এরই মধ্যে পুনের ইয়েরাওয়াড়া কারাগার কর্তৃপক্ষ বরাবর দুই সপ্তাহের জন্য ছুটির আবেদন করেছেন সঞ্জয়। তিনি মুম্বাই পুলিশের কাছ থেকে নো-অবজেকশন সার্টিফিকেটও সংগ্রহ করেছেন। সবকিছু ঠিক থাকলে ১৪ দিনের জন্য বাড়ি ফেরার সুযোগ পাবেন তিনি। ছুটির এই মেয়াদ বাড়ানোও হতে পারে।
জেল থেকে ছুটি পাওয়ার জন্য পুলিশের কাছ থেকে নো-অবজেকশন সার্টিফিকেট (এনওসি) পাওয়াটা বাধ্যতামূলক। ঘনিষ্ঠ একটি সূত্রের বরাতে হিন্দুস্তান টাইমস জানিয়েছে, মুম্বাইয়ের খার পুলিশ স্টেশনে ১০ হাজার টাকা জমা দিয়ে এরই মধ্যে এনওসি সংগ্রহ করেছেন সঞ্জয়ের একজন নিকট আত্মীয়।
ইয়েরাওয়াড়া কারাগারের সুপারিনটেনডেন্ট যোগেশ দেশাই জানিয়েছেন, প্রায় দুই মাস আগে ছুটির আবেদন করেন সঞ্জয়। সুপারিশসহ তাঁর ছুটির আবেদন ডিআইজি (প্রিজন) অফিসে পাঠানো হয়েছে। প্রায় এক বছর আগে ছুটি নিয়েছিলেন সঞ্জয়। এই হিসেবে আবার তিনি ছুটি পাওয়ার অধিকার রাখেন। সঞ্জয় ১৪ দিনের ছুটির আবেদন করলেও পরে আরও দুই সপ্তাহ তা বাড়ানো হতে পারে।
এ প্রসঙ্গে ডিআইজি (প্রিজন) রাজেন্দ্র ধামনে বলেন, ‘প্রতি মাসে আমরা এ ধরনের বেশ কয়েকটি ছুটির আবেদন পাই। সঞ্জয় দত্তের ছুটির আবেদনও আমাদের হাতে এসে পৌঁছেছে। আমি আবেদনটি দেখার পাশাপাশি প্রয়োজনীয় সব কাগজপত্র সংযুক্ত আছে কি না, তা খতিয়ে দেখব। এর আগে ছুটিতে থাকার সময় তাঁর আচরণ কেমন ছিল তা বিবেচনা করে সিদ্ধান্ত নেব আমরা।’
রাজেন্দ্র আরও বলেন, ‘প্রতিবছর কিছুদিনের জন্য ছুটি পাওয়া প্রত্যেক আসামির অধিকার। এটি পাওয়ার জন্য নির্দিষ্ট কোনো কারণ দেখাতে হয় না। এ ধরনের ছুটি দেওয়ার মূল উদ্দেশ্য হলো সাজা খাটার সময় আসামিরা যেন কিছুদিন তাঁদের নিজ নিজ সমাজে সময় কাটাতে পারেন।’
No comments:
Post a Comment