Monday 15 December 2014

পৌষ -শুরুতেই জাঁকিয়ে শীতের হাতছানি , থিতু হয়ে বসবে কি?


সিমলা -কুলু-মানালিতে তুষারপাত হচ্ছে৷ বরফ পড়ছে ঘরের কাছের ছাঙ্গু-নাথুলা -সন্দাকফুতেও৷ সবমিলিয়ে যাকে বলে , শীত একেবারে স্বমহিমায়৷
https://www.tourmyindia.com/blog/wp-content/uploads/2013/12/snowfall-shimla.jpgসেখানে কলকাতার সান্ত্বনা কি না দিনের ‘নকল ’ ঠান্ডা ! রাতের তাপমাত্রা রবিবারও ছিল ১৬ .৫ ডিগ্রিতে৷ স্বাভাবিকের চেয়ে দু’ডিগ্রি বেশি৷ আজ , সোমবার পারা ১৯ ডিগ্রিতেও পৌঁছে যেতে পারে বলে পূর্বাভাস৷ ছবিটা মনে করিয়ে দিচ্ছে এক বছর আগের ডিসেম্বরকে৷ সে বার শহরের সর্বনিম্ন তাপমাত্রা নেমেছিল মাত্র ১৩ .১ ডিগ্রি পর্যন্ত৷ দশ বছরে এমন ‘উষ্ণ ’ ডিসেম্বর দেখেনি মহানগর৷ এ বারও কি তেমনই হতে চলেছে ?হাওয়া অফিসের পূর্বাভাসে অবশ্য শীত -পার্বণেরই ইঙ্গিত৷ বলা হচ্ছে , মেঘ কেটে গেলেই হিমেল হাওয়া ঢুকে পড়বে বাংলার অন্দরে৷ ঝপ করে নামবে রাতের তাপমাত্রা৷ যার অর্থ, মাসের প্রথম পক্ষ শীতবিলাসীদের হতাশ করলেও , সুসংবাদ বয়ে আনছে দ্বিতীয় পক্ষ৷ আলিপুর আবহাওয়া দন্তরের অধিকর্তা গোকুলচন্দ্র দেবনাথের কথায় , ‘রাজ্যের উপকূলে যে উচ্চচাপ বলয়টি জলীয় বাষ্প ঢুকিয়ে যাচ্ছে , সেটি দুর্বল হয়ে যাবে৷ তাই মঙ্গলবার থেকে আকাশ পরিষ্কার হতে শুরু করবে৷ তার পরই শীত জাঁকিয়ে বসবে গোটা রাজ্যে৷ ’ ঘটনা হল , বুধবারই পৌষের প্রথম দিন৷ সে দিক থেকে দেখলে পৌষ এবং জাঁকানো ঠান্ডা হাত ধরাধরি করেই আসছে৷ তিন দিন ধরে কলকাতা -সহ দক্ষিণবঙ্গে আকাশ মেঘলা৷ প্রকৃত শীত উধাও৷ কাঁপুনি ধরাচ্ছে সোঁদা ঠান্ডা৷ অবশ্য দেশের সমতলে ছবিটা কম -বেশি এক৷ এ দিন রাজধানীর পারদ ছিল ১৪ .২ ডিগ্রিতে , যা সেখানকার স্বাভাবিকের চেয়ে ছ ’ডিগ্রি বেশি৷ হরিয়ানার হিসার , মধ্যপ্রদেশের ভোপাল , বিহারের পাটনা সব জায়গাতেই রাতের তাপমাত্রা স্বাভাবিকের ৩ -৪ ডিগ্রি উপরে উঠে গিয়েছে৷ বরং , নিম্নমুখী দিনের তাপমাত্রা৷ রীতিমতো শিরশিরানি ধরাচ্ছে বৃষ্টিভেজা দিন৷ এ দিন বৃষ্টি হয়েছে বাংলার পশ্চিমাঞ্চলের জেলাগুলিতেও৷ অগ্রহায়ণের এই বৃষ্টিকেই ‘তুরুপের তাস ’ ধরছেন আবহবিদরা৷ গোকুলবাবুর ব্যাখ্যা , ‘নতুন পশ্চিমি ঝঞ্ধার জন্য পশ্চিম হিমালয়ের পাহাড়ে প্রবল তুষারপাত হয়েছে৷ ওই ঝঞ্ধার প্রভাবে সৃষ্ট ঘূর্ণাবর্তটি রয়েছে হরিয়ানা সংলগ্ন রাজস্থানের উপর৷ সেটি আবার সমতলের বিস্তীর্ণ অংশে বৃষ্টি নামিয়েছে৷ এর ফলে বাতাসের অতিরিক্ত জলীয় বাষ্প অনেকটাই ধুয়ে গিয়েছে৷ আসলে জলীয় বাষ্প যত কমবে , আকাশ তত পরিষ্কার হবে৷ এতে একদিকে যেমন হিমেল হাওয়া বাধাহীন ভাবে ঢুকে পড়তে পারবে , তেমনই সন্ধের পর ভূপৃষ্ঠের তাপ দ্রুত বেরিয়ে গিয়ে তাপমাত্রা নামাতে সাহায্য করবে৷ ’ বৃষ্টি যদি ‘সাহেব ’ হয় , তুষারপাত অবশ্যই ‘বিবি ’৷ ei samay

No comments:

Post a Comment