Thursday 11 December 2014

হাজির সান্তা , বোধন বড়দিনের

http://www.epaper.eisamay.com/images/logo.jpg
 http://cdn.hdwallpaperspics.com/uploads/2012/12/11080257-santa-claus-with-gifts-and-shopping-trolley.jpg


শীত এখনও জাঁকিয়ে বসেনি শহরে৷ তবুও লাল জোব্বা চাপিয়ে হাজির ‘সান্তা দাদু’৷
শীত পড়ুক , না পড়ুক --সান্তাক্লজ এসেছেন নিয়ম মেনেই৷ প্রতি বছরের মতোই৷ তবে যুগের সঙ্গে তাল মিলিয়ে চলতে শিখেছেন তিনি৷ গত বছর শীতেও সান্তাক্লজকে চিরাচরিত পোশাকে দাঁড়িয়ে থাকতে দেখা যেত শহরের নামীদামি রেস্তোরাঁ, শপিং মল , দোকানের সামনে৷ কিন্ত্ত এ বছর ‘সান্তা দাদু’ চোখ পিটপিট করতে শিখেছেন৷ হাত -পাও নাড়ছেন মাঝেমধ্যে৷ বুধবার নিউ মার্কেটের একটি দোকানে গিয়ে দেখা গেল , সেখানে পুতুল অবতারে রকমারি সান্তাক্লজ বিক্রি হচ্ছে৷ আর দোকানের বাইরে যে সান্তাটি শোভা পাচ্ছে , সেটি ব্যটারিচালিত৷ ফুট পাঁচেকের সেই সান্তাক্লজ হাসি মুখে চোখ পিটপিট করছে৷ বড়দিনের বেশি দেরি নেই৷ তাই সাজো সাজো রব ধর্মতলা চত্বরে৷ গোটা চত্বর যদিও এখনও মুড়ে ফেলা হয়নি নিয়ন আলোয়৷ তবুও ধর্মতলা এবং নিউ মার্কেটের দোকানগুলির বাইরে অলোকসজ্জিত ঝাউ গাছ , টুনি লাইট বলে দিচ্ছে , শীত পড়ুক বা না পড়ুক , বড়দিন সামনেই৷
নিউ মার্কেটে কেনাকাটা করতে এসেছিলেন ব্যারাকপুরের বাসিন্দা সুচন্দ্রা হালদার৷ সঙ্গে বছর পাঁচেকের ছেলে কৃশ৷ কিন্ত্ত সান্তাক্লজের সৌজন্যে বিশেষ কেনাকাটা আর হল না সুচন্দ্রাদেবীর৷ কারণ , কৃশ বিলক্ষণ চিনতে পেরেছে সান্তাক্লজকে৷ এই দাদুটাই যে গত বছর বড়দিনে তার বালিশের তলায় চকলেট রেখে গিয়েছিল ! কৃশ তো আর অকৃতজ্ঞ নয়৷ ‘সান্তাদাদু’র সঙ্গে হাত মেলাবেই সে৷ কিন্ত্ত ‘হাজার হাজার ডঃ হাজরা ’র মতো নিউ মার্কেটে সান্তাক্লজেরও যে ছড়াছড়ি৷ প্রতিটি সান্তাক্লজের সঙ্গেই কৃশ একান্তে মোলাকাত করতে চায়৷ কয়েক জন সান্তা তো আবার কৃশকে দেখে চোখ পিটপিটও করেছে ! সান্তার মতোই কেক ছাড়া কি আর বড়দিন হয় ! অন্তত কলকাতায় কেকের দোকানগুলির প্রস্ত্ততি দেখে তো মনে হয় , বড়দিন আর কেক সমার্থক৷ নিউ মার্কেটের নামী কেকের দোকানগুলিই শুধু নয় , রাস্তাতেও ঢেলে বিক্রি হওয়া শুরু হয়েছে ৩০ -৪০ টাকায় এক পাউন্ড কেকের৷ যদিও এখনও বিক্রি -বাট্টা সে ভাবে জমে ওঠেনি৷ লেনিন সরণিতে এ রকমই এক কেক বিক্রেতার সঙ্গে কথা বলে জানা গেল , এখনই কেক বিক্রির হিড়িক পড়ে যাবে , এমন আশা তিনিও করেন না৷ তবে এখন থেকেই টুকটাক কেক বিক্রি শুরু হয়ে গিয়েছে৷ তাঁর কথায় , ‘আমার স্টেশনারি দোকান৷ প্রতি বছরই ডিসেম্বর মাসের গোড়া থেকেই দোকানে কেক রাখি৷ বড়দিনের মরসুম তো তখন থেকেই শুরু হয়ে যায়৷ ’ টুনি লাইট , কেক, সান্তা --সবই হাজির শহরে বড়দিন বরণের জন্য৷ নেই শুধু শীত৷ গরম লাল জোব্বা আর বুক পর্যন্ত ঝুলে থাকা সাদা দাড়িতে শহরে ছড়িয়ে ছিটিয়ে রয়েছে অনেক সান্তাই৷ এ রকমই এক সান্তাকে দেখে পথচলতি এক শিশুর প্রশ্ন, ‘বাবা সান্তাক্লজের গরম লাগছে না ?’ বড়দিনের আগে সেজে উঠেছে নিউ মার্কেট৷

No comments:

Post a Comment