যারা ওজন কমাতে চান, তারা খাদ্যভ্যাস এবং ক্ষুধা নিয়ন্ত্রণের জন্য অনেক ধরণের কৌশল অবলম্বন করে থাকেন। এর একটি কৌশল হতে পারে রং!
বিজ্ঞানীদের মতে, খাবারের রং আমাদের রুচির ওপরে বড় প্রভাব ফেলে। শুধুমাত্র খাবার দেখলেই সেই দৃশ্য বিভিন্ন রাসায়নিক বিক্রিয়ার উদ্রেক করে আমাদের শরীরে। মস্তিষ্কের হাইপোথ্যালামাস উদ্দীপ্ত হয়ে ওঠে, মুখের লালাগ্রন্থি থেকে লালা নিঃসৃত হতে থাকে খাবারের অপেক্ষায়। দেখুন আপনার রুচি এবং খাদ্যভ্যাসের ওপর বিভিন্ন রঙের বিচিত্র সব প্রভাব।
লাল
Appetite জার্নালে প্রকাশিত গবেষণার তথ্য অনুযায়ী, লাল প্লেটে খাবার দেওয়া হলে সে প্লেট থেকে মানুষ কম পরিমাণে খায়। সম্ভবত লাল রংকে মানুষ বিপদ সংকেত হিসেবে ধরে নেয় বলেই এই ব্যাপারটি ঘটে। কিন্তু অন্যান্য অনেক গবেষণায় আবার দেখা যায়, খাবারটি যদি লাল রঙের হয় তাহলে তা রুচি বাড়াতে সাহায্য করে।হলুদ
হলুদ রংটি হাসিখুশির প্রতীক বলে এই রঙটি বাড়ায় রুচি। হলুদ রং দেখলে মস্তিষ্কে সেরোটোনিন নিঃসৃত হয় যা আমাদের ইতিবাচক অনুভূতি দেয়। হলদের পাশাপাশি কমলা রঙের খাবারেরও এই ধরণের প্রভাব দেখা যায়।সবুজ
আমরা ভাবি খাবারে সবুজ থাকলেই সেটা স্বাস্থ্যকর। আসলেই সেটা স্বাস্থ্যকর কিনা তা নিয়ে আমরা পরে চিন্তা করি। এর কারণ হলো প্রাচীনকালে মানুষ যখন বনেবাদাড়ে খাবার খুঁজে বেড়াতো তখন সবুজ রঙের খাবারকে নিরাপদ বলে ধরতো তারা।সাদা
সাদা খাবার মানুষ বেশী পরিমাণে খেয়ে থাকে, বিশেষ করে সাদা রঙের কোনো স্ন্যাক্স, যেমন পটেটো চিপস। আমরা ভুলে যাই যে খাবারটা সাদা হলেও তাতে ক্যালোরি আছে। এবং ভুলে যাবার কারণে বেশী করে খেয়ে থাকি এসব।যেসব রং রুচি কমায়
গবেষকদের মতে, নীল রঙের খাবার খাওয়ার ইচ্ছে কমিয়ে দেয় কারণ প্রকৃতিতে নীল রঙের খাবার তেমন একটা নেই। এছাড়া প্রাচীন কালে নীল, কালো এবং বেগুনী রং মানেই বিষাক্ত বলে ধরে নিতেন প্রাচীন মানুষেরা এবং এই আচরণ এখনো আমাদের মাঝে রয়ে গেছে। গবেষণায় দেখা গেছে খাবার যদি নীল রং করে দেওয়া হয় তবে তার প্রতি মানুষের আকর্ষণ কম হয়। খাবারের স্বাদ ভালো হলেও তা তাদের রুচির উদ্রেক করে না। এ ছাড়া এটাও বলা হয় যে ফ্রিজের ভেতর যদি নীল বাতি লাগানো হয় তবে তা রুচি কমাতে সাহায্য করে।নীলের পাশাপাশি গোলাপি রংটাও একটু অস্বাভাবিক হবার কারণে তা মানুষের রুচি কমায়। এ ছাড়াও ধুসর এবং বাদামী রং দেখলে খাবার ইচ্ছে চলে যায় কারণ এসব রং দেখে মনে হয় খাবার পুড়ে গেছে।
(মূল: Kurt Raven, Health Digezt)
No comments:
Post a Comment