ওয়াশিংটনে এখন ব্যাঙ্ক লুঠের ভরা মরসুম
ওয়াশিংটন : বছর শেষের ছুটি মানেই কত কী ! শুধুই উত্সব৷ স্যান্টা ক্লস , ক্রিসমাস ক্যারল , লেট নাইট পার্টি, গ্রিটিং কার্ড আর হরেকরকম উপহার৷ আর একটা কিছুও হয়৷ সেটা ব্যাঙ্ক ডাকাতি৷ শুধু ওয়াশিংটনেই সারা বছরে যা ব্যাঙ্ক ডাকাতি হয় তার সিকি ভাগ হয় বড়দিনের আগের কয়েক সন্তাহে৷ ফেডারেল ব্যুরো অফ ইনভেস্টিগেশন (এফবিআই ) এবং নিরাপত্তা বিশেষজ্ঞরা জানিয়েছেন , ছুটির মরসুমে সবারই খরচের বহর বেড়ে যায়৷ তখনই কারও কারও নিশানা হয় ব্যাঙ্ক৷ এই প্রবণতা এখন এতটাই ঊর্ধ্বমুখী যে এফবিআই -এর প্রাদেশিক শাখা গত মাসেই এখানকার সমস্ত ব্যাঙ্ক কর্তৃপক্ষকে সব রকম সতর্কতা নিতে বলেছে৷ এর পাশাপাশি , তারা সম্ভাব্য ব্যাঙ্ক ডাকাতদেরও সাবধান করে বলেছে , মুখোশ পরে , বন্দুক উঁচিয়ে ব্যাঙ্কে হামলা করলে , পুলিশও তার সমুচিত জবাব দেবে৷
এফবিআইয়ের মুখপাত্র লিন্ডসে র্যাম বলেছেন , ‘মরিয়া না হলে কেউ ব্যাঙ্ক ডাকাতি করে না৷ ওয়াশিংটনে ব্যাঙ্ক ডাকাতির সিকি ভাগই হয় ডিসেম্বরে৷ ২০১৩ সালে , ৭২টি ব্যাঙ্ক ডাকাতির মধ্যে ১৭টিই হয়েছিল ডিসেম্বরে৷ আবার ২০১২ সালে , ৪২টি ব্যাঙ্ক ডাকাতির মধ্যে ১০টিই হয়েছিল ডিসেম্বরে৷ সিকিউরিটি ম্যানেজমেন্ট বিশেষজ্ঞ রবার্ট ম্যাক্রির মতে , এই ভোগসর্বস্ব দুনিয়ায় , সারাদিন প্রচারমাধ্যমের ঢক্কানিনাদ আর বিজ্ঞাপনদাতাদের হাতছানি এড়াতে পারে না অপরাধীরাও৷ এদের কেউ কেউ স্বভাব -অপরাধী৷ কারও আবার মাদক সেবনের জন্য নিয়মিত অর্থের জোগান চাই৷ চলতি মাসে এখনও পর্যন্ত ওয়াশিংটনে সাতটি এবং শিকাগোতে আটটি ব্যাঙ্ক ডাকাতি হয়েছে৷ এর মধ্যে একটিতে , ইলিনয়ের বেডফোর্ড পার্কের একটি ব্যাঙ্কে দুঃসাহসিক ডাকাতি করে ৫৫ বছরের ডেভিড স্টলিংস৷ ৫ ডিসেম্বর , বন্দুক নিয়ে সে সোজা সেই ব্যাঙ্কের টেলার কাউন্টারে গিয়ে বলে , ‘যা আছে সব দিয়ে দাও , নইলে ….’৷ ব্যাঙ্ককর্মী তাকে ১৩৯১ ডলার দিয়ে দিলেও তাতে নজরদারি যন্ত্র লাগানো ছিল৷ প্রতিটি নোটের ক্রমিক সংখ্যাও সেই কর্মী রেকর্ড করে রেখেছিলেন৷ ফলে , স্টলিংস বাসে করে পালাতে গিয়ে পুলিশের হাতে ধরা পড়ে৷ আদালতে তার বিচার চলছে৷ দোষী সাব্যস্ত হলে তার ২০ বছর পর্যন্ত জেল হতে পারে৷
এফবিআইয়ের পরিসমখ্যান থেকে আরও জানা গিয়েছে যে ব্যাঙ্ক ডাকাতদের অধিকাংশই কৃষ্ণাঙ্গ পুরুষ৷ মাত্র ৪ শতাংশ ক্ষেত্রে বলপ্রয়োগের ঘটনা ঘটে৷ প্রশিক্ষণের সময় ব্যাঙ্ক কর্মীদের বলাই থাকে যে ব্যাঙ্ক ডাকাতদের সঙ্গে প্রকাশ্য সংঘাতে না গিয়ে , হাতের কাছে যা ডলার আছে তাই দিয়ে তাদের নির্গমনের পথ প্রশস্ত করে দেয়৷
গত বছর ব্যাঙ্ক ডাকাতিতে মোট ১৮ জনের মৃত্যু হয়৷ এর মধ্যেই ১৫ জনই ছিল ডাকাত৷ ei samay
No comments:
Post a Comment