এই ঘটনাকে গবেষকেরা দেখছেন গ্যালাক্সির জন্মের ব্যাপারে তথ্য পাওয়ার উৎস হিসেবে। ইউনিভার্সিটি অফ হার্টফোর্ডশায়ারের যে গবেষক দল এই ব্যাপারটি পর্যবেক্ষণ করেন তাদের নেতৃত্বে থাকা ডক্টর জেমস গীচ বলেন, “আমরা জানি নিজেদের বৃদ্ধি নিয়ন্ত্রণ করতে হয় গ্যালাক্সিদের, নয়তো অতিরিক্ত পরিমাণে তারকার জন্ম হয়ে যেত”। তার মতে এভাবে গ্যাস উদ্গিরণ করার মাধ্যমেই নিজের বৃদ্ধি নিয়ন্ত্রণ করে থাকে এসব গ্যালাক্সি। গ্যালাক্সিতে থাকা তারকাগুলোর প্রবল তেজস্ক্রিয়তার কারণেই এসব গ্যাস গ্যালাক্সি থেকে বের হয় যায় এবং নতুন তারকার জন্ম বাধাপ্রাপ্ত হয়।
ওই ইউনিভার্সিটি থেকে দেওয়া এক লিখিত বিবৃতিতে বলা হয়, বিভিন্ন গ্যালাক্সি থেকে উত্তপ্ত এবং আয়নিত গ্যাস বের হওয়াটা অস্বাভাবিক কিছু নয় কিন্তু এতো বেশী পরিমাণে ঠাণ্ডা এবং ঘন গ্যাস কোনো গ্যালাক্সি থেকে বের হয়ে আসছে এমনটা এই প্রথম দেখা গেলো।
পৃথিবী থেকে মোটামুটি ৬ বিলিয়ন আলোকবর্ষ দূরে অবস্থিত এই গ্যালাক্সিটি। আর এর থেকে নির্গত হতে থাকা গ্যাসের পরিমাণ এতো বেশী যে তা আমাদের সূর্যের মতো এক বিলিয়ন নক্ষত্র তৈরিতে সক্ষম। এই ব্যাপারটি পর্যবেক্ষণ করতে ওই ইউনিভার্সিটির গবেষকেরা ফ্রেঞ্চ আল্পসের ওপরে অবস্থিত the Institut de Radioastronomie Millimetrique (IRAM) Plateau de Bure Interferometer নামের একটি রেডিও টেলিস্কোপ ব্যবহার করেন। এ ছাড়া তারা হাবল স্পেস টেলিস্কোপ থেকেও তথ্য সংগ্রহ করেন।
(মূল: David Freeman, Huffington Post)
No comments:
Post a Comment