পরিবর্তনের জন্য আবেদন করতে হবে৷ তবে একবার আবেদনের পর আর আবেদন করা যাবে না৷ আর গ্রুপের ক্ষেত্রে ১০ শতাংশ সদস্যের বেশি নাম বদলানো যাবে না৷ রেল বিভাগের ডিআইজি (পিআর ) অনিল সাক্সেনা শুক্রবার দিল্লি থেকে ফোনে বলেন , ‘যাত্রীদের সমস্যার কথা ভেবেই এই ব্যবস্থা চালু হয়েছে৷ নাম পরিবর্তনের কাজ বেশ কিছুকাল আগে শুরু হলেও সাধারণ মানুষ হয়তো জানে না৷ তবে নাম পরিবর্তনের সব আবেদনই অবশ্য স্টেশনের চিফ রিজার্ভেশন সুপারভাইজারের বিবেচনার উপর নির্ভর করবে৷

নতুন সাজে সাজছে বাগডোগরা বিমানবন্দর


http://www.darjeeling-tourism.com/darj_i000209.jpgদেশি-বিদেশি পর্যটকদের কাছে ক্রমশ বাড়ছে বাগডোগরা বিমানবন্দরের গুরুত্ব। তাই বিমানবন্দরকে ঢেলে সাজাতে একগুচ্ছ পদক্ষেপ নিয়েছে এয়ারপোর্ট অথরিটি অফ ইন্ডিয়া। আগামী বছরের ডিসেম্বর থেকে চালু হবে রাতে বিমান পরিষেবাও।
রাজ্যের অন্যতম গুরুত্বপূর্ণ বিমানবন্দর বাগডোগরা। তবে এই বিমানবন্দরের পরিকাঠানো নিয়ে বারবার প্রশ্ন উঠেছে। তাই বিমানবন্দরের আধুনিকীকরণ নিয়ে নতুন করে ভাবনাচিন্তা শুরু করছে এয়ারপোর্ট অথরিটি অফ ইন্ডিয়া। তৈরি হবে নতুন টার্মিনাল ও অপারেশন বিল্ডিং। এজন্য প্রয়োজনীয় জমি দেবে রাজ্য সরকার। তৈরি হয়ে গিয়েছে মাস্টার প্ল্যানও।
বাগডোগরা বিমানবন্দরে রাতে বিমান পরিষেবা চালু করার দাবি বহুদিনের। কিন্তু পরিকাঠামোর অভাবে তা শুরু করা যাচ্ছিল না। কর্তৃপক্ষ জানিয়েছেন, রাতে বিমান ওঠানামার জন্য বসানো হবে এয়ারফোর্স অ্যাপ্রোচ লাইট এবং ইনস্ট্রুমেন্টাল ল্যান্ডিং সিস্টেম। সব কিছু ঠিক ঠাক চললে আগামী বছরের ডিসেম্বর থেকেই শুরু হবে এই পরিষেবা।
এছাড়াও চারশো স্কোয়ার মিটারের একটি আন্তর্জাতিক টার্মিনালও গড়ে তোলা হবে বলে জানিয়েছে এয়ারপোর্ট অথরিটি অফ ইন্ডিয়া।

৪ ঘণ্টায় বেঙ্গালুরু থেকে চেন্নাই পৌঁছল ২ বছরের শিশুর হৃৎপিণ্ড


http://media.newindianexpress.com/Ambulance.jpg/2013/09/16/article1786009.ece/alternates/w620/Ambulance.jpgচেন্নাই: এদিন সকালেই বেঙ্গালুরুর একটি হাসপাতালে মৃত্যু হয় ২ বছরের ছেলেটির। তারপর চার ঘণ্টার দৌড়। দৌড় অন্য আর এক শৈশবের মুখে হাসি ফোটানোর। মৃত শিশুর হৃদপিণ্ড একটি বিশেষ বিমানে করে বেঙ্গালুরু থেকে চেন্নাই পৌঁছল। সেখানেই এক শিশুর দেহে প্রতিস্থাপিত হয় হৃদপিণ্ডটি। আর এই গোটা ঘটনাটি ঘটে ৪ ঘণ্টার মধ্যে।
তবে এক শহর থেকে আর এক শহরে হৃদপিণ্ড প্রতিস্থাপনের নজির গড়ার দৌড়টাও ছিল বেশ কঠিন। ২৫ জন বিশেষজ্ঞের একটি বিশেষ দল সকালে বেঙ্গালুরু থেকে রওনা হন। চেন্নাই বিমান বন্দর পৌঁছে সড়ক পথে বেসরকারি হাসপাতাল। পথের সমস্ত ট্রাফিক সিগনাল সবুজ করে দেওয়া হয়। অ্যাম্বুলেন্সটি যাতে কোনও বাধা না পায়, তার বিশেষ ব্যবস্থা করেছিল চেন্নাই ট্রাফিক পুলিসই। 24 ghanta

ধূমপানে জরিমানা, হাওড়া পুলিশের ঘরে ২৫ হাজার


http://medimoon.com/wp-content/uploads/2014/03/Smoking-in-Public-places.jpgকি, জনসমক্ষে ধূমপান করছেন নাকি? সাবধান৷ আশপাশে পুলিশ নেই তো? আপনাকে ধূমপান করতে দেখলেই পুলিশ কিন্তু যে কোনও সময় এসে জরিমানা করতে পারে আপনাকে৷ ‘গচ্চা' যাবে ২০০ টাকা৷ 
হাওড়া সিটি পুলিশ হাওড়া সদর এলাকাকে বছর দুয়েকের মধ্যেই ‘ধূমপানহীন এলাকা' করতে উদ্যোগী হয়েছে৷ সেই উদ্যোগেই মাঝেমধ্যে বড় ধরনের অভিযান চালাচেছ তারা৷  গত ৭ ডিসেম্বর একসঙ্গে সবক'টি থানা অভিযান চালিয়ে জরিমানা বাবদ আদায় করে প্রায় ২৫ হাজার টাকা৷ 

পুলিশ জানিয়েছে, কিছুদিন আগে এক বেসরকারি সংস্থা হাওড়ার সদর এলাকার ১১টি থানার ইন্সপেক্টরদের নিয়ে এক সচেতনতামূলক অনুষ্ঠান করে৷ অনুষ্ঠানে ধূমপান বিরোধী আইন ‘কোতপা' (সিগারেটস অ্যান্ড আদারস টোব্যাকো প্রোডাক্টস অ্যাক্ট, ২০০3) নিয়ে বিস্তারিত আলোচনা হয়৷ সেই আইন অনুযায়ী পুলিশ  হাওড়ার বেশ কয়েকটি সরকারি, বেসরকারি অফিস, হাসপাতাল-সহ বিভিন্ন্ এলাকায় পোস্টারিং করে বা নোটিস পাঠায়৷ পুলিশ জানিয়েছে, এই আইন অনুযায়ী বাসস্ট্যান্ডে দাঁড়িয়েও ধূমপান করা বেআইনি৷ গত ৭ তারিখ, হাওড়া আদালতের সামনে, হাওড়া হাসপাতালে যাঁরা ধূমপান করেছেন তাঁদের প্রত্যেককে স্পট ফাইন করা হয়েছে৷ ওই দিন প্রতিটি থানা এলাকায় এই ধরনের অভিযান চালানো হয়৷ এ ক্ষেত্রে সাব-ইন্সপেক্টর স্তরের আধিকারিকরা  প্রমাণ স্বরূপ নিজের মোবাইলে বা পকেট ক্যামেরায় ধূমপায়ীর ছবি তুলে রাখছেন৷ তারপর সঙ্গে সঙ্গে তাঁদের জরিমানা করছেন, দেওয়া হচেছ পাকা রসিদও৷ তবে, রাস্তায় হাঁটতে হাঁটতে বা ব্যক্তিগত গাড়িতে যাওয়ার সময় ধূমপান করলে পুলিশ ধরবে না বলে জানানো হয়েছে৷ 

পুলিশ সচেতনতামূলক প্রচার অভিযান চালাচ্ছে বিভিন্ন্ কলেজ, অফিসে৷ এ ভাবে কি প্রকাশ্যে ধূমপান বন্ধ করা সম্ভব? নাম জানাতে অনিচ্ছুক এক পুলিশ আধিকারিক জানান, "দশ বছর আগেও কিন্তু ট্রেনে, বাসে যাত্রীরা ধূমপান করতেন৷ এখন সেই দৃশ্য প্রায় বিরল৷ কঠোর আইন হলে এবং মানুষ সচেতন হলে সম্ভব৷" তথ্য বলছে, ধূমপানের জেরে প্রতি বছর ক্যানসারে আক্রান্ত হন ৪০ শতাংশ মানুষ৷ ১৫ বছর বা তার নিচের ১৪ শতাংশ কিশোর ধূমপানে আসক্ত৷ তাই ধূমপানের বয়স ১৮ থেকে বাড়িয়ে ২৫ বছর করে দেওয়ার ভাবনা-চিন্তা করছে সরকার৷pratidin

লকভির জামিন প্রসঙ্গে পাকিস্তানকে কড়া বার্তা মোদির


http://newstrack.outlookindia.com/images/modi2_20141210_1_2.jpgনয়াদিল্লিঃ বৃহস্পতিবারই পাকিস্তানের এক সন্ত্রাসবাদ দমন আদালত ২৬/১১-র হামলার মূল চক্রী জাকিউর রহমান লকভির জামিনের আর্জি মঞ্জুর করে। এরপরই সমালোচনার ঝড় ওঠে সীমান্তের এপাড়ে। তারপরই সিদ্ধান্ত নেওয়া হয় লকভি আপাতত জামিন পেলেও তাকে এখনই জেল থেকে মুক্তি দেওয়া হবে না। পরে নতুন মামলা রুজু করে তাকে ফের হেফাজতে নেয় পাকিস্তান পুলিশ। বর্তমান পরিস্থিতি বিবেচনা করে, ভারত পাকিস্তানকে কড়া ভাষায় তাঁদের এবিষয় কি মনোভাব জানিয়েও দিয়েছে, সংসদে দাঁড়িয়ে আজ একথা জানিয়েছেন প্রধানমন্ত্রী নরেন্দ্র মোদি।
সম্প্রতি ঘটে যাওয়া পেশোয়ারে সেনা স্কুলে জঙ্গি হামলার পর, লকভিকে জামিনে মুক্তি দেওয়া, ভারত এবং গোটা বিশ্বের কাছেই মারাত্মক বিষ্ময়কর, মন্তব্য মোদির। প্রধানমন্ত্রী দাবি করেন, পাকিস্তানের আদলতের এই রায় শুধু দুর্ভাগ্যজনক নয়, নিন্দনীয়ও বটে, কারণ এখনও সারা দুনিয়ার কাছে পেশোয়ারের স্কুলে নিষ্পাপ শিশুদের হত্যালীলার স্মৃতি তরতাজা।সেদিন সীমান্তের এপাড়েও প্রতিটা মানুষ কেঁদেছিল সেই খুদে পড়ুয়াদের নিথর দেহ দেখে।
এবিষয় ভারতের বিদেশমন্ত্রী সুষমা স্বরাজ জানিয়েছেন, লকভিকে জামিনে মুক্তি দেওয়ার সিদ্ধান্ত নিয়ে পাকিস্তান নিজেদেরই বিশ্বদরবারে হাস্যকর করে দিয়েছে। জঙ্গি দমনের যে প্রক্রিয়া তারা শুরু করেছে বলে বিশ্বের কাছে ঘোষণা করেছে, তাই এখন প্রশ্নের মুখে দাঁড়িয়ে। লকভির সঙ্গে ২৬/১১-র হামলার যে যোগ রয়েছে, সেবিষয় কোথাও কোনও বিতর্ক নেই, দাবি, বিদেশমন্ত্রীর। abp ananda

লোকসভায় পেশ হল পন্য পরিষেবা বিল


http://www.moneycontrol.com/news_image_files/2014/356x200/g/GST_16_9_4517_356.jpgনয়াদিল্লি: সংস্কারের পথে বড় ধাপ। দীর্ঘ টালবাহানার পর অবশেষে বহুচর্চিত অভিন্ন পণ্য পরিষেবা কর (জিএসটি) পেশ হল লোকসভায়। শুক্রবার নিম্নকক্ষে বিলটি পেশ করেন কেন্দ্রীয় অর্থমন্ত্রী অরুণ জেটলি. এই বিলের মাধ্যমে একটি জাতীয় বিক্রয় কর চালু করার পরিকল্পনা করেছে কেন্দ্র। তাদের আশা, একবার এই কর চালু হলে দেশের মোট অভ্যন্তরীণ উত্পাদনের হার ১-২ শতাংশ বাড়বে। ফলে, দেশের সংস্কারের জট অনেকটাই কাটবে।
এদিন জেটলি জানান, সম্প্রতি বিভিন্ন রাজ্যের অর্থমন্ত্রীদের নিয়ে গঠিত অর্থ-সংক্রান্ত উচ্চ-পর্যায়ের কমিটির বৈঠকে এই বিল নিয়ে প্রায় ঐকমত্যে পৌঁছনো সম্ভব হয়েছে। তিনি আশ্বাস দেন, এখানে কোনও পক্ষপাতিত্ব হবে না। প্রতিটি রাজ্যের স্বার্থ যাতে রক্ষা হয়, কেন্দ্র তা ওপর নজর রাখছে। তিনি বলেন, কোনও রাজ্যই এক টাকা রাজস্ব হারাবে না। বস্তুত, ২০১১ সালে প্রাক্তন প্রধানমন্ত্রী মনমোহন সিংহের নেতৃত্বাধীন তত্কালীন ইউপিএ সরকার লোকসভায় সংবিধান সংশোধনী বিল পেশ করেছিল। সেই সময়ে বিলের অন্তর্ভুক্তির পরিবর্তে রাজ্যগুলি পাঁচ-বছরের ক্ষতিপূরণ দাবি করায় সে যাত্রায় আর বিলটি পাশ করানো সম্ভব হয়নি।
এদিন জেটলি জানান, কেন্দ্রীয় বিক্রয় করের (সিএসটি) কমে যাওয়ার ফলে রাজ্যগুলির যে আংশিক ক্ষতি হবে, তার জন্য তারা প্রাথমিকভাবে ১১ হাজার কোটি টাকা পাবে। ২০০৫ সালে রাজ্য-পর্যায়ের ভ্যাট চালু হওয়ার পর দুধাপে সিএসটি ৪ শতাংশ থেকে কমে দাঁড়ায় ২ শতাংশে।
তবে, লোকসভায় বিল পাশ হলেও রাজ্যসভায় বিল পাশ করতে কাঠখড় পোড়াতে হবে কেন্দ্রীয় সরকারকে বলেই মনে করছে রাজনৈতিক মহল। কারণ, লোকসভায় বিজেপি নেতৃত্বাধীন এনডিএ সরকার সংখ্যাগরিষ্ঠ হলেও, রাজ্যসভায় তারা সংখ্যালঘু।
এদিকে, পশ্চিমবঙ্গের দাবি-দাওয়া না-মেনে কেন্দ্রীয় সরকার পণ্য-পরিষেবা কর (জিএসটি) চালু করতে চাইলেও মমতা তা মানতে নারাজ। জিএসটি বিলকে রুখতে বৃহস্পতিবারই দলের সাংসদদের তৃণমূল নেত্রী নির্দেশ দিয়েছেন, লোকসভা ও রাজ্যসভায় এর বিরুদ্ধে সরব হতে। মমতার বক্তব্য, ‘যে-ভাবে পশ্চিমবঙ্গকে অগ্রাহ্য করে পণ্য-পরিষেবা কর চালুর চেষ্টা হচ্ছে, তা ডেথ অব ফেডারেল ডেমোক্র্যাসি।’ তৃণমূল নেতৃত্বের যুক্তি, রাজ্যের অর্থমন্ত্রীদের একটি কমিটির সঙ্গে বৈঠক করে কেন্দ্রীয় অর্থমন্ত্রী অরুণ জেটলি জিএসটি চালুর সিদ্ধান্ত নিয়েছেন। কিন্তু সেই কমিটিতে পশ্চিমবঙ্গের অর্থমন্ত্রী অমিত মিত্রকে রাখা হয়নি। অথচ পশ্চিমবঙ্গের তরফে যে সব দাবি ছিল, সেগুলোও মানা হয়নি।
তবে সেই দাবি খারিজ করে দিয়েছেন জেটলি। অর্থ মন্ত্রক সূত্রে অবশ্য দাবি করা হচ্ছে, রাজ্যের অর্থমন্ত্রীদের এমপাওর্য়াড কমিটি থেকে কাউকেই বাদ দেওয়া হয়নি। সেখানে সব রাজ্যকে রাখা হয়েছিল। যদিও সেই কমিটি জিএসটি নিয়ে ঐকমত্যে পৌঁছতে সক্ষম না হওয়ায়, পরে ছোট ছোট কমিটি করে সমাধানসূত্র বের করা হয়। উল্লেখ্য, বুধবার জিএসটি চালুর জন্য সংবিধান সংশোধনী বিলে অনুমোদন দিয়েছে কেন্দ্রীয় মন্ত্রিসভা। abp ananda

Friday 19 December 2014

ললিপপ আপডেট


http://pic.youmobile.org/imgcdn/galaxy_s5_lollipop_update.jpgঅ্যান্ড্রয়েড ৫.০ ললিপপ অপারেটিং সিস্টেমের প্রথম আপডেট ছাড়তে যাচ্ছে গুগল। আগামী বছরের শুরুতেই গুগল তাদের জনপ্রিয় অ্যান্ড্রয়েড সফটওয়্যারের সর্বশেষ সংস্করণ ললিপপের আপডেট ৫.১ উন্মুক্ত করবে। প্রযুক্তি বিষয়ক ওয়েবসাইট সিনেট এক খবরে এ তথ্য জানিয়েছে।
ললিপপের আপডেট সংস্করণে নোটিফিকেশন, সংযোগ প্রভৃতি বিষয়গুলোকে আরও উন্নত করবে গুগল। এ ছাড়াও বেশ কিছু বাগ বা সফটওয়্যার ত্রুটিও দূর হবে। ললিপপ ইনস্টলে ফোন থেকে সাইলেন্ট মোড ফিচারটি গায়েব হয়ে যায়। আপডেট সংস্করণে সেটিও ঠিক হয়ে যাবে।
এ বছরের অক্টোবর মাসে অ্যান্ড্রয়েড ললিপপ উন্মুক্ত করার আনুষ্ঠানিকভাবে ঘোষণা দিয়েছিল গুগল।

ফোন ছাড়া ঘুমাবেন যেভাবে


http://www.amta.org.au/images/SLEEP-email?size=5এখন অনেকেই ঘুমানোর সময় মোবাইল ফোনটি সঙ্গী করে ঘুমান। বালিশের পাশে বা নিচে পড়ে থাকা ফোনটিতে কল এলে আচমকা ঘুম ভেঙে যায়। বিছানায় ফোন সঙ্গী করে ঘুমানোর এই অস্বাস্থ্যকর অভ্যাসটি থেকে মুক্তি পেতে এবং শান্তিমতো ঘুমাতে বেশ কিছু পরামর্শ দিয়েছেন প্রযুক্তি বিশ্লেষকেরা।
প্রযুক্তি বিশেষজ্ঞরা বলছেন, যাঁরা ফোন পাশে রেখে ঘুমান, আগে সেটা বন্ধ করতে হবে। ফোন থেকে নীল রঙের যে আলো নির্গত হয়, তা মস্তিষ্ককে জাগিয়ে রাখে বলে ঘুম নষ্ট হয়। যদিও কম্পিউটার, ল্যাপটপ বা ট্যাব থেকেও এ ধরনের আলো নির্গত হয়, কিন্তু ঘুমানোর আগে আপনার ছোট স্মার্টফোনটির ব্যবহারে ক্ষতি বেশি হয়।
আরেকটি বিষয় মনে রাখতে হবে। তা হচ্ছে, মোবাইল থেকে নির্গত হওয়া রেডিয়েশন বা তরঙ্গের বিকিরণের বিষয়টি। অবশ্য মোবাইল থেকে নির্গত রেডিয়েশনে ক্যানসার বা এ-জাতীয় কোনো সমস্যা সৃষ্টির বিষয়ে গবেষকেরা নির্দিষ্ট উপসংহারে পৌঁছাননি। তবে কিছু গবেষণায় দেখা গেছে, ফোনের এই রেডিয়েশনের কারণে ঘুম চক্র নষ্ট হয়। তাই ভালোমতো ঘুমাতে হলে ফোনটি দূরে রাখাই ভালো হবে।
অনেকেই বালিশের নিচে বা ঘুমানোর সময় হাতের নাগালে ফোনটি রাখেন যাতে সহজেই তা পাওয়া যায়। কিন্তু কীভাবে এই অভ্যাসটি দূর করবেন?
অ্যালার্ম ঘড়ি হিসেবে ফোন ব্যবহার
অনেকেই মোবাইল ফোনটিকে অ্যালার্ম ঘড়ি হিসেবে ব্যবহার করেন। ঘুম ভাঙানোর জন্য এখন অ্যালার্ম ঘড়ির জায়গা দখল করেছে মোবাইল ফোন। যাঁরা এ কাজ করেন তাঁরা রাতে ঘুমানোর বালিশের পাশে কিংবা বিছানার ওপর ফোন না রেখে কিছু দূরে কোনো কিছুর ওপরে ফোনটি রাখুন। এতে ফোনের রেডিয়েশন থেকে ঘুম নষ্ট হবে না। এ ছাড়াও যখন অ্যালার্ম বাজবে তখন আপনাকে উঠে গিয়ে ফোন বন্ধ করতে হবে তাই অলসতা সহজেই কেটে যাবে।
গুরুত্বপূর্ণ কল বা বার্তা শোনার অপেক্ষা
অনেকে মনে করেন রাতে গুরুত্বপূর্ণ কল বা মেসেজ আসতে পারে তাই ফোনটি হাতের কাছে রেখে দেন। জরুরি দরকারে যাতে হাতের কাছে ফোনটি থাকে সে জন্য সারা রাত ফোনটি চালু রাখেন। সমাধান হিসেবে একেবারে মাথার কাছে না রেখে ফোনটি বেশ কিছুটা দূরে রাখতে পারেন। এ ক্ষেত্রে ‘ডু নট ডিস্টার্ব’ মোডটি কাজে লাগাতে পারেন। আইফোন, অ্যান্ড্রয়েডনির্ভর ফোন বা উইন্ডোজ ফোনে এ ফিচারটি পাওয়া যায়। এতে নির্দিষ্ট কিছু নম্বর আগে থেকে প্রোগ্রাম করে রাখা যায়। শুধু জরুরি দরকারে ওই নম্বরগুলো থেকে যোগাযোগ করা যাবে। এটি সেট করাও সহজ।
আইওএসের সেটিংস থেকে ডু নট ডিস্টার্ব ফিচারটি ম্যানুয়ালি চালু করে দিতে পারেন এবং কন্ট্যাক্ট নম্বর নির্বাচন করে দিতে পারেন। অধিকাংশ অ্যান্ড্রয়েড ফোনেই সেটিংস থেকে ব্লক মোড বা ডু নট ডিস্টার্ব মোড চালু করা যায়। আপনি কার কাছ থেকে কী ধরনের নোটিফিকেশন পেতে চান, তা নির্ধারণ করে দিতে পারেন। অ্যান্ড্রয়েড ৫.০ চালিত ডিভাইসগুলোতে ভলিউম লকারে চাপ দিয়ে প্রায়োরিটি মোড চালু করে নোটিফিকেশন বন্ধ করে দেওয়া যাবে। উইন্ডোজ ফোনেও কোয়াইট আওয়ারস মোড নামে একটি ফিচার থেকে এই সুবিধা পাওয়া যাবে।
গান শুনতে শুনতে ঘুম
অনেকেই মোবাইল ফোনে গান চালিয়ে তা শুনতে শুনতে ঘুমান। দেখা যায়, মোবাইল ফোনের সঙ্গে হেডফোন লাগিয়ে তা কানে দিয়ে ঘুমানোর আগে গান চালাচ্ছেন অনেকেই। এ ক্ষেত্রে সবচেয়ে ভালো হয় ব্লুটুথ হেডফোনের ব্যবহার। আপনার ফোনটিকে দূরে রেখে আপনি ব্লুটুথ হেডফোন দিয়ে গান শুনতে পারেন। অনেক ব্লুটুথ হেডফোন দিয়ে ১০ মিটার দূর থেকেই গান শোনার সুবিধা রয়েছে। রাতে ঘুমানোর আগে তাই ফোন নির্দিষ্ট জায়গায় রেখে ব্লুটুথ হেডফোন দিয়ে গান শুনতে পারেন। বাজারে ঘুমানোর সময় কাজে লাগে—এমন বিশেষ নকশার হেডফোনও পাওয়া যায়।
ফেসবুক চালাতে চালাতে ঘুম
অনেকেই ফেসবুক চালাতে চালাতে ফোন চালু রেখেই ঘুমিয়ে যান। আবার অনেকেই ঘুমানোর আগে দীর্ঘ সময় মেইল ব্যবহার করেন বা গেম খেলেন। বিশেষজ্ঞরা বলছেন, এ ধরনের অভ্যাস ঘুমানোর জন্য মোটেও ভাল নয়। এতে মানসিক চাপ বাড়তে থাকে। আপনার ফোন ব্যবহার সীমিত করুন। রাতে ঘুমাতে যাওয়ার আগে ফোন নিয়ে যাবেন না। হাতের কাছে ফোন থাকলে তা বারবার ব্যবহার করার আগ্রহ বাড়বে। আপনার ফোন রাখার জন্য একটি নির্দিষ্ট জায়গা বরাদ্দ রাখুন। যেখানে চার্জার, হেডফোন বা অন্যান্য টুকিটাকি দরকারি জিনিসপত্র রাখেন আপনার মোবাইল ফোনটিও সেখানেই রেখে দিতে পারেন।
ফোন ব্যবহারের সময়সীমা ঠিক করুন
আপনি কতক্ষণ মোবাইল ফোন ব্যবহার করবেন তার একটি দৈনন্দিন রুটিন তৈরি করুন। আপনি বাড়িতে ঢুকেই কতক্ষণ ফোন চালাবেন, তা ঠিক করে নিন এবং কখন ঘুমাতে যাবেন—সময় নির্দিষ্ট করে রাখুন। প্রতিদিন নির্দিষ্ট ওই সময়ের মধ্যেই কেবল ফোন ব্যবহার করবেন আর রাতের বাকি সময়টাতে সকাল না হওয়া পর্যন্ত আর ফোন স্পর্শ করবেন না। এটা যদি অভ্যাস হিসেবে গড়ে ওঠে, তখন আপনার ফোনটিকে সব সময় বিছানার পাশে হাতড়ে বেড়াতে হবে না কিংবা ঘুমের বিঘ্ন হবে না। মোবাইলে ক্যান্ডি ক্রাশ খেলে ঘুমাতে যাওয়ার চেয়ে কোনো একটি বই হাতে তুলে নিতে পারেন, যাতে মস্তিষ্ক কিছুতেই বিক্ষিপ্ত না হয়। এবার ঘুমাবেন শান্তিতেই।

Tuesday 16 December 2014

ওজন দ্রুত কমাতে খাবার নির্বাচন


বাড়তি ওজনের চিন্তা কম বেশি সকলের মাথাতেই থাকে। একটু ওজন বাড়ার সাথে সাথে আমাদের মস্তিষ্ক সতর্ক হয়ে যায় তা সম্পর্কে। কিন্তু ওজন কমানোর সম্পর্কে সচেতন হই না আমরা অনেকেই। ভাবতে থাকি আজ নয় কাল ডায়েট বা ব্যায়াম শুরু করবো। আর এভাবেই বেড়ে চলে ওজন।
http://berrybreeze.com/O2bb/wp-content/uploads/2013/05/raw-food-diet-recipes.jpgআমাদের সমস্যা হলো আমরা জানি না কোন খাবারে কতো ক্যালরি রয়েছে। এর কারণে আমরা ডাক্তারের মানা থাকা স্বত্বেও অনেক ক্যালরি সমৃদ্ধ খাবার খেয়ে চুপচাপ বসে থাকি। মনে করি সামান্যই তো খেয়েছি। কিন্তু আপনি জানেন ওই সামান্য খাবারে ক্যালরি কতোটা ছিল?
আজকে দেখে নিন ২০০ ক্যালোরির বিভিন্ন খাবার এবং এর পরিমাণ। এতে করে হয়তো আপনি নিজেই বুঝতে পারবেন কোনটা আপনার কতোটুকু খাওয়া উচিত নিজের ওজনটা নিয়ন্ত্রণে রাখার জন্য। যদি এসকল খাবারের ক্যালোরির পরিমাণ বুঝে খেতে পারেন তাহলেই আপনি কমাতে পারবেন ওজন। তাহলে নিজেই নির্বাচন করুন নিজের খাবার।
১) অর্ধেকটা বার্গার: খুব অনায়েসেই আমরা একটি বার্গার খেয়ে ফেলি। কিন্তু মাত্র অর্ধেকটা বার্গারেই রয়েছে ২০০ ক্যালরি।
২) এক প্লেট আপেল :সেই তুলনায় পুরো এক প্লেট আপেলে রয়েছে মাত্র ২০০ ক্যালরি।
৩) ১০ টি ক্যান্ডি: একদিনে কতোটা ক্যান্ডি মুখে পোরেন? দেখে নিন ২০০ ক্যালরি ক্যান্ডি।
৪) ৩ টি মাঝারি ব্রকলি: অপরপক্ষে মাঝারি আকারের ৩ টি ব্রকলিতে রয়েছে ২০০ ক্যালরি।
৫) প্রায় একটি ডোনাট: একটি প্রায় গোটা ডোনাটে রয়েছে ২০০ ক্যালরি।
৬) ১ বাটি ভুট্টা: সেই তুলনায় ১ বাটি ভুট্টায় পাবেন মাত্র ২০০ ক্যালরি।
৭) সফট ড্রিংকস: ইচ্ছে হলেই সফটড্রিংকস পান করেন? দেখে নিন ২০০ ক্যালরি কতোটুকু সফটড্রিংকসে হয়।
৮) গাজর: অথচ পুরো একপ্লেট ভর্তি গাজরে পাবেন আপনি মাত্র ২০০ ক্যালরি।
৯) সামান্য চিপস: একবসায় ১ প্যাকেট চিপস খেয়ে ফেলেন? দেখুন মাত্র ১ মুঠোতেই শরীরে প্রবেশ করে ২০০ ক্যালরি।
১০) ৩ টি ডিম: কিন্তু ৩ টি ডিমে আপনি পাবেন ২০০ ক্যালরি। এবং এটি আপনার ক্ষুধার উদ্রেকও করবে না অনেকটা সময়।
১১) অল্প একটু ফ্রেঞ্চ ফ্রাই: ফ্রেঞ্চ ফ্রাই খেতে খুব ভালো লাগে? দেখুন ২০০ ক্যালোরিতে কতোটুকু ফ্রেঞ্চ ফ্রাই হয়।
১২) ১ বাটি আঙুর: অথচ ১ বাটি আঙুর মাত্র ২০০ ক্যালোরির।
১৩) মিল্ক চকলেট: চকলেট তো সবারই প্রিয়। বিশেষ করে মিল্ক চকলেট। কিন্তু মাত্র কয়েকটি মিল্ক চকলেট চিপসে রয়েছে ২০০ ক্যালরি। তাই চকলেট খেতে চাইলে ডার্ক চকলেটই ভালো।
১৪) সসেজ: সসেজ খেতে তো অনেকেই পছন্দ করেন। দেখে নিন কতোটা সসেজে রয়েছে ২০০ ক্যালোরি।
১৫) ১ গ্লাস দুধ: অথচ পুরো ১ গ্লাস দুধে রয়েছে ২০০ ক্যালরি।এবার আপনারাই নির্বাচন করুন ওজন কমাতে চাইলে খাদ্যতালিকায় কি কি যোগ করতে হবে এবং কি কি বাদ দেয়া উচিত বা কতো কম খাওয়া উচিত। আপনার খাদ্য নির্বাচনের দায়িত্ব আপনার নিজের।

জীবনে ছোট ছোট লক্ষ্যের আটটি লাভ


http://alochonaa.files.wordpress.com/2014/01/aim_of_life.jpgকথায় বলে বিন্দুতে সিন্ধু হয়। অর্থাৎ বিন্দু বিন্দু জল জমেই তৈরি হয় সাগর৷ আমাদের জীবনের সঙ্গেও এর অনেকটা মিল রয়েছে৷ ভাবছেন তো কীভাবে? তাহলে উত্তরটা দিয়েই দিই৷ জীবনে সবসময় বড় বড় লক্ষ্য আর উচ্চাশা বজায় রাখার বদলে যদি একটু পাল্টানো যায় চলার পথটা, তাহলে কেমন হয়? মানে সবসময় উঁচু স্বপ্নপূরণের দিকে না ছুটে যদি ছোট ছোট কিছু টার্গেটকে সামনে রেখে এগিয়ে চলা যায়, তাহলে জীবন হয়ে উঠবে অনেক সহজ৷
প্রায়শই আমরা বড় কোনও কিছু পেতে জীবনের ছোট ছোট ব্যাপারগুলোকে তুচ্ছ জ্ঞান করি৷ কিন্তু কেন এইসব ছোট ছোট লক্ষ্যগুলোই আমাদের চলার পথে এত গুরুত্বপূর্ণ, আসুন সেই বিষয়েই এখন জেনে নিই কিছু তথ্য-
১. বড় ভুল হওয়া আটকানো যায়- জীবনে হঠাৎ করে যখন কোনও ব্যাপারে ব্যর্থ হই বা অসাফল্য আমাদের ঘিরে ধরে, তখন আমরা কার্যতই ভেঙে পড়ি৷ কিন্তু কখনও কি তলিয়ে ভেবেছি এই বড় ভুলের পিছনে লুকিয়ে রয়েছে আরও কত ছোট ছোট পুরনো ব্যর্থতা, যেগুলো আমরা একসময় দেখেও দেখিনি৷ আর সেখান থেকেই সমস্যা তৈরি হয়েছে৷ কিন্তু যদি এইসব ছোট ছোট ভুলগুলোকে আমরা শুধরে নেওয়ার চেষ্টা করতাম তাহলে কে জানত জীবনটা আজকে অন্যরকম হতে পারত! তাই চলার পথে এইসব ছোট ছোট ঘটনা, লক্ষ্য আর তা থেকে উপলব্ধিই জীবনের চলার পথকে মসৃণ করবে৷
২.সময় ও পরিশ্রম কম লাগে- প্রায়শই আমরা জীবনে খুব তাড়তাড়ি সাফল্য চাই৷ আর শর্ট টার্ম গোল মানে জীবনের ছোট ছোট লক্ষ্যপূরণে এইসব সাফল্য খুব সহজেই আমাদের হাতের মুঠোয় চলে আসে৷ কম দিনে কাজ ঠিকঠাক সেরে ফেলতে পারলেই সাফল্যও আসবে, সঙ্গে বাড়বে আত্মবিশ্বাসও৷ ফলে পরবর্তী লক্ষ্যের দিকে সহজেই এগোতে পারব৷ আর সবচেয়ে বড় কথা এতে কম সময়ে ও শ্রমে কাজ সেরেও ফেলা যায়৷ নিজেকে খুশি রাখার এটা কিন্তু অব্যর্থ দাওয়াই৷ সঙ্গে নিয়ন্ত্রণ রাখা যায় চারপাশের পরিস্থিতির উপরও৷
৩. ফোকাসড থাকা যায়- আমাকে ইঁদুরদৌড়ে সামিল হতে হবেই ভেবে যদি আমরা এমন কোনও কাজে হাত দিয়ে ফেলি, যা আমাদের আয়ত্তের বাইরে, তাহলে আমাদের অবসাদ বাড়বে বই কমবে না৷ ফলে মাঝপথে গিয়ে কাজের ইচ্ছে হয় কমে যাবে, নয়তো আমরা একশো আশি ডিগ্রি ঘুরে কাজটাই ছেড়ে দেব৷ কিন্তু শুরুতেই যদি আমরা এই বড় কাজটাকে ছোট ছোট ভাগে ভাগ করে নির্দিষ্ট লক্ষ্যমাত্রা স্থির করে নিই,তাহলে আমাদের মানসিকচাপটা অনেকটাই কমে৷ কারণ তাতে আমরা শুধু কয়েকটি বিশেষ ব্যাপারেই ফোকাসড থাকি৷
৪. ছোট ছোট কাজ দিয়ে শুরু করুন- জীবনে আমরা কী চাই তা নিয়ে সকলেরই অনেক পরিকল্পনা থাকে৷ কিন্তু কার্যক্ষেত্রে অনেক সময়েই তা বাস্তবায়িত হয় না৷ তাই বছরের শুরুতেই কী কী কাজ সারা বছর ধরে করতে চান, তার একটা লিস্ট করে নিন৷ প্রতিমাসে দশ হাজার টাকা জমানো বা রোজ পাঁচজনের রান্নার মতো টার্গেটকে না রেখে, উইকএন্ডে ডিনার প্ল্যান, ওয়ার্ডরোব পরিষ্কার, প্রতিদিন পাঁচটাকার কয়েন জমানোর মতো ব্যাপারগুলোকে রাখুন আপনার প্রায়োরিটি লিস্টে৷
৫.টাইম ম্যানেজমেন্টেও সহায়ক- চেষ্টা করুন প্রতিদিন সকালে উঠেই একটা রুটিন তৈরি করে নিতে৷ আর সেই অনুযায়ী সন্ধে ছ’টা-সাতটার মধ্যে সমস্ত কাজ সেরে ফেলতে৷ সুতরাং বেশি খাটনিও পড়বে না, আর আপনিও বুঝতে পারবেন আপনাকে কীভাবে কতটা কাজ করতে হবে৷ আর ছোট ছোট লক্ষ্যগুলোতে টাইম ম্যানেজমেন্টটাও খুব সহায়ক৷
৬. বাড়বে সৃজনশীলতা- ছোট ছোট লক্ষ্যপূরণের ক্ষেত্রে আমাদের মানসিক চাপটা স্বাভাবিকভাবেই কম থাকে৷ আর তাতে একদিকে যেমন মনে শান্তি থাকে, তেমনই বাড়ে ক্রিয়েটিভিটি৷ পরবর্তী কাজের জন্য আমরা নতুন নতুন কিছু পরিকল্পনা করতে পারি৷
৭. ভবিষ্যতে উৎসাহ বাড়াবে- মানছি জীবনে ছোট ছোট কাজ করে কখনওই চরম সাফল্যর শিখর ছোঁওয়া যায় না৷ কিন্তু এইসব ক্ষুদ্র ক্ষুদ্র কাজগুলোই পরবর্তীকালে কোনও বড় কাজ করতে আমাদের উৎসাহিত করে৷ আর বাড়ে আপনার দৃঢ়তা আর আত্মবিশ্বাসও৷ তাই লরেন্স জে পিটার বোধহয় ঠিকই বলেছিলেন, আপনি চলতে চলতে না জানেন কোথায় যাচ্ছেন, তাহলে যেখানে আছেন সেখানেই থেমে যান৷ আর ছোট ছোটপদক্ষেপ ফেলুন৷ লক্ষ্য ঠিক পেয়ে যাবেন৷
৮. সময় নষ্ট হবে না- কবে জীবনে বড়সড় সাফল্য আসবে তার জন্য অযথা সময় নষ্ট না করে ছোট ছোট ব্যাপারে নজর দিন৷ ভবিষ্যতে অন্তত সময় নষ্ট হওয়ার আফশোসটা তো থাকবে না৷

ইংরেজি নয়, গুগলের বিজ্ঞাপন দেয়া যাবে হিন্দিতে

ইংরেজি নয়, এবার থেকে হিন্দিতেই গুগলে বিজ্ঞাপন দিতে পারবেন বিজ্ঞাপনদাতারা৷ আজ সোমবার থেকেই এই সুবিধা পাওয়া যাবে বলে গুগলের তরফে জানানো হয়েছে৷ চলতি বছরের নভেম্বর মাসে গুগলের তরফে ঘোষনা করা হয়েছিল ভারতের আঞ্চলিক ভাষাকে খুব তাড়াতাড়ি গুগলের বিজ্ঞাপনের ক্ষেত্রে দেখা যাবে৷
http://trak.in/wp-content/uploads/2014/12/Google-Hindi-Ads.jpgতারপরই তাদের এই পদক্ষেপ৷ গুগলের তরফে আরও জানানো হয়েছে ভারতের অন্যান্য আঞ্চলিক ভাষাকেও খুব শীঘ্র গুগলের বিজ্ঞাপনে অন্তভুক্ত করা হবে৷
প্রসঙ্গত, বিশ্বে ৫০০ মিলিয়ন লোক হিন্দিতে কথা বলেন৷

ভর্তুকি পেতে আধার বাধ্যতামূলক নয়, লোকসভায় জানালেন পেট্রলিয়ামমন্ত্রী


Monday 15 December 2014

তিন হাজার বছর পর ফিরছেন ফারাও

এশিয়ার ফোরাত নদীর পাড় থেকে আফ্রিকার সুদানে নীল নদের পাড় পর্যন্ত বিস্তৃত সাম্রাজ্যের অধীশ্বর ছিলেন ফারাও তৃতীয় আমেনহোটেপ। এই সম্রাটের রাজত্বকালকেই প্রাচীন মিসরীয় সভ্যতার রাজনৈতিক ও সাংস্কৃতিক উত্থানের সোনালি সময় বলে মনে করা হয়। লুক্সোরের সমাধিক্ষেত্রে ছিল তাঁর ৪৩ ফুট উচ্চতার অনন্য এক দণ্ডায়মান মূর্তি। ভূমিকম্পে গুঁড়িয়ে যাওয়ার তিন হাজার ২০০ বছর পর তৃতীয় আমেনহোটেপের মূর্তিটিকে রোববার আবারও মাথা উঁচু করে দাঁড় করিয়েছেন প্রত্নতাত্ত্বিকেরা। দ্য গার্ডিয়ানের প্রতিবেদন

নীল নদের পশ্চিম পাড়ে মন্দির নগর লুক্সোর। মেমোন কলোসি নামে পরিচিত আমেনহোটেপের যুগল মূর্তির জন্য এই সমাধিমন্দির জগদ্বিখ্যাত। কিন্তু ওই যুগল মূর্তিতে তৃতীয় আমেনহোটেপকে দেখা যায় বসে থাকা অবস্থায়। ফলে কয়েক হাজার বছর ধরেই সম্রাটের দণ্ডায়মান মূর্তিটির অভাব ছিল যেন এই সমাধিক্ষেত্রে। এখন সমাধিক্ষেত্রের উত্তর ফটকে তৃতীয় আমেনহোটেপের মূর্তিটি পুনরায় স্থাপন করায় সে অভাব পূরণ হলো।

সমাধিক্ষেত্রটির পুননির্মাণের কাজে নেতৃত্ব দিচ্ছেন জার্মান-আর্মেনিয়ান প্রত্নতত্ত্ববিদ হোরিগ সোরোজিয়ান। তিনি জানান, তৃতীয় আমেনহোটেপের এই ৪৩ ফুট উচ্চতার মূর্তিটিই এখন মিসরে কোনো সম্রাটের সবচেয়ে উঁচু দণ্ডায়মান মূর্তি। তিন হাজার বছরেরও বেশি আগে ভূমিকম্পে বিশালাকার এ মূর্তিটি ভেঙে ৮৯টি বড় খণ্ড এবং বহু ছোট ছোট টুকরোতে গুঁড়িয়ে গিয়েছিল। টুকরোগুলোকে পুনরায় সংযুক্ত করার পর মূর্তিটির ওজন দাঁড়িয়েছে ১১০ মেট্রিক টন। এত বিশালাকার কোনো প্রাচীন মূর্তির এমন পুননির্মাণ এটাই প্রথম বলেও জানিয়েছে প্রত্নতা​িত্ত্বক দলটি।

সাদা রঙের মুকুট পরা মিসরীয় সম্রাটের এই মূর্তিতে দুই হাতে নিজের নাম লেখা প্যাপিরাস ধরে আছেন তৃতীয় আমেনহোটেপ। তাঁর কোমরবন্ধনীতে আছে বাজপাখির মাথাওয়ালা হাতলের একটা ড্যাগার, সেখানেও নিজের নাম লেখা। মাত্র ১২ বছর বয়সে সিংহাসনে আসীন হওয়া তৃতীয় আমেনহোটেপ ১৩৫৪ খ্রিষ্ট পূর্বাব্দে মারা যান।

অ্যাকাউন্টে গ্যাস ভর্তুকির টাকা পৌঁছনো নিয়ে সংশয়


বাকি আর মাত্র ১৬ দিন৷ ১ জানুয়ারি থেকে রান্নার গ্যাসের ভর্তুকির টাকা সরাসরি গ্রাহকের ব্যাঙ্ক অ্যাকাউন্টে পেঁৗছবে৷ তবে , এ রাজ্যে কত জন গ্রাহক এই সুবিধা পাবেন , তা নিয়ে সংশয় তুঙ্গে৷ কারণ , রাজ্যের ৯৩ লক্ষ ৭৫ হাজার রান্নার গ্যাস গ্রাহকের মধ্যে এখনও পর্যন্ত মাত্র ১৭ শতাংশের ব্যাঙ্ক অ্যাকাউন্ট নম্বর গ্যাসের কনজিউমার নম্বরের সঙ্গে যুক্ত হয়েছে৷ এই অবস্থায় পেট্রোলিয়াম মন্ত্রক রাষ্ট্রায়ত্ত তেল সংস্থাগুলিকে রীতিমতো টার্গেট দিয়ে জানিয়ে দিয়েছে , ৩১ ডিসেম্বরের মধ্যে রাজ্যে অন্তত ৫০ শতাংশ গ্যাস গ্রাহকের কনজিউমার নম্বর অ্যাকাউন্ট নম্বরের সঙ্গে যুক্ত করতে হবে৷ টার্গেট পূরণ করতে রবিবার তো বটেই , অন্যান্য ছুটির দিনও ডিস্ট্রিবিউটরদের অফিস খুলে রাখারও নির্দেশ দিয়েছে সংস্থাগুলি৷ তবে , যে সমস্ত গ্রাহকের ক্ষেত্রে ব্যাঙ্ক অ্যাকাউন্টে সরাসরি ভর্তুকির টাকা পেঁৗছবে না , তাঁরা আগামী ৩১ মার্চ পর্যন্ত ভর্তুকিতেই সিলিন্ডার পাবেন৷ কেন এই অবস্থা ? রাষ্ট্রায়ত্ত তেল বিপণনকারী সংস্থাগুলি এ জন্য বেশ কিছু ব্যাঙ্কের অসহযোগিতাকেই দায়ী করছে৷ এক সংস্থার কর্তা বলেন , ‘আধার যাঁদের রয়েছে , তাঁদের অনেকের থেকে তো বটেই , এমনকি যাঁদের আধার নেই তাঁদের মধ্যে বহু গ্রাহক ব্যাঙ্কে গিয়ে ফর্ম জমা করতে পারছেন না বলে আমাদের কাছে অভিযোগ আসছে৷ আমরা ইতিমধ্যেই এ ব্যাপারে রাজ্যের লিড ব্যাঙ্ক , ইউনাইটেড ব্যাঙ্ক অফ ইন্ডিয়া (ইউবিআই )-র সঙ্গে কথা বলে সমস্যার সমাধান করতে অনুরোধ করেছি৷ আর দিল্লি থেকে আমাদের টার্গেট বেঁধে দেওয়ার পরে আমরা ডিস্ট্রিবিউটরদের বলেছি , আধার রয়েছে এমন কোনও গ্রাহক যদি ব্যাঙ্কে গিয়ে অসহযোগিতার মুখে পড়েন , তা হলে আপাতত তাঁদের আধার নম্বর ছাড়াই ফর্ম-৪ পূরণ করিয়ে জমা নিয়ে নিতে৷ এতে তাঁদের ব্যাঙ্ক অ্যাকাউন্টে সরাসরি ভর্তুকি পাওয়াটা অন্তত চালু হবে৷ ’ তবে এই সমস্যা সমাধানে রাজ্য সরকারের তরফে কোনও পদক্ষেপ করা হয়নি৷ রবিবার এ ব্যাপারে প্রতিক্রিয়া জানতে চেয়ে খাদ্য ও সরবরাহ দন্তরের সচিব অনিল ভার্মাকে একাধিকবার ফোন এবং এসএমএস করা হলেও কোনও জবাব মেলেনি৷ পরিস্থিতির কথা স্বীকার করে নিয়েছেন ইউবিআই -এর এক কর্তাও৷ তাঁর যুক্তি , ‘এই ব্যবস্থা কার্যকর করার জন্য প্রত্যেক ব্যাঙ্ককে আলাদা করে দু’টি সফটওয়্যার কিনে তা ব্যাঙ্কের সফটওয়্যারের সঙ্গে সংযুক্ত করতে হবে৷ এর জন্য খরচ রয়েছে৷ অনেক ব্যাঙ্কই তাই সফটওয়্যার ইনস্টল না -করাতেই এই সমস্যা তৈরি হয়েছে৷ei samay

অভিযোগ ঢের , গ্যাস ব্যবহারে রাজ্য সেই পিছিয়ে


গৃহস্থের হেঁসেলে রান্নার গ্যাস সংযোগের ক্ষেত্রে জাতীয় গড়ের থেকে বেশ খানিকটা পিছনে রয়েছে এ রাজ্য৷ সারা দেশে যেখানে গড়ে ৫৫ শতাংশ মানুষ রান্নার গ্যাস সিলিন্ডার ব্যবহার করে , সেখানে পশ্চিমবঙ্গে ব্যবহার করে মাত্র ৪৬ শতাংশ৷ সংখ্যার হিসেবে এই ৯ শতাংশের অর্থ প্রায় ২০ লক্ষ মানুষ৷ তবে বেশ কিছু রাজ্যের জনসংখ্যা যে পশ্চিমবঙ্গের চেয়ে বেশি , তা বলাই বাহুল্য৷ এ রাজ্যে রান্নার গ্যাসের নতুন সংযোগ নেওয়ার যে চাহিদা রয়েছে , তার প্রমাণ , গত বছর এ রাজ্যে তিনটি সংস্থা সব মিলিয়ে প্রায় ১৪ লক্ষ নতুন গ্রাহককে কানেকশন দিয়েছে৷ এ বছর রাজ্যে খালি সিলিন্ডারের অভাবে চার মাস নতুন সংযোগ দেওয়া বন্ধ থাকলেও পুজোর পরে ফের তা চালু হয়েছে৷ আর তার পরে ইতিমধ্যেই প্রায় ৬ লক্ষ পরিবার গ্যাসের সংযোগ পেয়েছে৷ রান্নার গ্যাস ব্যবহারকারীদের তালিকায় থাকা রাজ্যগুলির মধ্যে পশ্চিমবঙ্গের উপরে রয়েছে মহারাষ্ট্র , উত্তরপ্রদেশ ও তামিলনাড়ু৷ তবে পশ্চিমবঙ্গে যত মানুষ রান্নার গ্যাস ব্যবহার করেন , তার সিংহভাগই কলকাতা ও তার সন্নিহিত এলাকায় বাস করেন৷ রাজ্যের গ্রামাঞ্চলে রান্নার গ্যাস ব্যবহারকারীদের সংখ্যা খুবই কম৷ কেন্দ্রীয় পেট্রোলিয়াম মন্ত্রক সূত্রে খবর , কলকাতা দূরবর্তী জেলাগুলিতে যাঁরা বসবাস করেন , তাঁদের মধ্যে ৭০ শতাংশ মানুষই গ্যাস ব্যবহার করেন না৷ এর মধ্যে বীরভূম , মালদা , পুরুলিয়া ও মুর্শিদাবাদ জেলার অবস্থা সবথেকে খারাপ৷ এই সমস্ত জেলায় গ্যাসে রান্না করা মানুষের সংখ্যা ২৫ শতাংশেরও কম৷ এ রাজ্যের ক্ষেত্রে কেন এই অবস্থা ?রান্নার গ্যাস সংযোগ দেয় তিনটি কেন্দ্রীয় রাষ্ট্রায়ত্ত তেল বিপণনকারী সংস্থা ---ইন্ডিয়ান অয়েল , হিন্দুস্তান পেট্রোলিয়াম এবং ভারত পেট্রোলিয়াম৷ সংস্থাগুলি সূত্রে খবর , পশ্চিমবঙ্গে রান্নার গ্যাসের ‘পেনিট্রেশন ’ (অর্থাত্, মোট জনসংখ্যার যত শতাংশ মানুষ রান্নার গ্যাস ব্যবহার করেন ) জাতীয় গড়ের থেকে কম হওয়ার পিছনে মূলত রাজ্য প্রশাসনের ঢিলেমিই দায়ী৷ এক সংস্থার কর্তার যুক্তি , ‘আমরা ডিস্ট্রিবিউটার নিয়োগ করে গৃহস্থের বাড়িতে রান্নার গ্যাসের সংযোগ দিই৷ কোনও এলাকায় ডিস্ট্রিবিউটার নিযুক্ত হওয়ার পর তাকে ব্যবসা শুরু করতে হলে রাজ্য ও জেলা প্রশাসনের বিভিন্ন জায়গা থেকে অনুমতি (এনওসি ) নিতে হয়৷ আমাদের অভিজ্ঞতায় দেখছি , মধ্যপ্রদেশ , রাজস্থান এবং অন্যান্য অনেক রাজ্যের তুলনায় এনওসি পেতে এই রাজ্যে চার -পাঁচ গুণ বেশি সময় লাগে৷ সেই কারণে , অনেক জায়গায় রান্নার গ্যাসের নতুন সংযোগের চাহিদা রয়েছে , এটা জেনেও ডিস্ট্রিবিউটারশিপ দেওয়া থেকে তা কার্যত শুরু করতে করতে গড়ে দেড় বছর লেগে যায়৷ ’ রান্নার গ্যাসের ডিস্ট্রিবিউটরশিপের ব্যবসা শুরু করার জন্য রাজ্যের দমকল দন্তর , ভূমি দন্তর এবং স্থানীয় পঞ্চায়েত বা পুরসভা এবং মহকুমাশাসকের থেকে এনওসি নিতে হয়৷ এর মধ্যে জমির চরিত্র পরিবর্তনের জন্য ভূমি দন্তরের এনওসি লাগে৷ রাজ্য প্রশাসনের লাল ফিতের গেরোয় পশ্চিমবঙ্গে রান্নার গ্যাসের পেনিট্রেশন কম বলে অবশ্য মানতে চাননি রাজ্যের খাদ্য ও সরবরাহ দন্তরের মন্ত্রী জ্যোতিপ্রিয় মল্লিক৷ এ ব্যাপারে কেন্দ্রের বঞ্চনার রাজনীতির অভিযোগ তুলে তিনি বলেন , ‘এটা ঠিক , আমাদের রাজ্যের অধিকাংশ মানুষ এখনও রান্নার গ্যাস ব্যবহার করেন না৷ রান্নার গ্যাসের পেনিট্রেশন বাড়ানোর দায়িত্ব কেন্দ্রের৷ রাজ্যে রান্নার গ্যাস যাতে আরও বেশি মানুষ ব্যবহার করতে পারে , সেই দাবি তুলে আমি দিল্লিকে অবিলম্বে চিঠি লিখব৷ একদিকে রাজ্যের কেরোসিনের বরাদ্দ কমাচ্ছে , অন্যদিকে গ্যাস সিলিন্ডারও দিচ্ছে না৷ কেন্দ্রের এরকম আচরণ মানা যায় না৷ ’ যদিও তেল সংস্থাগুলি সূত্রে জানা গিয়েছে , পশ্চিমবঙ্গে গ্যাস সংযোগের পেনিট্রেশন বাড়ানোর জন্য রাজ্য সরকারের তরফে তাদের কখনই কিছু জানানো হয়নি৷ সূত্রের খবর , এ রাজ্যে রান্নার গ্যাস সংযোগের পেনিট্রেশনের হার কম হওয়ার পিছনে অসামঞ্জস্য ভাবে ডিস্ট্রিবিউটারশিপ দেওয়াও অন্যতম কারণ৷ উদাহরণস্বরূপ , মৌলালি থেকে মানিকতলা পর্যন্ত চার বর্গ কিলোমিটার এলাকায় তিনটি রাষ্ট্রায়ত্ত সংস্থার সব মিলিয়ে ২০টি ডিস্ট্রিবিউটর রয়েছে৷ অথচ , পুরুলিয়া , পশ্চিম মেদিনীপুর , বাঁকুড়ার মতো কলকাতার দূরবর্তী অনেক জেলাতেই এখনও বহু গ্রাহককে ১৫ -২০ কিলোমিটার দূরে ডিস্ট্রিবিউটরের কাছ থেকে সিলিন্ডার নিয়ে আসতে হয়৷ ইন্ডিয়ান অয়েলের জেনারেল ম্যানেজার (এলপিজি ) রবীন্দ্রনাথ ঘোষের দাবি , ‘আমাদের লক্ষ্য , ২০১৬ -র ৩১ মার্চের মধ্যে এই পেনিট্রেশন লেভেল বাড়িয়ে ৬০ শতাংশে নিয়ে যাওয়া৷ এজন্য আমরা অনেক নতুন ডিস্ট্রিবিউটর নিয়োগ করছি। ei samay

অনলাইনে মিলবে ড্রাইভিং লাইসেন্স

https://dlpay.dimts.in/app/images/index%20pic.jpg
কলকাতায় অনলাইনে ড্রাইভিং লাইসেন্স দেওয়ার ব্যবস্থা চালু করছে পরিবহণ দন্তর৷ বেহালা ফ্লাইং ক্লাবের কাছে ড্রাইভিং পরীক্ষা ও গাড়ির ফিটনেস সার্টিফিকেট দেওয়ার জন্য অত্যাধুনিক কেন্দ্রও তৈরি করা হচ্ছে৷ পুনের সেন্ট্রাল ইনস্টিটিউট অফ রোড ট্রান্সপোর্ট এই কেন্দ্রটি তৈরি করবে৷ কেন্দ্রটি তৈরিতে ৩০ কোটি টাকা বরাদ্দ করেছে কেন্দ্র৷ নয়া ব্যবস্থায় গাড়ি চালানোর লার্নার লাইসেন্সের জন্য অনলাইনে আবেদন করলেই পরীক্ষার সময়সূচি পাবেন আবেদনকারীরা৷ নির্দিষ্ট দিনে আবেদনকারীকে আসতে হবে ভবানীপুরের মোটর ভেহিক্যালসের দন্তরে৷ ওই দন্তরে অনলাইনে পরীক্ষা দেওয়া যাবে৷ পরীক্ষার ফলও মিলবে সঙ্গে সঙ্গেই৷ এই ফল দেখালেই পাওয়া যাবে লার্নার লাইসেন্স৷ জানুয়ারি মাসেই প্রথম দফায় এই ব্যবস্থা চালু হচ্ছে৷ লার্নার লাইসেন্স নেওয়ার এক মাস পর থেকে ছ’মাসের মধ্যে লাইসেন্স পাওয়ার জন্য পরীক্ষা দেওয়া যাবে৷ সম্প্রতি পুনের সেন্ট্রাল ইনস্টিটিটিউট অফ রোড ট্রান্সপোর্টের আধিকারিকরা এই প্রকল্পের খুঁটিনাটি তথ্য সংগ্রহ করতে কলকাতায় এসেছিলেন৷ রাজ্যের পরিবহণ দন্তরের আধিকারিকদের সঙ্গে বৈঠক করার পাশাপাশি তাঁরা বেহালায় গিয়ে প্রকল্পের জন্য নির্ধারিত জায়গাটিও ঘুরে দেখেন৷ জানা গিয়েছে , কলকাতায় প্রতিদিন মোটর ভেহিক্যালসে গড়ে ২০০ গাড়ির ফিটনেস পরীক্ষা করা হয়৷ এ ছাড়াও অন্তত ১০০ ড্রাইভিং লাইসেন্সের আবেদন জমা পড়ে৷ বাস , ট্রাক -সহ বড় গাড়ির লাইসেন্স পাইয়ে দেওয়ার নামে ভবানীপুরের মোটর ভেহিক্যালস দন্তরে একটি দালালচক্র সক্রিয় বলে অভিযোগ৷ বেশিরভাগ ক্ষেত্রেই ভুয়ো ঠিকানা দিয়ে লাইসেন্সের জন্য আবেদন জমা পড়ে৷ এই অব্যবস্থায় লাগাম টানতেই রাজ্য সরকার সিদ্ধান্ত নেয় , আর হাতে হাতে নয় , স্পিড পোস্টে আবেদনকারীর বাড়িতে লাইসেন্স পাঠানো হবে৷ তাতেও দেখা যায় , ঠিকানা খঁুজে না পেয়ে কয়েক হাজার ড্রাইভিং লাইসেন্স ফিরে আসে পরিবহণ দন্তরে৷ এ নিয়ে ট্যাক্সি ইউনিয়ন ও মোটর ট্রেনিং ইনস্টিটিউটগুলি সরব হয়৷ শেষে মদন মিত্র পরিবহণ দন্তরের দায়িত্ব নিয়ে এই ব্যবস্থা তুলে দেন৷ চালু হয় পুরোনো পদ্ধতি৷ এখন হাতে -হাতেই মেলে লাইসেন্স৷ নয়া ব্যবস্থা লাগু হলে ড্রাইভিং পরীক্ষা থেকে গাড়ি পরীক্ষা , সবটাই হবে যন্ত্রের মাধ্যমে৷ গাড়ির ফিটনেস পরীক্ষার জন্য তৈরি করা হচ্ছে ইনস্পেকশন অ্যান্ড সার্টিফিকেট সেন্টার৷ এর জন্য এক কিলোমিটার লম্বা একটি ট্র্যাক তৈরি করা হবে৷ সেখান দিয়ে ধীর গতিতে গাড়ি চালালে যন্ত্র বলে দেবে গাড়ির কোথায় কী ত্রুটি রয়েছে৷ আর ড্রাইভিং পরীক্ষার জন্য গ্রিড ইন টেস্ট ব্যবস্থা থাকছে৷ ei samay

পৌষ -শুরুতেই জাঁকিয়ে শীতের হাতছানি , থিতু হয়ে বসবে কি?


সিমলা -কুলু-মানালিতে তুষারপাত হচ্ছে৷ বরফ পড়ছে ঘরের কাছের ছাঙ্গু-নাথুলা -সন্দাকফুতেও৷ সবমিলিয়ে যাকে বলে , শীত একেবারে স্বমহিমায়৷
https://www.tourmyindia.com/blog/wp-content/uploads/2013/12/snowfall-shimla.jpgসেখানে কলকাতার সান্ত্বনা কি না দিনের ‘নকল ’ ঠান্ডা ! রাতের তাপমাত্রা রবিবারও ছিল ১৬ .৫ ডিগ্রিতে৷ স্বাভাবিকের চেয়ে দু’ডিগ্রি বেশি৷ আজ , সোমবার পারা ১৯ ডিগ্রিতেও পৌঁছে যেতে পারে বলে পূর্বাভাস৷ ছবিটা মনে করিয়ে দিচ্ছে এক বছর আগের ডিসেম্বরকে৷ সে বার শহরের সর্বনিম্ন তাপমাত্রা নেমেছিল মাত্র ১৩ .১ ডিগ্রি পর্যন্ত৷ দশ বছরে এমন ‘উষ্ণ ’ ডিসেম্বর দেখেনি মহানগর৷ এ বারও কি তেমনই হতে চলেছে ?হাওয়া অফিসের পূর্বাভাসে অবশ্য শীত -পার্বণেরই ইঙ্গিত৷ বলা হচ্ছে , মেঘ কেটে গেলেই হিমেল হাওয়া ঢুকে পড়বে বাংলার অন্দরে৷ ঝপ করে নামবে রাতের তাপমাত্রা৷ যার অর্থ, মাসের প্রথম পক্ষ শীতবিলাসীদের হতাশ করলেও , সুসংবাদ বয়ে আনছে দ্বিতীয় পক্ষ৷ আলিপুর আবহাওয়া দন্তরের অধিকর্তা গোকুলচন্দ্র দেবনাথের কথায় , ‘রাজ্যের উপকূলে যে উচ্চচাপ বলয়টি জলীয় বাষ্প ঢুকিয়ে যাচ্ছে , সেটি দুর্বল হয়ে যাবে৷ তাই মঙ্গলবার থেকে আকাশ পরিষ্কার হতে শুরু করবে৷ তার পরই শীত জাঁকিয়ে বসবে গোটা রাজ্যে৷ ’ ঘটনা হল , বুধবারই পৌষের প্রথম দিন৷ সে দিক থেকে দেখলে পৌষ এবং জাঁকানো ঠান্ডা হাত ধরাধরি করেই আসছে৷ তিন দিন ধরে কলকাতা -সহ দক্ষিণবঙ্গে আকাশ মেঘলা৷ প্রকৃত শীত উধাও৷ কাঁপুনি ধরাচ্ছে সোঁদা ঠান্ডা৷ অবশ্য দেশের সমতলে ছবিটা কম -বেশি এক৷ এ দিন রাজধানীর পারদ ছিল ১৪ .২ ডিগ্রিতে , যা সেখানকার স্বাভাবিকের চেয়ে ছ ’ডিগ্রি বেশি৷ হরিয়ানার হিসার , মধ্যপ্রদেশের ভোপাল , বিহারের পাটনা সব জায়গাতেই রাতের তাপমাত্রা স্বাভাবিকের ৩ -৪ ডিগ্রি উপরে উঠে গিয়েছে৷ বরং , নিম্নমুখী দিনের তাপমাত্রা৷ রীতিমতো শিরশিরানি ধরাচ্ছে বৃষ্টিভেজা দিন৷ এ দিন বৃষ্টি হয়েছে বাংলার পশ্চিমাঞ্চলের জেলাগুলিতেও৷ অগ্রহায়ণের এই বৃষ্টিকেই ‘তুরুপের তাস ’ ধরছেন আবহবিদরা৷ গোকুলবাবুর ব্যাখ্যা , ‘নতুন পশ্চিমি ঝঞ্ধার জন্য পশ্চিম হিমালয়ের পাহাড়ে প্রবল তুষারপাত হয়েছে৷ ওই ঝঞ্ধার প্রভাবে সৃষ্ট ঘূর্ণাবর্তটি রয়েছে হরিয়ানা সংলগ্ন রাজস্থানের উপর৷ সেটি আবার সমতলের বিস্তীর্ণ অংশে বৃষ্টি নামিয়েছে৷ এর ফলে বাতাসের অতিরিক্ত জলীয় বাষ্প অনেকটাই ধুয়ে গিয়েছে৷ আসলে জলীয় বাষ্প যত কমবে , আকাশ তত পরিষ্কার হবে৷ এতে একদিকে যেমন হিমেল হাওয়া বাধাহীন ভাবে ঢুকে পড়তে পারবে , তেমনই সন্ধের পর ভূপৃষ্ঠের তাপ দ্রুত বেরিয়ে গিয়ে তাপমাত্রা নামাতে সাহায্য করবে৷ ’ বৃষ্টি যদি ‘সাহেব ’ হয় , তুষারপাত অবশ্যই ‘বিবি ’৷ ei samay

বৈদ্যুতিন বাণিজ্যও ক্রেতা সুরক্ষা আইনের আওতায়, জানাল কেন্দ্র


http://boostoneweb.com/wp-content/uploads/2014/04/ecommerce.jpgবৈদ্যুতিন বাণিজ্য বা ই-কমার্স-এর মাধ্যমে খুচরো কেনাকাটায় সাম্প্রতিক রমরমা সত্ত্বেও বেশ কিছু ক্রেতা এই নয়া ব্যবস্থা কতটা নির্ভরযোগ্য, তা নিয়ে দুশ্চিন্তায় ভোগেন। এই পরিপ্রেক্ষিতে কেন্দ্রীয় সরকার জানিয়ে দিয়েছে, সাধারণ কেনাকাটার মতোই ই-কমার্স ক্রেতা সুরক্ষা আইনের আওতায় রয়েছে। এই ধরনের লেনদেন ১৯৮৬ সালের আইনটির অধীনে রয়েছে বলে জানিয়েছেন কেন্দ্রীয় খাদ্য ও ক্রেতা সুরক্ষা দফতরের প্রতিমন্ত্রী রাওসাহেব পাটিল দান্ভে।
প্রসঙ্গত, বৈদ্যুতিন বাণিজ্যে যুক্ত কয়েকটা সংস্থা ক্রেতাকে ঠকিয়েছে এবং অন্যান্য বেআইনি লেনদেনেও তারা যুক্ত বলে কোনও কোনও মহল থেকে কেন্দ্রের কাছে অভিযোগ জানানো হয়েছে। সেই কারণেই এ কথা স্পষ্ট করে দিয়েছেন রাওসাহেব। যার ফলে বৈদ্যুতিন লেনদেন ব্যবস্থায় পণ্য কেনার পরে ক্রেতা কোনও ব্যাপারে অসন্তুষ্ট হলে যথারীতি ক্রেতা সুরক্ষা ফোরামে নালিশ করতে পারবেন। তবে এ ধরনের কেনাকাটার ক্ষেত্রে আইনটি যাতে আরও ভাল ভাবে প্রয়োগ করা যায়, তার জন্য সেটি সংশোধন করা হবে বলেও জানিয়েছেন তিনি।
এ দিকে ইন্টারনেটের মাধ্যমে কেনাকাটা ক্রমশ বাড়ায় সরকারের কোনও রাজস্ব ক্ষতি হচ্ছে না বলেও দাবি করেছেন রাওসাহেব। তিনি জানিয়েছেন, বৈদ্যুতিন মাধ্যমে বিক্রি করার জন্য কিছু পণ্য আমদানি করা হয়, বাদবাকি দেশের মধ্যেই তৈরি হয়। সেগুলির উপর নিয়ম অনুযায়ী বসানো হয় যথাক্রমে আমদানি ও উৎপাদন শুল্ক। ফলে এই খাতে পরোক্ষ কর হারানোর কোনও আশঙ্কা সরকারের নেই। তবে এই বৈদ্যুতিন বাণিজ্য মারফত কেনাকাটা পরিষেবা-করের আওতায় আসে না বলে উল্লেখ করেন তিনি। anandabazar