Thursday 11 December 2014

বাগানে পড়েছিল পরমানু বোমা

Ei Samay 
 ভিয়েনা : বেখেয়ালেই লিভারটায় চাপ দিয়ে ফেলেছিলেন বিমানচালক ব্রুস কুলকা৷ যদিও , পরমাণু অস্ত্রবাহী বি -৪৭ বিমানের চালকের কাছ থেকে এমন অন্যমনস্কতা একেবারেই আশা করা যায় না৷ লিভারের চাপ পড়তেই খুলে গিয়েছিল দরজাটা৷ বিমানকর্মীদের হূদস্পন্দন থামিয়ে দিয়ে সোজা নীচে পড়তে শুরু করেছিল পরমাণু বোমাটা৷ ভিয়েনায় পরমাণু অস্ত্র সংক্রান্ত এক আন্তর্জাতিক সম্মেলনে শোনা গেল অর্ধ শতাব্দীরও পুরোনো এই ঘটনার কথা৷ সেদিন ব্রুস কুলকার বিমান থেকে পরমাণু বোমাটি পড়েছিল ক্যালিফোর্নিয়ার আকাশে৷ ভাগ্যক্রমে বোমাটি ফাটেনি৷ না হলে , একটি পরমাণু বোমা পড়ার পর মাত্র কয়েকটি গৃহপালিত মুরগির মৃত্যু এবং একটি গাড়ি ভাঙার ঘটনা ঘটেছে এমন কথা কল্পনায় আনতে পারেন না অতি বড় স্বপ্নবিলাসীও৷ ভিয়েনার সম্মেলনে মার্কিন লেখক এরিক স্লোশার এমন একাধিক ঘটনার কথা জানালেন৷ মার্কিন ও রুশ ব্লকের মধ্যে কয়েক দশক ধরে চলতে থাকা ‘ঠান্ডা যুদ্ধ’ ও তার বিভিন্ন অজানা ঘটনা নিয়ে স্লোশার একটি বইও লিখেছেন৷ ‘কম্যান্ড অ্যান্ড কন্ট্রোল ’ নামের এই বইটি তাঁর ছ’বছরের গবেষণার ফল৷ স্লোশার জানাচ্ছেন , ১৯৬১টিতে ক্যালিফোর্নিয়ার আকাশেই একটি হাইড্রোনজেন বোমাবাহী বিমান বিকল হয়ে বোমাটি পড়ে যায়৷ একটি মাত্র নিরাপত্তা সুইচ সেবার আমেরিকাকে ভয়াবহ বিপর্যয়ের থেকে রক্ষা করে৷ ওই বিমানের বোমাটি হিরোশিমায় পড়া পরমাণু বোমার চেয়ে একশো গুণ বেশি শক্তিশালী ছিল৷ ১৯৬৮ -তে চারটি পরমাণু বোমা নিয়ে একটি মার্কিন যুদ্ধবিমান ভেঙে পড়ে গ্রিনল্যান্ডে৷ সেবারও নেহাত কপালজোরে বোমাগুলির একটিও ফাটেনি৷ পরে , ওই অঞ্চলে অনুসন্ধানকারী দল পাঠিয়ে মার্কিন প্রশাসন বোমার অংশগুলি উদ্ধার করে আনার ব্যবস্থা করে৷ যদিও একটি বোমার কিছুটা অংশ পাওয়াই যায়নি৷ এরিক স্লোশারের বই ঠান্ডা যুদ্ধ ও সেই সময়ে মার্কিন প্রতিরক্ষা বিভাগের বিভিন্ন অজানা ঘটনা জানার ক্ষেত্রে বিশেষ গুরুত্বপূর্ণ বলে মনে করা হচ্ছে৷ শুধুমাত্র কপালজোরে এড়ানো বিপর্যয় -ই নয় , ভুল তথ্যও কী ভাবে একাধিকবার আমেরিকার বিপদ ডেকে আনছিল আছে সেই বিষয়েরও বর্ণনা৷ --- সংবাদসংস্থাগবেষণায় প্রকাশ৷

No comments:

Post a Comment