Tuesday, 30 December 2014

ঢুকছে মেঘ , বরাতে হয়তো বৃষ্টিও

জাঁকালো শীতের বারোটা বাজিয়ে তাপমাত্রা বাড়াবে নিম্নচাপ 
  
মঙ্গলবার আকাশ আংশিক মেঘলা৷ বুধ ও বৃহস্পতিবার মেঘলা আকাশ৷ বজ্রবিদ্যুত্-সহ বৃষ্টির সম্ভাবনা৷ সর্বনিম্ন তাপমাত্রা থাকবে ১৪ -১৫ ডিগ্রি সেলসিয়াসের আশপাশে৷ বর্ষশেষ আর বর্ষবরণের হুল্লোড়ের দিকে একটু একটু করে এগোচ্ছে বাংলা৷ নিম্নচাপও হেলতে -দুলতে পা বাড়িয়েছে পূর্ব উপকূলের পথে৷ তার অনাবশ্যক উপস্থিতির জেরেই আবহাওয়া দন্তরের এমন পূর্বাভাস৷ মাসটা পৌষ হলে কী হবে , আগামী কয়েকদিন শীতের সর্বনাশ স্রেফ সময়ের অপেক্ষা৷
জাঁকিয়ে শীতের বারোটা অবশ্য সোমবারই বেজে গিয়েছে৷ ঠান্ডা হাওয়ার দাপট সাতসকালেই শেষ৷ বেলা বাড়তেই গায়ে গরম জামা রাখা দায়৷ দুপুরের পর রোদও কেমন নিভু নিভু৷ নীল আকাশে ঢুকতে শুরু করেছে মেঘ৷ বিকেলে আস্তরণ আরও বাড়ল৷ আবহবিদরা বলছেন , সুস্পষ্ট নিম্নচাপটি শ্রীলঙ্কা লাগোয়া বঙ্গোপসাগর থেকে তামিলনাড়ুর দিকে বেশ খানিকটা এগিয়ে এসেছে৷ তার অবস্থান এবং বাংলার সঙ্গে দূরত্ব কমতে শুরু করায় প্রত্যক্ষ না -হলেও , পরোক্ষ প্রভাব পড়তে শুরু করেছে৷ সেই প্রভাবেরই ফসল শীতের শহরে মেঘের আমদানি৷ আজ , মঙ্গলবার মেঘের আনাগোনা আরও বাড়বে৷ আলিপুর আবহাওয়া দন্তরের অধিকর্তা গোকুলচন্দ্র দেবনাথ বলেন , ‘নিম্নচাপটি খুব ধীরে ধীরে এগোচ্ছে৷ আসলে সেটি শক্তি সঞ্চয় করে গভীর নিম্নচাপে পরিণত হতে চলেছে৷ সেটি অন্ধ্রপ্রদেশ উপকূলের দিকে সরে এলে একটি নিম্নচাপ অক্ষরেখাও তৈরি হবে৷ যা আমাদের রাজ্যের ভিতরে ঢুকে আসবে৷ এর ফলেই বুধ ও বৃহস্পতিবার হাল্কা বৃষ্টির সম্ভাবনা থাকছে৷ ’ বুধবার উপকূলীয় অন্ধ্র ও ওডিশায় ভারী বর্ষণের পূর্বাভাস দিয়েছে মৌসম ভবন৷ কলকাতা -সহ দক্ষিণবঙ্গে প্রবল বর্ষণের সম্ভাবনা অবশ্য থাকছে না৷ ফলে নতুন বছরের আনন্দ মাটি হবে না৷ কিন্ত্ত কনকনে ঠান্ডার বদলে রাজত্ব করবে বিরক্তিকর মেঘলা আবহাওয়া৷ হিম বাতাসের বদলে বইবে সমুদ্রের সোঁদা হাওয়া৷
নয়াদিল্লির মৌসম ভবনের আবহবিদরা বলছেন , নিম্নচাপ শুধুমাত্র বাংলায় শীতের ঘোড়াই থামিয়ে দিচ্ছে না৷ দেশের সমতলে সর্বত্রই ঠান্ডার কামড় কমবে৷ কেননা , নতুন পশ্চিমি ঝঞ্ধা ঢুকবে কাশ্মীরে৷ তার প্রভাবে সৃষ্ট ঘূর্ণাবর্তও উঠে আসবে উত্তর -পশ্চিম ভারতে৷ সেটি আরব সাগর আর বঙ্গোপসাগর থেকে জলীয় বাষ্প টানবে৷ জলীয় বাষ্প ঠেলে পাঠাবে নিম্নচাপও৷ ফলে উত্তর ভারতের হাড় -হিম ঠান্ডাও থমকে যাবে৷ বছরের শেষ দিনে দেশের কোথাওই আর শৈত্যপ্রবাহের পরিস্থিতি থাকবে না৷ নজর তখন শুধু নিম্নচাপের উপর৷ সাল ১ জানুয়ারি ৩১ ডিসেম্বর২০১৪ ১৪ .১ * ---২০১৩ ১৩ .০ ১৪ .০২০১২ ১৭ .২ ১১ .৬২০১১ ১৪ .৯ ১৭ .৫২০১০ ১৩ .৪ ১৩ .৬২০০৯ ১৫ .১ ১৩ .৪* কলকাতার সর্বনিম্ন তাপমাত্রা ডিগ্রি সেলসিয়াসেতথ্য : আলিপুর আবহাওয়া দন্তরবছরের শেষ -শুরুর উষ্ণতা৷
 

Monday, 29 December 2014

মিলল বিকল্প উপায় , সহজতর হল মঙ্গলযাত্রা


ওয়াশিংটন : মঙ্গলে যাওয়ার নতুন পথ আবিষ্কার হল৷ আর তার জেরেই মঙ্গলে মানুষ পাঠানো অনেক সহজ এবং কম ব্যয়সাপেক্ষ হবে৷ এমনটাই দাবি করেছে নাসা৷
Making A Trip To Mars Cheaper & Easier: The Case For Ballistic Captureএখন মঙ্গলে মহাকাশযান পাঠানোর খরচ বিপুল৷ আর মানুষ পাঠানোর পরিকল্পনা করার ক্ষেত্রে সেটাও একটা বড় বাধা৷ কিন্ত্ত এ বিষয়ে নতুন দিশার সন্ধান দিয়েছেন নাসার বিজ্ঞানীরা৷ বিকল্প একটি উপায়ে মঙ্গল অভিযানের খরচ এবং জটিলতা দু’টোই অনেক কমানো যাবে বলে তাঁদের দাবি৷ নাসার গ্রহবিজ্ঞানের ডিরেক্টর জেমস গ্রিন বলেছেন , ‘এটা আমাদের জন্য বিরাট একটা ধাপ হতে পারে৷ কারণ কম খরচে এবং সহজে অভিযান করার চেষ্টা আমরা সব সময়ই করে থাকি৷ ’নতুন এই পদ্ধতির নাম ব্যালিস্টিক ক্যাপচার৷ এর নতুনত্ব কোথায় ?বিজ্ঞানীরা বলছেন , এখন মহাকাশযান উত্ক্ষেপণের আগে হিসেব করা হয় মঙ্গল তার কক্ষপথের ঠিক কোথায় থাকবে এবং মহাকাশযানটি এমন ভাবে পাঠানো হয় , যাতে তা একেবারে কক্ষপথের সেই অংশেই গিয়ে ঢোকে৷ কিন্ত্ত নতুন পদ্ধতিতে মহাকাশযানটি মঙ্গল কক্ষপথে যেখানে আছে , তার থেকে কিছুটা এগিয়ে মঙ্গলের মতোই একটি কক্ষপথে প্রবেশ করবে৷ কিন্ত্ত তার গতি থাকবে মঙ্গলের চেয়ে সামান্য কম৷ ফলে কিছু দিনের মধ্যে মঙ্গল পিছন থেকে এসে মহাকাশযানটিকে ধরে ফেলবে৷ এর ফলে উত্ক্ষেপণ এবং যাত্রাপথের খরচ এক থাকলেও কক্ষপথের একেবারে নির্দিষ্ট বিন্দুতে গিয়ে প্রবেশ করার বিষয়টি থাকবে না বলে মোট খরচ কমে যাবে৷ হিসেব নিকেশের জটিলতা অনেক কমে যাওয়ায় পদ্ধতিটি অনেক সহজও হবে৷ আপাতত এই পদ্ধতিতে পরীক্ষামূলক ভাবে রোবোট পাঠানো হবে৷ আর তার পরের ধাপেই মঙ্গলে পাড়ি দিতে পারবে মানুষ৷ --- সংবাদসংস্থা৷ ei samay

Saturday, 27 December 2014

বিবিধ ভারতীর অনুষ্ঠান এফএম


মিডিয়াম ওয়েভের পাশাপাশি আকাশবাণীর জনপ্রিয় বিবিধ ভারতীর অনুষ্ঠান এ বার এফএম চ্যানেলেও সম্প্রচারিত হবে৷ ১০১ .৮ মেগাহাত্র্‌জে শোনা যাবে এই অনুষ্ঠান৷ শুক্রবারই প্রাথমিক ভাবে ১০ কিলোমিটার ট্রান্সমিটার দিয়ে সম্প্রচার চালু হয়েছে৷ আপাতত বিবিধ ভারতীর অনুষ্ঠান কলকাতা , হাওড়া , হুগলি , উত্তর ও দক্ষিণ চব্বিশ পরগনা , নদিয়া , বর্ধমান এবং পূর্ব মেদিনীপুরের কিছু এলাকায় এফএমে শোনা যাবে৷
প্রসার ভারতীর মুখ্য কার্যনির্বাহী আধিকারিক জহর সরকার শুক্রবার আনুষ্ঠানিক ভাবে এফএম ট্রান্সমিটারটির উদ্বোধন করেন৷ তিনি জানান , দেশের আরও তিন মেট্রো শহর --মুম্বই ,চেন্নাই ও দিল্লিতেও পর্যায়ক্রমে একই ব্যবস্থা চালু হতে চলেছে৷ শুধু বিবিধ ভারতীই নয় , আগামী বছরে আকাশবাণী কলকাতার ‘ক’ বিভাগের অনুষ্ঠানও সম্প্রচারিত হবে এফএম চ্যানেলে৷ ভবিষ্যতে গোটা সম্প্রচারটাই ইন্টারনেট পরিষেবার সঙ্গে যুক্ত করার পরিকল্পনাও রয়েছে৷ এই পরিবর্তনের কারণ বাখ্যা করতে গিয়ে জহরবাবু বলেন , পুরোনো প্রযুক্তি রক্ষণাবেক্ষণ প্রতি দিনই ক্রমশ শক্ত হয়ে পড়ছে৷ বহু যন্ত্রাংশ পাওয়া যাচ্ছে না৷ তাই আকাশবাণীকে মিডয়াম ওয়েভ সম্প্রচার থেকে এফএম সম্প্রচারে পরিবর্তন করার উদ্যোগ শুরু হয়েছে৷ তিনি জানান , বিবিধ ভারতী , কলকাতায় রবিবার ১৬ ঘন্টা ২০ মিনিট এবং অন্য কাজের দিনে ১৫ ঘন্টা ২০ মিনিট গানের অনুষ্ঠান সম্প্রচার হয়৷ এই সময়ের মধ্যে মাত্র চার ঘণ্টা বাংলা গানের অনুষ্ঠান থাকে৷ এই সময় আরও বাড়ানোরও সুপারিশ করেছেন তিনি৷ আকাশবাণীর সংগ্রহশালায় সংরক্ষিত নানা রেকর্ডিংও ইন্টারনেটের মাধ্যমে বাজারে আনার উদ্যোগ শুরু হয়েছে বলে জানান তিনি৷ এ ব্যাপারে প্রসার ভারতী তিনটি অন্তর্জাতিক মানের সংস্থার সঙ্গে কথা বলছে৷

Friday, 26 December 2014

রাজ্যে জাঁকিয়ে শীত, শহরে মরসুমের শীতলতম দিন


http://farm8.static.flickr.com/7494/15813161646_29bf8ef323_m.jpgনতুন বছর আসার আগেই আরও নামল শহরের তাপমাত্রা। আজ মরসুমের শীতলতম দিন। শহরের তাপমাত্রা নামল ১১.৪ ডিগ্রি সেলসিয়াসে। স্বাভাবিকের থেকে যা ৩ ডিগ্রি কম। জেলাগুলিতেও পাল্লা দিয়ে নেমেছে তাপমাত্রা। বর্ধমান ও বাঁকুড়ার তাপমাত্রা নেমেছে ৮ ডিগ্রি সেলসিয়াসে। পুরুলিয়ার তাপমাত্রা ৭ ডিগ্রি সেলসিয়াস। উত্তরবঙ্গের বেশ কয়েকটি জেলা সহ অন্য কয়েকটি জেলাতেও তাপমাত্রা নেমেছে ১০ ডিগ্রির নীচে। কয়েকটি জেলাতে তৈরি হয়েছে শৈত্যপ্রবাহের পরিস্থিতি । অন্যদিকে, রাজধানী দিল্লিতেও আজ তাপমাত্রা নেমেছে চার ডিগ্রির নীচে। প্রচণ্ড ঠান্ডায় একজনের মৃত্যু হয়েছে বলেও জানা গেছে। কুয়াশার জন্য বাতিল করা হয়েছে দূরপাল্লার বহু ট্রেন। অনেক ট্রেনেরই সময়সূচি বদলানো হয়েছে।

স্বপরিবারে পিকে সিনেমা দেখলেন মুন্নাভাই


http://images.indianexpress.com/2014/12/sanjaydutt-maanyata-son-daughter.jpgরাজকুমার হিরানির ছবি ‘পিকে’র এক গুরুত্বপূর্ণ অংশ তিনি।তাঁকে ছাড়াই মুক্তি পেয়েছে ‘পিকে’।সেকারণে মুক্তির সাতদিন পরেও তাঁর জন্য ব্যবস্থা করা হয়েছিল স্পেশাল স্ক্রিনিংয়ের৷জেল থেকে বিশেষ ‘ছুটি’ পেয়ে বাড়ি ফিরে সপরিবারে দেখলেন ‘পিকে’।
গতকাল ছবির পরিচালক রাজকুমার হিরানী ও প্রযোজক বিধু বিনোদ চোপড়া সঞ্জয়ের জন্য ‘পিকে’র বিশেষ প্রদর্শনীর ব্যবস্থা করেছিলেন।এখানে স্ত্রী মান্যতা এবং সন্তান ইকরা ও শাহরানের সঙ্গে একসঙ্গে বসে পিকে দেখেছেন সঞ্জয়।তবে এখানে উপস্থিত থাকতে পারেননি আমির খান ও অনুষ্কা শর্মা।
মুম্বাই সিরিয়াল বিস্ফোরণের সঙ্গে জড়িত থাকায় দোষী সাব্যস্ত সঞ্জয়ের ৫ বছরের জেল হয়। পুণের ইযেরওয়াড়া জেলে রাখা হয় তাঁকে। এরই মধ্যে বেশ কয়েকবার প্যারোলে জেলের বাইরে এসেছেন সঞ্জয়।
প্রসঙ্গত উল্লেখ্য,রাজকুমার হিরানী সঞ্জয়ের জীবন কাহিনী নিয়ে একটি চিত্রনাট্য লিখতে চলেছেন।শোনা যাচ্ছে মুন্নার চরিত্রে অভিনয় করবেন রণবীর কাপুর।

ব্রিটেনে বড়দিনের উপহার হিসেবে দেওয়া হচ্ছে ড্রোন


http://www.ottawastar.com/wp-content/uploads/2014/11/Drone_1.jpgবড়দিনের দিনে সকালে চকলেটসহ নানা জিনিস উপহারস্বরূপ মানুষের হাতে তুলে দেওয়াই রীতি ব্রিটেনে। জেনারেশন y য়ের যুগে ব্রিটেনে বড়দিনে জনপ্রিয় উপহার হচ্ছে ড্রোন। বহু মানুষই ক্রিসমাসের শুভেচ্ছা হিসাবে এই ড্রোন উপহার হিসাবে একে অন্যের হাতে তুলে দিচ্ছেন। তবে কর্তৃপক্ষ রিমোট চালিত এই বিমান উড়ানোর ব্যাপারে ইতিমধ্যে সতর্ক করে দিয়েছে। সতর্কবার্তায় সিভিল অ্যাভিয়েশন জানাচ্ছে, সাধারণ মানুষকে লোকজনকে খুব সাবধানে এই ড্রোন উড়াতে বলেছে, অন্যথায় নানান সমস্যায় পড়তে হতে পারে তাঁদের।
যেসব ড্রোন ৬শো মিটারেরও বেশি উঁচুতে উড়তে পারে সেগুলি ইতিমধ্যে বেশ কয়েকবার বাণিজ্যিক বিমানের সঙ্গে ধাক্কা লেগে যাওয়ার উপক্রম হয়েছিল। কিন্তু অল্পের জন্যে শেষ পর্যন্ত সংঘর্ষ এড়ানো সম্ভব হয়। সেই কারণেই এই সতর্কবার্তা বলে জানাচ্ছে সিভিল অ্যাভিয়েশন। কিছু কিছু এলাকায় এই ড্রোন উড়াতে গেলে যথাযথ কর্তৃপক্ষের কাছ থেকে অনুমতি নিতে হয়। কেউ যদি নিয়ম না মেনেই ড্রোন ওড়ায় তাহলে তাঁর ৮,০০০ ডলার পর্যন্ত জরিমানা হতে পারে।

অ্যান্ড্রয়েডের জায়গা দখলে বাজারে আসছে firefox


http://rack.2.mshcdn.com/media/ZgkyMDEzLzEwLzIzLzYzL0ZpcmVmb3hQaG9uLjU3NGNmLmpwZwpwCXRodW1iCTk1MHg1MzQjCmUJanBn/70855a31/b5c/FirefoxPhone.jpgঅ্যান্ড্রয়েডকে প্রতিযোগিতায় ফেলতে বাজারে আসছে নয়া অপারেটিং সিস্টেম৷ LG ও Firefox যৌথভাবে নয়া এই অপারেটিং সিস্টেমটি আনছে৷ আগামী বছরের শুরুতে নয়া এই অপারেটিং সিস্টেমের স্মার্টফোনটি বাজারে আসছে৷ নয়া এই মডেলটির নাম LG Fx0 ৷ নয়া এই স্মার্টফোনটির অপারেটিং সিস্টেম Firefox 2.0৷ এছাড়া আছে 1.2GHz প্রসেসর ও 1.5 GB RAM ৷ LG-র নয়া মডেলে আছে ৮ মেগাপিক্সেল ক্যামেরা এবং আছে সেলফির জন্য ২.১ মেগাপিক্সেল ফ্রন্ট ক্যামেরা৷ ৪.৭ ইঞ্চির HD ডিসপ্লে’র LG এই ফোনে এছাড়া আছে 2370mAh ব্যাটারি৷ এছাড়া আছে ১৬ জিবি ইন্টারন্যাল মেমোরি৷ যা মাইক্রো এসডি কার্ডের মাধ্যমে বাড়ানো যাবে ৬৪ জিবি পর্যন্ত৷নয়া এই মডেলটি সর্বপ্রথম জাপানে আনা হচ্ছে৷তবে কবে নাগাদ ভারতে আনা হবে এবং ভারতের বাজারে দাম কত হবে তা সংস্থার তরফে এখনও কিছু জানানো হয় নি৷

একছাদের তলায় দেড়হাজার বছরের মুদ্রা

গুপ্ত পরবর্তী যুগে এই বাংলায় হরিকেল রাজ্যের কথা হয়তো শুনেছেন , কিন্ত্ত তাঁদের ব্যবহূত মুদ্রা কেমন দেখতে ছিল জানেন ? আজ থেকে কলকাতার বালিগঞ্জে যে মুদ্রা উত্সব শুরু হচ্ছে , সেখানে দেখা মিলবে এই মুদ্রার৷ হরিকেল থেকে শুরু করে আধুনিক যুগের বাংলার মুদ্রা থাকছে প্রদর্শনীতে৷ আয়োজক নিউমিসম্যাটিক সোসাইটি অফ ক্যালকাটা৷ এ বারের উত্সবের আহ্বায়ক কুণাল চট্টোপাধ্যায় বলেন , ‘হরিকেল মুদ্রা থেকে শুরু করে বিভিন্ন সময়ে বাংলায় ব্যবহূত মুদ্রা থাকবে এই প্রদর্শনীতে৷ আলাদা ভাবে থাকছে বিদেশি মুদ্রা ও স্বাধীন ভারতের মুদ্রাও৷ ’প্রদর্শনীর পাশাপাশি থাকছে মেলার আয়োজনও৷ মেডাল , ব্যাঙ্ক নোট , ও টোকেন নিয়ে ভারতের বিভিন্ন প্রান্তের ব্যবসায়ীরা আসবেন সংগ্রাহকদের জন্য পসরা নিয়ে৷ দেশি -বিদেশি সাধারণ ও স্মারক মুদ্রা , প্রুফ ও আনসার্কুলেটেড কয়েন , কালার্ড কয়েন তো সংগ্রহ করতেই পারবেন উত্সাহীরা৷ নোয়াখালি , কুমিল্লা ও চট্টগ্রাম -সহ বাংলাদেশের বিস্তীর্ণ অঞ্চল জুড়ে প্রাচীন হরিকেল রাজ্য ছিল সন্তম শতাব্দীর মাঝামাঝি সময় থেকে অষ্টম শতক পর্যন্ত৷ চৈনিক বৌদ্ধ পর্যটক আইসিনের বিবরণে এই রাজ্যের কথা রয়েছে৷ তারও আগে এই বাংলায় ছিল চন্দ্রকেতুগড় , এখনও তার ধ্বংসাবশেষ দেখা যায় উত্তর ২৪ পরগনার বেড়াচাঁপায়৷ সেখান থেকেও শুঙ্গ-সহ বিভিন্ন যুগের মুদ্রা পাওয়া গিয়েছে৷ মুঘল যুগের মুদ্রাও থাকছে , যা ফারসি হরফে লেখা৷ সুলতানি যুগের মুদ্রা প্রদর্শিত হবে পৃথক ক্যাবিনেটে৷ তখন অবশ্য আরবি হরফ থাকত মুদ্রায়৷ ত্রয়োদশ থেকে সন্তদশ শতকের মুদ্রাগুলি এই দুই রাজত্বের৷ তবে সবচেয়ে বড় আকর্ষণ হয়তো গুন্তযুগের মুদ্রা৷ কোম্পানির আমলে ব্রিটিশ যুগে কলকাতার টাঁকশালে তৈরি মুদ্রাও থাকছে প্রদর্শনীতে৷ এ ছাড়া সারা বিশ্বের মুদ্রার জন্যও আলাদা ক্যাবিনেট থাকছে৷ এক কথায় দেড় হাজার বছরের বঙ্গ জনপদের মুদ্রার ইতিহাস এক ছাদের তলায় , মাত্র ন ’টি ক্যাবিনেটে৷
শুক্রবার সকালে এই উত্সবের সূচনা করবেন অবসরপ্রান্ত সেনাপ্রধান শঙ্কর রায়চৌধুরী৷ থাকবেন ভারত সেবাশ্রম সঙ্ঘের সাধারণ সম্পাদক স্বামী বিশ্বাত্মানন্দ , বিচারপতি সুশান্ত চট্টোপাধ্যায় ও প্রাক্তন অর্থমন্ত্রী অসীম দাশগুন্ত৷ মেলা চলবে রবিবার পর্যন্ত, সকাল ১১টা থেকে সন্ধ্যা ছ ’টা পর্যন্ত৷
২৭ ডিসেম্বর নিলামও হবে৷

Thursday, 25 December 2014

ইসরোর উদ্যোগে সুন্দরবনে বসছে সেন্সর স্যাটেলাইট


http://www.topnews.in/files/ISRO-Logo.jpgএ বারে সুন্দরবনের আবহাওয়া নিয়ে গবেষণা চালাতে চলেছে ইসরো। সুন্দরবন কৃষ্টিমেলা ও লোক সংস্কৃতি উত্‌সবের মঞ্চে ইসরোর কলকাতা ইউনিটের জেনারেল ম্যানেজার দিব্যেন্দু দত্ত এ কথা জানান। খুব শীঘ্রই সুন্দরবনে সেই আবহাওয়া গবেষণার কাজ শুরু হবে।
উত্তর ও দক্ষিণ ২৪ পরগনার ১০২টি দ্বীপ নিয়ে গঠিত হয়েছে সুন্দরবন। যার মধ্যে ৫৪টি দ্বীপে প্রায় ৫০ লক্ষ মানুষের বাস। আয়তন ৯৬৩০ বর্গকিলোমিটার। ভারতে সুন্দরবনের পূর্বদিকে রায়মঙ্গল, কালিন্দী ও ইছামতী নদী এবং পশ্চিমে হুগলি নদী। উত্তরে জাম্পিয়র হজেস লাইন এবং দক্ষিণে বঙ্গোপসাগর। ২১.৩২ ডিগ্রি উত্তর থেকে ২২.৪০ ডিগ্রি উত্তর অক্ষরেখা এবং ৮৮.৫ ডিগ্রি পূর্ব থেকে ৮৯.১ ডিগ্রি পূর্ব দ্রাঘিমা রেখায় সুন্দরবন অবস্থিত। বলা যায় প্রাকৃতিক বিপর্যয় সুন্দরবনের নিত্যসঙ্গী। আয়লার মতো প্রাকৃতিক দুর্যোগ এখনও সুন্দরবনের মানুষের টাটকা স্মৃতি হয়ে রয়েছে। কিন্তু এমন দুর্যোগের কবলে পড়ার আগেই যাতে মানুষ সতর্ক হয়, সে কারণে এ বার উদ্যোগী হয়েছে ইসরো।
দিব্যেন্দুবাবু জানান, সুন্দরবনের প্রত্যন্ত এলাকায় ১১টি স্বয়ংক্রিয় স্যাটেলাইট ওয়েদার স্টেশন গড়বে ইসরো। আপাতত সুন্দরবনের ১১টি দ্বীপকে বেছে নিয়ে ২৫-৩০ ফুট উঁচু টাওয়ার তৈরি করা হবে। সেখানে বসানো থাকবে ৭টি বা ১০টি করে উন্নতপ্রযুক্তির সেন্সর। যে সেন্সরের মাধ্যমে আবহাওয়ার পরিবর্তন বোঝা যাবে। যা মাত্র ৩০ মিনিট অন্তর মোবাইল, বেতার এবং টেলিভিশনের মাধ্যমে জানতে পারবেন সাধারণ মানুষ। এমনকী, এই টাওয়ারগুলি থেকে খবর পৌঁছবে ইসরোর আমেদাবাদের মূল দফতরেও। সেখান থেকেই বিশ্লষণ করা সম্ভব হবে আবহাওয়ার গতি প্রকৃতি। এতে কৃষক থেকে শুরু করে মত্‌স্যজীবী সকলেই উপকৃত হবেন। তা ছাড়া, প্রাকৃতিক বিপর্যয় আসার পূর্বাভাস জানতে পারলে মানুষ সাধ্যমতো তাঁর জীবন জীবিকা রক্ষা করার চেষ্টা করবে। এক কথায়, কেন্দ্রীয় সরকারের এই পদক্ষেপ সুন্দরবনবাসীর কাছে আশীর্বাদ হতে চলেছে। যার ফলে সময়ের সঙ্গে সঙ্গে পরিবর্তিত পরিস্থিতিতে জীবন-জীবিকা ও সার্বিক উন্নয়নের পরিকল্পনা পরিবর্তন করার সুযোগ থাকছে। ফলে উন্নত প্রযুক্তির মাধ্যমে চাষাবাদ থেকে শুরু করে সার্বিক উন্নয়নে সুন্দরবনবাসী অনেক বেশি সুবিধা পেতে চলেছেন।
এ প্রসঙ্গে দিব্যেন্দুবাবু বলেন, “ভারতের বিভিন্ন প্রান্তের আবহাওয়া-সংক্রান্ত ডেটা ব্যাঙ্ক থাকলেও সুন্দরবনের আবহাওয়া-সংক্রান্ত কোনও ডেটা ব্যাঙ্ক ছিল না। এ বার সেটা হবে। তা ছাড়া, ইসরো রাজস্থান, কেরল, গুজরাট-সহ বিভিন্ন উপকূলবর্তী এলাকায় কাজ করছে। তবে আবহাওয়া গবেষণার ব্যাপারটি সুন্দরবনে প্রথম।” সুন্দরবন কৃষ্টি মেলা ও লোক সংস্কৃতি উত্‌সবের চেয়ারম্যান লোকমান মোল্লা বলেন, “জীবন যেখানে অনিশ্চিত, মৃত্যু যেখানে প্রতি মুহূর্তে হাতছানি দেয়, সেখানে এ ধরনের উদ্যোগ এক ঐতিহাসিক নজির বললে ভুল হবে না।” anandabazar

থ্রিডি প্রিন্টিং এর পর এবার আসছে ফোরডি প্রিন্টিং


“ফোরডি প্রিন্টিং” পদ্ধতিটি ব্যবহার করে গবেষকেরা এমন ধরণের কাঠামো তৈরি করতে পারবেন যা সময়ের সাথে নিজের আকৃতি পরিবর্তন করতে সক্ষম হবে।বর্তমানে অনেক উপাদান ব্যবহার করা হয় থ্রিডি প্রিন্টিং এর ক্ষেত্রে। এর মাঝে রয়েছে প্লাস্টিক, সিরামিক, কাঁচ, ধাতু এমনকি চকলেট এবং জীবকোষ। থ্রিডি প্রিন্টিং মেশিন কাজ করে অনেকটা সাধারণ প্রিন্টারের মতই তবে থ্রিডি প্রিন্টার একের ওপর এক উপাদানের স্তর দিয়ে তৈরি করতে পারে ত্রিমাত্রিক অবয়ব। পশ্চিমা বিশ্বে এই প্রযুক্তি অনেকটাই সহজলভ্য এখন। এর সাহায্যে তৈরি করা হচ্ছে খেলনা, ঘরোয়া তৈজসপত্র, যন্ত্রপাতি ইত্যাদি।থ্রিডি প্রিন্টিং এর পর এক ধাপ অগ্রসর হয়ে এবার ফোরডি প্রিন্টিং এর সুচনা হতে চলেছে। এক্ষেত্রে থ্রিডি প্রিন্ট করা বস্তু সময়ের সাথে পাল্টাতে পারবে তাদের আকৃতি। Scientific Reports জারনালে প্রকাশিত এই গবেষণায় দেখা যায়, দুইটি ভিন্ন ধরণের উপাদান ব্যবহার করা গেলে এ কাজটি করা সম্ভব হয়। এক্ষেত্রে একটি উপাদান ছিলো শক্ত প্লাস্টিক, যা প্রিন্ট করার পর নিজের আকৃতি বজায় রাখতে সক্ষম। অন্য উপাদানটি ছিলো পানি শোষণ করতে সক্ষম এক পদার্থ যা পানিতে ডোবালে দ্বিগুন আকার ধারণ করে। ১৫ ইঞ্চি বাই ১৫ ইঞ্চির এক বর্গাকার ছকের আকারে প্রিন্ট করা হয় এই বস্তুটি। কিন্তু পানিতে ডোবানোর পর বর্গাকার এই বস্তুর পানি শোষক উপাদানের কারণে তার আকৃতি পরিবর্তিত হয়ে যায়।গবেষকেরা আশা করছেন, ভবিষ্যতে এই ফোরডি প্রিন্টিং ব্যবহার করে মেডিক্যাল ইমপ্ল্যান্ত থেকে শুরু করে গৃহস্থালি পণ্য পর্যন্ত সবই তৈরি করা সম্ভব হবে। যেহেতু এটি পরিস্থিতির সাথে আকৃতি পরিবর্তন করতে সক্ষম সুতরাং পরিধেয় তৈরি করতেও তা কাজে লাগবে।গবেষকেরা এখন চেষ্টা করছেন ফোরডি প্রিন্টিং এর মাধ্যমে অনেক বড় এবং অতিক্ষুদ্র আকৃতির বস্তু তৈরি করতে। কারণ শরীরের অভ্যন্তরে ব্যবহারের জন্য বস্তুগুলো হতে হবে ১০-১০০ গুন ছোট, আর ঘরবাড়িতে ব্যবহারের পণ্যগুলো হতে হবে ১০ গুন বড়।তবে এভাবে ফোরডি প্রিন্ট করা বস্তুর মান উন্নয়নে আরও গবেষণার অবকাশ রয়েছে। এই গবেষণায় তৈরি করা বস্তুটি মাত্র কয়েকবার ভেজা-শুকানোর পরই নষ্ট হয়ে যায়। আর আর্দ্রতা ছাড়াও অন্যান্য প্রভাবক যেমন তাপমাত্রা এবং আলোর উপস্থিতিতে পরিবর্তিত হতে পারে এমন বস্তুও তৈরি করতে চান তারা।(মূল: Charles Q. Choi, Live Science)

Wednesday, 24 December 2014

যে ৪টি কারণে আপনার রক্ত হয়ে পড়ে দূষিত


http://www.visionsmartcenter.com/userfiles/Images/blood%20flow%201.jpgরক্তের প্রবাহকে ইংরেজিতে বলা হয় - The river of life। এই প্রবাহ যত সুষ্ঠুভাবে হবে ব্যক্তির দৈহিক ও মানসিক স্বাস্থ্যও তত ভালো থাকবে। স্বাস্থ্যবিজ্ঞান বলে, ব্যক্তির রক্তের স্বাস্থ্য যেমন, ব্যক্তির স্বাস্থ্যও হবে তেমনি। রক্তে দূষণ এসে গেলে ব্যক্তির সুস্থতায় বিপর্যয় আসে। এবং এ বিপর্যয় সামান্য অসুস্থতা থেকে শুরু করে হৃদরোগ, এমনকি ক্যান্সার পর্যন্ত প্রসারিত হতে পারে। রক্তে যখন বিষধর্মী বা দূষিত (toxic) পদার্থ থাকে, তখন রক্তের সেই অবস্থাকে বলে Toxemia। আর toxemia-র সঙ্গে যখন আবার অতিরিক্ত কোলেস্টেরল এবং লিপিড থাকে, তখন তাকে বলা হয় Lipo-toxemia। জেনে নিন রক্তদূষণের প্রধান কারণগুলো -

(১) স্বাস্থ্যবিরোধী আহার

এ ধরনের খাদ্য গ্রহণের ফলে অতিরিক্ত কোলেস্টেরল, ফ্যাট এবং অন্যান্য দূষিত পদার্থ রক্তস্রোতের সঙ্গে মিশে গিয়ে ধীরে ধীরে ধমনীর গায়ে জমা হয়। আবার রক্তস্রোতে উপস্থিত অতিরিক্ত ফ্যাটে রক্ত কণিকা ও প্লেটলেটগুলো জমাট বেঁধে যায়। এর ফলে রক্তের ঘনত্ব বা blood viscosity বেড়ে যায়, কমে যায় অক্সিজেন পরিবহনের ক্ষমতা, সর্বোপরি রক্তপ্রবাহ মন্থর হয়ে পড়ে। বিশেষ করে যেসব ধমনী দূষিত পদার্থ জমে সংকুচিত হয়ে গেছে, সেখানে রক্তের স্বাভাবিক গতি বাধা পায় মারাত্মকভাবে।

(২) মদ্যপান

মদ্যপানের ফলেও রক্তকণিকাগুলো জমাট বেঁধে যায়, রক্তে ফ্যাটের মাত্রা বেড়ে যায়, নষ্ট হয় বহু প্রয়োজনীয় nutrients। সেই সাথে কয়েকটি এনজাইম নিষ্ক্রিয় হয়ে পড়ার ফলে ব্যাহত হয় অক্সিজেন সরবরাহ।

(৩) ধূমপান

ধূমপানের ফলে বিষাক্ত কার্বন মনোক্সাইড গ্যাস রক্তে মিশে রক্তের অক্সিজেন অপসারিত করে। তাছাড়া ধূমপানে নষ্ট হয় ভিটামিন সি, রক্ত চলাচলে যার গুরুত্বপূর্ণ ভূমিকা আছে। এছাড়া আছে নিকোটিন যা স্নায়ুতন্ত্রকে আক্রান্ত করে, ধমনীগুলোকে সংকুচিত করে।

(৪) থাইরয়েডের ত্রুটি

থাইরয়েড গ্ল্যাণ্ডের কর্মক্ষমতা নিম্নমানের হলে স্নেহ পদার্থের বিপাক ঠিকমতো হয় না। ফলে রক্তে কোলেস্টেরল ও ফ্যাটের মাত্রা বেড়ে গিয়ে রক্ত দূষিত হয়ে পড়ে। থাইরয়েডের কর্মক্ষমতা নিম্নমানের হয় খাদ্যগত আয়োডিন অথবা ভিটামিন বি১-এর অভাবে। অতিরিক্ত শর্করা গ্রহণ করলেও ভিটামিন বি১-এর অভাব ঘটতে পারে।
তথ্যসূত্র: ডা. চিন্ময় সেনগুপ্ত, বিনা ওষুধে রোগ নিরাময়, ২০০৩

“সুপার আর্থ” খুঁজে পেলো কেপলার


http://upload.wikimedia.org/wikipedia/commons/9/9c/Telescope-KeplerSpacecraft-20130103-717260main_pia11824-full.jpgগত বছর কেপলার স্পেস টেলিস্কোপকে মেরামতের অযোগ্য ঘোষণা করে দিয়েছিলো নাসা। তাতে কিন্তু ৬০০ মিলিয়ন ডলারের এই যন্ত্র অকেজো হয়ে যায়নি মোটেও। বরং একে ব্যবহার করেই সম্প্রতি খুঁজে পাওয়া গেছে পৃথিবীর মতো এক গ্রহ, ১৮০ আলোকবর্ষ দূরে।
কেপলারের ইকুইপমেন্ট ফেইলিউরের পর একে নতুন কাজে লাগানোর পন্থা খুঁজতে থাকে নাসা। এ থেকেই তাকে পৃথিবীর মতো গ্রহ খুঁজতে লাগিয়ে দেওয়া হয়। এখন কেপলার যে আবার কাজ করছে তাই নয়, বরং সৌরজগতের বাইরের এক সুপার আর্থ খুঁজে বের করে ফেলেছে সে। HIP 116454b গ্রহটির ব্যাস পৃথিবীর তুলনায় প্রায় আড়াই গুণ বেশি। এটি যে নক্ষত্রকে প্রদক্ষিণ করে চলেছে তা আমাদের সূর্যের তুলনায় একটু ছোট, একটু শীতল। তবে গ্রহটি এর নক্ষত্রের এতো কাছাকাছি অবস্থিত যে এতে প্রাণের উপস্থিতি থাকার কথা না। তবে এটি গবেষণার জন্য আদর্শ।
সুপার আর্থ এমন এক ধরণের গ্রহ যা আমাদের সৌরজগতে অনুপস্থিত। এই গ্রহটির গড় ঘনত্ব থেকে বলা যায়, এতে সম্ভবত অনেকটা পানি আছে (তিন-চতুর্থাংশ পানি ও এক চতুর্থাংশ পাথর), অথবা নেপচুনের মতো গ্যাসীয় বায়ুমণ্ডলের এক ধরণের গ্রহ।
কেপলার মিশন থেকে দেখা যায়, পৃথিবীর চাইতে বড় এবং নেপচুনের চাইতে ছোট গ্রহ সচরাচরই দেখা যায়। ২০০৯ সাল থেকে শুরু করে কেপলার প্রায় এক হাজার পৃথিবীর মতো গ্রহ খুঁজে পেয়েছে। গত বছর কেপ্লারের দুইটি স্টিয়ারিং হুইল নষ্ট হয়ে যাবার পর বিকল্প উপায়ে একে কর্মক্ষম রাখা হয়। সূর্য থেকে আসা কণিকার চাপ কেপলারকে স্থানান্তরিত করার জন্য যথেষ্ট। এই শক্তি ব্যবহার করেই কেপলারকে নিয়ন্ত্রন করা হচ্ছিল।
(মূল: James Cave, Huffington Post)