http://boostoneweb.com/wp-content/uploads/2014/04/ecommerce.jpgবৈদ্যুতিন বাণিজ্য বা ই-কমার্স-এর মাধ্যমে খুচরো কেনাকাটায় সাম্প্রতিক রমরমা সত্ত্বেও বেশ কিছু ক্রেতা এই নয়া ব্যবস্থা কতটা নির্ভরযোগ্য, তা নিয়ে দুশ্চিন্তায় ভোগেন। এই পরিপ্রেক্ষিতে কেন্দ্রীয় সরকার জানিয়ে দিয়েছে, সাধারণ কেনাকাটার মতোই ই-কমার্স ক্রেতা সুরক্ষা আইনের আওতায় রয়েছে। এই ধরনের লেনদেন ১৯৮৬ সালের আইনটির অধীনে রয়েছে বলে জানিয়েছেন কেন্দ্রীয় খাদ্য ও ক্রেতা সুরক্ষা দফতরের প্রতিমন্ত্রী রাওসাহেব পাটিল দান্ভে।
প্রসঙ্গত, বৈদ্যুতিন বাণিজ্যে যুক্ত কয়েকটা সংস্থা ক্রেতাকে ঠকিয়েছে এবং অন্যান্য বেআইনি লেনদেনেও তারা যুক্ত বলে কোনও কোনও মহল থেকে কেন্দ্রের কাছে অভিযোগ জানানো হয়েছে। সেই কারণেই এ কথা স্পষ্ট করে দিয়েছেন রাওসাহেব। যার ফলে বৈদ্যুতিন লেনদেন ব্যবস্থায় পণ্য কেনার পরে ক্রেতা কোনও ব্যাপারে অসন্তুষ্ট হলে যথারীতি ক্রেতা সুরক্ষা ফোরামে নালিশ করতে পারবেন। তবে এ ধরনের কেনাকাটার ক্ষেত্রে আইনটি যাতে আরও ভাল ভাবে প্রয়োগ করা যায়, তার জন্য সেটি সংশোধন করা হবে বলেও জানিয়েছেন তিনি।
এ দিকে ইন্টারনেটের মাধ্যমে কেনাকাটা ক্রমশ বাড়ায় সরকারের কোনও রাজস্ব ক্ষতি হচ্ছে না বলেও দাবি করেছেন রাওসাহেব। তিনি জানিয়েছেন, বৈদ্যুতিন মাধ্যমে বিক্রি করার জন্য কিছু পণ্য আমদানি করা হয়, বাদবাকি দেশের মধ্যেই তৈরি হয়। সেগুলির উপর নিয়ম অনুযায়ী বসানো হয় যথাক্রমে আমদানি ও উৎপাদন শুল্ক। ফলে এই খাতে পরোক্ষ কর হারানোর কোনও আশঙ্কা সরকারের নেই। তবে এই বৈদ্যুতিন বাণিজ্য মারফত কেনাকাটা পরিষেবা-করের আওতায় আসে না বলে উল্লেখ করেন তিনি। anandabazar